গাজীপুর কাপাসিয়া থানায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন
- আপডেট টাইম : ০৮:২৭:০৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
- / ২২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
রিপোর্টারঃআরাফাত হোসেন।।
কাপাসিয়া থানায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, একমাত্র আসামীর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডপূর্বক মামলা রুজুর ১১ ঘন্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলঃ
পুলিশ সুপার গাজীপুর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম & অপস) গাজীপুর এর তদারকিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেলের তত্ত্বাবধানে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের নের্তৃত্বে কাপাসিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাপাসিয়া থানার হত্যা মামলা নং ০৭ তাং ২১/০২/২২ খ্রিঃ ধারা- ৩০২/২০১ দঃবিঃ এর একমাত্র আসামী ঘাতক স্বামী জসিম উদ্দিন প্রধান (২৫), পিতা–মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধান, সাং-কাপাসিয়া মধ্যপাড়া, থানা-কাপাসিয়া,জেলা- গাজীপুরকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সেই সাথে মামলার ডিসিস্টের ময়না-তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে ১১ ঘন্টার মধ্যেই তদন্ত সমাপ্ত করে কাপাসিয়া থানার এস আই জাহাঙ্গীর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘটনা সংক্ষেপঃ
গত কয়েকদিন পূর্বে মামলার একমাত্র আসামী গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানাধীন কাপাসিয়া মধ্যপাড়া সাকিনের জসিম উদ্দিন প্রধান(২৫) তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে(২০) শ্রীপুর থানাধীন শশুরবাড়ী হতে নিজের বাড়ী নিয়ে আসে। স্ত্রী সুমাইয়া পুনরায় বাবার বাড়ী যাওয়ার জন্য পীড়াপিড়ি করলে স্বামী জসিম নিষেধ করে। এতে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং
গত ইং ২০/০২/২২ তাং ১০.৩০ ঘটিকা হতে ১২.৩০ ঘটিকার মধ্যে আসামি জসিম উদ্দিন প্রধান(২৫) তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে(২০) পারিবারিক কলহের কারণে গলাটিপে হত্যা করে এবং মৃতদেহ বসতঘরের খাটের নিচে রেখে বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজনের সহায়তায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামী গ্রেফতারপূর্বক মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে। এবং ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে হত্যাকারী স্বামীকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে আজ সকালে ময়না-তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার অনুরোধে উক্ত হাসপতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ শাফী মোহাইমেন মৃতের ময়নাতদন্ত সম্পন্নপূর্বক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তাৎক্ষণিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করেন।
এ প্রেক্ষিতে মাত্র ১১ ঘন্টার মধ্যে একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডসহ শহীদ তাজ উদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহপূর্বক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
হত্যাকান্ডের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারীকে গ্রেফতার, বিজ্ঞ আদালতে আসামীর দোষ স্বীকাোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ডপূর্বক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল তথা সকল আইনগত কার্যক্রমে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ কর্মকর্তার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে মৃতের ময়না তদন্ত সম্পন্নপূর্বক ময়না তদন্ত প্রতিবেদন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তিতে সহায়তা করায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ শাফী মোহাইমেন মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
এখানে উল্লেখ্য যে, মামলা রুজুর মাত্র ১১ ঘন্টার মধ্য একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার, কোর্টে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড ও শহীদ তাজ উদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহপূর্বক মামলার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করায় জনমনে কাপাসিয়া থানা তথা গাজীপুর জেলা পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।