সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন পিংক জাতের বারোমাসি আঠাবিহীন ভিয়েতনামী কাঁঠাল
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৪:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৯ মার্চ ২০২২
- / ৬২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
আল মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁও জেলায় বারো মাসেই মিলছে আঠালো ও কষহীন সুস্বাদু কাঁঠাল। ইতোমধ্যে ৫০জন কৃষকের মাঝে গ্রাফটিংয়ের (কলম) মাধ্যমে চারা ছড়িয়ে দিয়েছে জেলা হর্টিকালচার সেন্টার। এই কাঁঠাল চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, চলতি সালে ভিয়েতনাম থেকে পিংক জাতের কাঁঠালের একটি চারা নিয়ে আসে জেলা কৃষি বিভাগ। পরে তা বেশ যতœ করে লাগিয়ে দেন ঠাকুরগাঁও হর্টিকালচার সেন্টারে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে গাছটি ফল দিতে শুরু করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো ফলন হওয়ায় পরে তা কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন সম্ভাবনা জেগে ওঠা এই কাঁঠাল চাষকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন চাষীরাও।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৃষক আরিফ হোসেন পুকুর পাড়ে লাগানো গাছে কয়েকটিতে কাঁঠাল ধরেছে। আকারে বেশ বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় উৎসুক মানুষ অসময়ের কাঁঠাল দেখতে আসছে। আর কিছুদিন পরে কাঁঠাল গুলো খাওয়ার উপযোগী হবে বলে জানিয়েছেন আরিফ। তিনি বলেন, প্রতিটি কাঁঠাল দেখতে আমাদের দেশীয় কাঁঠালের মতই। এই কাঁঠালের আঠা নেই। তাই বাজারে এর বাড়তি কদর রয়েছে। তবে খেতে রসালো না হলেও কিছুটা চিবিয়ে খেতে হয়।
একই এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা ফারুক হোসেন বলেন, কাঁঠাল পুষ্টিকর ফল হলেও আমরা বারোমাস এ ফলটি পাই না। এখন যেহেতু বারোমাস কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে, তাই আমি নিজেও এই বাগান করবো। ঠাকুরগাঁও হর্টিকালচার সেন্টারে’র নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক জামিল উদ্দীন বলেন, ভিয়েতনামের পিংক জাতের গাছটিতে সারা বছর ধরেই কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে। মৌসুমের বাইরেও অন্যান্য সময় ধরে উৎপাদিত কাঁঠালও হবে খুব সুস্বাদু।
এতে যেমন দেশের লোকজন সারা বছর ধরে কাঁঠালের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তেমনি অধিক মূল্যে কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন। বীজ থেকে চারা উৎপাদনে গুনগত মান ঠিক থাকে না। গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করলে শতভাগ গুনাগুন অুণ্ণ থাকবে। এ পদ্ধতির ফলে রোপণের কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, যে মৌসুমে আমাদের বাজারে দেশি ফলের ঘাটতি থাকে, সে সময় চাষ করা যায় এমন জাতগুলোর সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ করা জরুরী।
বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়ন সাধনের ল্েয কাজ করছে জেলা কৃষি বিভাগ। আগ্রহী চাষিরা এই ভিয়েত নামের কাঁঠাল চাষে এগিয়ে আসছেন। সুস্বাদু ও জনপ্রিয় এই কাঁঠাল ব্যাপক ভিত্তিতে চাষের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের মানুষ সারা বছর ধরে এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।
আরো খবর.......