তাহাজ্জুদ সালাত সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা? MD MEHEDI HASAN
- আপডেট টাইম : ০৪:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
- / ২১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
■■ তাহাজ্জুদ সালাত!!
●● তাহাজ্জুদ সালাত নিয়ে মোটিভেশনাল কিছু কথা! এভাবে তাহাজ্জুত সালাত আদায় করে দেখুন! আজ থেকেই আপনার সকল অভিযোগ বন্ধ হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ!!
■■ রাত ২/৩ টা বাজছে! তাহাজ্জুত এর সময় হয়েছে! ষুতরাং ওঠো! ওয়াশরুমে যাও, মিসওয়াক শেষে উত্তমরুপে ওযু বা গোসল করে সবচেয়ে সুন্দর ও পবিত্র জামাটি পরিধান করো! কাউকে দেখানোর জন্য নয়! একমাত্র তোমার রব আল্লাহর জন্য!
●●সম্ভব হলে চোখে সুরমা লাগাও! মাথার চুল সুন্দর করে আঁচড়া ও হালাল সুগন্ধি লাগাও! যতটা সম্ভব নিজেকে উত্তমরুপে সাজাও! আজকের এই গোসল, এই সাজ একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। শুধুই মহান সৃষ্টিকর্তার জন্য! এর পরে জায়নামাজ বিছিয়ে ধীরস্থির ভাবে মাত্র দু’ রাকা’আত শুকরিয়া নামায আদায় করো! এর পর দু’ রাকা’আত করে সর্বোচ্চ বারো রাকা’আত পর্যন্ত(যতটা সম্ভব) তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করো! নামাযের মধ্যে দীর্ঘ কিরাত, দীর্ঘ রুকু এবং সিজদাহ করো!
■■ নামাযান্তে সিজদায় লুটিয়ে চোখের পানি ছেড়ে মহান সেই রবকে ডাকো! যিনি তোমার প্রার্থনা শোনার জন্য, তোমার চোখের পানি দেখার জন্য, তোমার সব দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য এবং তোমাকে আপন করে নেবার জন্য প্রথম আসমানে নেমে এসেছেন! ধৈর্য্যধারণ করে, প্রশান্তচিত্তে এবং ধীরস্থির সহকারে নামাযের মধ্যে তাঁকে ডাকতে থাকো। সেই রব তোমার দু’আ কবুল করবেন না তো আর কার দু’আ কবুল করবেন!
●● তোমার ডাক শুনবেন না তো আর কার ডাক শুনবেন! তুমি আর সেই ব্যক্তি কি এক হয়ে গেলে, যিনি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে! আর তুমি অশ্রুবর্ষণ করে মহান রবের কুদরতি পা সিক্ত করছো!
■■ না! না! তুমি আল্লাহর রহমতের ছাঁয়ার নিচে, আর সে অনেক অনেক দূরে! তোমার প্রার্থনায় আরশ কেঁপে ওঠছে, তকদির দোলছে এবং অবশেষে মহান আল্লাহ তকদির পরিবর্তন করে বান্দার আরজি কবুল করেন!
وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ – الاسراء.
●● ইরশাদ হচ্ছেঃ
——-“আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন!”
—–(সূরা ইসরাঃ ৭৯)
■■ তোমার দু’আ কবুল হয় না! তোমার দুঃখ মোচন হয় না! তোমার বিপদ আরো অনেটা বেড়েই চলছে…! এই নিয়মে ডাকতে থাকো! যদি ডাকার মতো তাঁকে ডাকো, তবে তোমার দু’আ কবুল হতে ১মিনিটও লাগবে না!
●● মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
——-“আমি যখন কোনো কিছু করার ইচ্ছে করি, তখন তাকে এতটুকুই বলি যে “হয়ে যাও”, সুতরাং(সাথে সাথেই) তা হয়ে যায়!!”
—–[সূরা আন’নহলঃ ৪০]
■■ পৃথিবীতে এমন কেউ কি আছে যে, মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে কিছু চেয়েছে, কিন্তু মহান আল্লাহ তা তাকে দেয়নি? প্রমাণ করতে পারবে কেউ?
●● হুমম…! হুবহু সেই জিনিসটি হয়তো দেননি! তবে তার থেকে অনেক অনেক গুণ উত্তম কিছু দিয়েছেন। পরবর্তীতে প্রার্থনাকারী অবশ্যই তা টের পেয়ে লজ্জিত হয়ে বলেছেনঃ “হায়! আমি কত বোকা! না বুঝেই কত ছোট প্রার্থনাই না করেছিলাম!
■■ কখনো কি তুমি মহান আল্লাহর জন্য নিজেকে সাজিয়েছো? আর এ ভাবে মহান রবকে ডেকেছো?
তাহলে প্রস্তুত হয়ে যাও আজ থেকেই….. উঠো এবং তাহাজ্জুদ পড়ো…!!
■▪মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার তাওফীক দিন এবং আমাদের সবার সকল নেক দু’আ গুলো কবুল করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আ-মীন)।।
লেখক: হাফেজ মাওঃ মেহেদী হাসান