ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

নিবন্ধন ছাড়াই আগামী ১০ দিন টিকা দেয়া যাবে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

আরো সহজ করা হলো করোনার টিকাদান। আগামী ১০ দিন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে প্রথম ডোজের টিকা। লাগবে না নিবন্ধন। আর এরই মধ্যে যারা নিবন্ধন করে ফেলেছেন তারা মোবাইলে মেসেজ না পেলেও টিকা নিতে পারবেন।

১০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার মাইলফলক পার করেছে দেশ। এবারের লক্ষ্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা ১২ কোটিতে উন্নীত করা। এজন্য নিবন্ধন ও মোবাইল ফোনে মেসেজ পাওয়ার নিয়ম তুলে নেয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবারে টিকার প্রথম ডোজ নিতে নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ লাগবে না। কেন্দ্রে গেলেই শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েই নেয়া যাবে টিকা। এই সুবিধা ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থাকবে না।

এ বিষয়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। এমন ব্যক্তিদের একটি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে এক কোটি ডোজ টিকা। সারা দেশে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে ৩টি নতুন কেন্দ্র। উপজেলায় ৫টি, পৌরসভায় ৩টি ও প্রতিটি জেলায় থাকবে ২০টি ভ্রাম্যমাণ টিকা দল। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ টিকা দল থাকবে ২৫ থেকে ৬০টি।

শামসুল হক বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনো রকম নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে, তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকাকেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবেই। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে। দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় ৫টি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

 

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি; বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে টিকা দেবে।

প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেও এসএমএস পাননি অনেকে। এখন থেকে এসএমএস ছাড়াই নেয়া যাবে টিকা। তবে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের জন্য এসএসএস লাগবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিবন্ধন ছাড়াই আগামী ১০ দিন টিকা দেয়া যাবে

আপডেট টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আরো সহজ করা হলো করোনার টিকাদান। আগামী ১০ দিন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে প্রথম ডোজের টিকা। লাগবে না নিবন্ধন। আর এরই মধ্যে যারা নিবন্ধন করে ফেলেছেন তারা মোবাইলে মেসেজ না পেলেও টিকা নিতে পারবেন।

১০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার মাইলফলক পার করেছে দেশ। এবারের লক্ষ্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা ১২ কোটিতে উন্নীত করা। এজন্য নিবন্ধন ও মোবাইল ফোনে মেসেজ পাওয়ার নিয়ম তুলে নেয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবারে টিকার প্রথম ডোজ নিতে নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ লাগবে না। কেন্দ্রে গেলেই শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েই নেয়া যাবে টিকা। এই সুবিধা ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থাকবে না।

এ বিষয়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। এমন ব্যক্তিদের একটি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে এক কোটি ডোজ টিকা। সারা দেশে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে ৩টি নতুন কেন্দ্র। উপজেলায় ৫টি, পৌরসভায় ৩টি ও প্রতিটি জেলায় থাকবে ২০টি ভ্রাম্যমাণ টিকা দল। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ টিকা দল থাকবে ২৫ থেকে ৬০টি।

শামসুল হক বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনো রকম নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে, তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকাকেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবেই। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে। দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় ৫টি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

 

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি; বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে টিকা দেবে।

প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেও এসএমএস পাননি অনেকে। এখন থেকে এসএমএস ছাড়াই নেয়া যাবে টিকা। তবে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের জন্য এসএসএস লাগবে।