ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের

নিবন্ধন ছাড়াই আগামী ১০ দিন টিকা দেয়া যাবে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪৪৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আরো সহজ করা হলো করোনার টিকাদান। আগামী ১০ দিন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে প্রথম ডোজের টিকা। লাগবে না নিবন্ধন। আর এরই মধ্যে যারা নিবন্ধন করে ফেলেছেন তারা মোবাইলে মেসেজ না পেলেও টিকা নিতে পারবেন।

১০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার মাইলফলক পার করেছে দেশ। এবারের লক্ষ্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা ১২ কোটিতে উন্নীত করা। এজন্য নিবন্ধন ও মোবাইল ফোনে মেসেজ পাওয়ার নিয়ম তুলে নেয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবারে টিকার প্রথম ডোজ নিতে নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ লাগবে না। কেন্দ্রে গেলেই শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েই নেয়া যাবে টিকা। এই সুবিধা ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থাকবে না।

এ বিষয়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। এমন ব্যক্তিদের একটি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে এক কোটি ডোজ টিকা। সারা দেশে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে ৩টি নতুন কেন্দ্র। উপজেলায় ৫টি, পৌরসভায় ৩টি ও প্রতিটি জেলায় থাকবে ২০টি ভ্রাম্যমাণ টিকা দল। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ টিকা দল থাকবে ২৫ থেকে ৬০টি।

শামসুল হক বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনো রকম নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে, তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকাকেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবেই। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে। দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় ৫টি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

 

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি; বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে টিকা দেবে।

প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেও এসএমএস পাননি অনেকে। এখন থেকে এসএমএস ছাড়াই নেয়া যাবে টিকা। তবে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের জন্য এসএসএস লাগবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিবন্ধন ছাড়াই আগামী ১০ দিন টিকা দেয়া যাবে

আপডেট টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আরো সহজ করা হলো করোনার টিকাদান। আগামী ১০ দিন, কেন্দ্রে গেলেই মিলবে প্রথম ডোজের টিকা। লাগবে না নিবন্ধন। আর এরই মধ্যে যারা নিবন্ধন করে ফেলেছেন তারা মোবাইলে মেসেজ না পেলেও টিকা নিতে পারবেন।

১০ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার মাইলফলক পার করেছে দেশ। এবারের লক্ষ্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা ১২ কোটিতে উন্নীত করা। এজন্য নিবন্ধন ও মোবাইল ফোনে মেসেজ পাওয়ার নিয়ম তুলে নেয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এবারে টিকার প্রথম ডোজ নিতে নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ লাগবে না। কেন্দ্রে গেলেই শুধু নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়েই নেয়া যাবে টিকা। এই সুবিধা ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থাকবে না।

এ বিষয়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেয়া হবে। এমন ব্যক্তিদের একটি কার্ড দেয়া হবে। এই কার্ডই টিকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে এক কোটি ডোজ টিকা। সারা দেশে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে ৩টি নতুন কেন্দ্র। উপজেলায় ৫টি, পৌরসভায় ৩টি ও প্রতিটি জেলায় থাকবে ২০টি ভ্রাম্যমাণ টিকা দল। আর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ টিকা দল থাকবে ২৫ থেকে ৬০টি।

শামসুল হক বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনো রকম নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে, তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকাকেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবেই। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে। দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় ৫টি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।

 

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি; নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি; বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার দলগুলো ৩০০ জন এবং সিটি করপোরেশনের দলগুলো ৫০০ জন করে ব্যক্তিকে টিকা দেবে।

প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেও এসএমএস পাননি অনেকে। এখন থেকে এসএমএস ছাড়াই নেয়া যাবে টিকা। তবে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের জন্য এসএসএস লাগবে।