বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারনকারী ভারতীয় নারীর ছলনার শিকার সাধারণ মানুষ
- আপডেট টাইম : ০২:০৩:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
- / ২৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই রহস্যময়ি নারীর প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, সাধারন নিরীহ মানুষ।এই রহস্যময়ী নারীর নাম কখনো ঝুমাইয়া আখতার সাথি,কখনো রাবেয়া, নুপুর,ঝুমুর,আবার কখনো পারভীন, বিথী,মোছাঃ আরজু প্রকৃত নাম স্বপ্না বেরা।ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে বিভিন্ন ঠিকানা ব্যাবহার করে একের পর এক ভুয়া মামলা দিয়ে পুলিশ সহ সনামধন্য ব্যক্তিদের হয়রানি করছেন।সুত্রে জানা যায় এই রহস্যময়ী নরীর রয়েছে ঢাকা, গাজীপুর ও নরসিংদীতে বিশাল সিন্ডিকেট।তার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই নিঃশ্ব হয়ে পথে বসে গেছে অনেক পরিবারে তৈরী হয়েছ ব্যাপক অশান্তি।আশুলিয়ার এক গার্মেন্টস কারখানার কর্মকর্তা খলিলের সঙ্গে অবৈধভাবে থাকা ভারতীয় এই নারীর হয়রানির শিকার হয়েছে কারখানার কর্মকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তি।
২৩ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় এই চক্রান্তকারী নারীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী জিডি করেন,যাহার জিডি নং (১৭২৫)এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে একটি অভিযোগ করেন তিনি।হয়রানির শিকার জিয়াউর রহমান আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার।তিনি আশুলিয়ার কোনাপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।ভুক্তভুগী জিয়াউর রহমান জানান, আশুলিয়ার কোনাপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান বেঙ্গল পলিমার ওয়্যার কারখানায় সাব কন্ট্রাকে কাজ করতো। কিন্তু বিভিন্ন অপকর্মের কারণে তাকে কারখানা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই তার অভৈধভাবে থাকা ভারতীয় নারী স্বপ্না বেরাকে ব্যবহার করে চেইন নেওয়া, মারধর, টাকা পাওয়াসহ নানা বিষয়ে থানায় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও সাধারন ডায়েরী করে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বপ্না বেরার ভারতীয় পাসপোর্ট অনুযায়ী তার বাড়ি কলকাতার পশ্চিম বঙ্গের সোনারপুর এলাকার ফনিভোশন সরকারের মেয়ে। তার পাসপোর্ট অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার জন্য ৬০দিন মেয়াদের একটি ভিসা নিয়ে দেশে আছে। সে অনুযায়ী তার ভিসার মেয়াদ একই বছরের ৪মার্চ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি এখনো বাংলাদেশের আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটি কুচক্রী মহলের হাত ধরে স্বপ্না বেরা বাংলাদেশে এসে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তবে স্বপ্না বেরা বিভিন্ন জুটের গুডাউনে কাজ করে থাকে বলে জানা গেছে।জসিম উদ্দিন নামের এক ভোক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বেঙ্গল পলিমার ওয়ারস লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সাথে চলাচল করার কারণে তার বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ করেন স্বপ্না বেরা। এছাড়া খলিলুর রহমান তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। সোহেল রানা নামের আরেক ভোক্তভোগী জানান, একজন ভারতীয় নাগরিক হয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে থেকে মানুষদের নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনিও আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (১৮৮১) দায়ের করেন স্বপ্না বেরা ও খলিলুর রহমানের নামে।এদিকে, গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় ২০ নভেম্বর ২০২১ সালে পরিবারের সদস্য ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শান্তাহার পারভেজ নামের এক ব্যক্তি খলিলুর রহমান ও তার আশ্রয়ে থাকা স্বপ্না বেরার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এব্যাপারে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ও স্বপ্না বেরার বক্তব্য নিতে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এমনকি খলিলুর রহমানের বাড়ি আশুলিয়ার কোনাপাড়ায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।এব্যাপারে আশুলিয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ওই নারী ও খলিলুর রহমান নামের দুই জনের নামে একাধিক জিডি ও অভিযোগ হয়েছে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য এক সুত্রে জানা যায় এই রহস্যময়ি মহিলা গেন্ডারিয়া থানায় ছদ্দ নাম জুমাইয়া আক্তার সাথি স্বামী মোঃ মনিরুল ইসলাম, দেবপুর মোল্লা বাড়ি, থানা মোহাম্মদপুর, মাগুরা।বর্তমান ঠিকানা বামৈর, শেখ পাড়া, বাসা নং ১ নজরুল ইসলামের বাড়ি দ্বিতীয় তলা ব্যাবহার করে মামলা নং ১৮/ ২২ নভেম্বর ২০২১ মোঃ জসিম, মোঃ জিয়া হাওলাদার, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ খায়রুল কবির, বিল্লাল, মোছাঃ আয়সা আখতারকে আসামি করে মামলা রুজু করে। একই নাম ঠিকানা ব্যাবহার করে ১৭ ডিসেম্বর শ্যামপুর থানার আরেকটি মামলা নং ১৮/২৭৯ ধারা ৩২৩/ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ ৯(৪)(খ)৩০, ২০০০ সালের নরী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ধারা মোতাবেক কবির / মিরাজ, মোঃ শামসুল হক, বিল্লাল হোসেন, খায়রুল কবির, বিল্লাল, মোছঃ আয়সা আক্তারের নামে মামালা দায়ের করে।
এজাহারে একই নাম ঠিকানা ব্যাবহার একই ফরমেটে লেখা শুধু তারিখ ও থানার নাম পরিবর্তন করে আাবার ২৪ ডিসেম্বর হোটেল আল-হায়াতের সাদ্দাম(৩৪) মোঃ ইমরান(৩০) জাভেল হোসেন (৪০) গনের বিরুদ্ধে সৌদিআরব পঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করে। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগটি আমলে না নিয়ে এজাহারভুক্ত করে নাই। জানা যায় এই ঘটনা সাজিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কথিত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। রহস্যময়ী মামলাবাজ নারী,ছদ্ম নাম মোছঃ আরজু(৩৫) পিতাঃ মোঃ আমির হোসেন খোকন, কথিত স্বামী মোঃ আশিক, সাং আমকি হাজি বাড়ি থানা- সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী, বর্তমান মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, মামুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। উক্ত নাম ঠিকানা ব্যাবহার করে মাুগদা থানার মামলা নং ৬২/ ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ মোঃ সাদ্দাম হোসেন, (৪০) মোঃ জাভেল হোসেন(৪০) আলি(৩৭) মোছাঃ আনোয়ারা বেগম ওরফে আঙ্গুরী (৫০) নামে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করে। উক্ত মামলায় অভিযুক্ত সাদ্দাম গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। মুগদা থানা পুলিশ ধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা নেওয়ার কারনে কর্তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিলের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ