ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাচীন নিদর্শন ৬০০ বছরের পুরোনো ৩ গম্বুজ মসজিদ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  • / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদের মধ্যে একটি সনগাঁও তিন গম্বুজ মসজিদ।
মসজিদটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নে অবস্থিত। স্থানীয়রা বলছেন, মসজিদটি কোন আমলে তৈরি তার সঠিক বর্ণনা নেই । তবে তাঁরা বংশপরম্পরায় জেনেছেন, প্রায় ৬০০ বছর আগে মোঘল সম্রাট শাহ আলমের সময়ে মুসল্লিদের ধর্ম প্রচার ও নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণের পর সুধিবাদ নামে এক পীর ধর্মচর্চা ও প্রচারের জন্য সনগাঁও এলাকায় আসেন।
সেখানে তিনি নামাজ আদায় এবং ধর্ম প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে তাঁর মৃত্যু হলে মসজিদটির পাশেই দাফন করা হয়, যে সমাধি এখন পর্যন্ত রয়েছে। তবে সুধিবাদ পীর কোন দেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন তা জানা যায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ ও তিনটি দরজা রয়েছে।
মসজিদটিতে পোড়ামাটির ফলকে বিভিন্ন নকশার প্রতিকৃতি ছিল। তবে বর্তমানে সেগুলো প্রায় বিলুপ্ত। মসজিদের দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি পাকা কূপ। কূপের গায়ে পোড়া মাটির অস্পষ্ট বাংলা লিপি খোদাই করা রয়েছে।
তবে কূপটিতে মাটি ভরাট থাকায় কূপের গায়ে বাংলা লিপিতে পোড়া মাটির অস্পষ্ট খোদাই করা লেখা পড়া যায়নি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মসজিদটি এখনো সুরক্ষিত রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠদান কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। মসজটিতে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে থাকা ইয়াকুব আলী জানান, মসজিদটিতে একটি কাতার থাকার কারণে অনেক মুসল্লির নামাজ আদায়ে সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য বারান্দায় টিনের ছাউনি দিয়ে কাতার বাড়ানো হয়েছে।

তবে পুরোনো মসজিদটির কাতার ও অন্যান্য ব্যবস্থা আগের মতোই রাখা হয়েছে। কিন্তু গম্বুজগুলোর ওজন বেশি হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে মসজিদটি এবং পোড়ামাটির ফলকে বিভিন্ন নকশার যেসব প্রতিকৃতি ছিল, বর্তমানে সেগুলো প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজে তিন শতাধিক মুসল্লি মসজিদটিতে আসে।
 দেখাশোনার দায়িত্বে একজন মুয়াজ্জিন, দুজন ইমাম রয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন থেকে প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সনগাঁও তিন গম্বুজ মসজিদটিও তালিকায় রয়েছে।’সনগাঁও মসজিদে যেভাবে যাবেন- ঠাকুরগাঁও জেলা শহর হয়ে ২৩ কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় যাবেন। এরপর সেখান থেকে চার কিলোমিটার দূরে কালমেঘ বাজারে যাবেন। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর দিকে সনগাঁও গ্রামে ভ্যান বা রিকশা দিয়ে অতি সহজেই এই মসজিদে যেতে পারবেন।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাচীন নিদর্শন ৬০০ বছরের পুরোনো ৩ গম্বুজ মসজিদ

আপডেট টাইম : ০৪:৫২:৩৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ঠাকুরগাঁও সদর প্রতিনিধি।।

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদের মধ্যে একটি সনগাঁও তিন গম্বুজ মসজিদ।
মসজিদটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নে অবস্থিত। স্থানীয়রা বলছেন, মসজিদটি কোন আমলে তৈরি তার সঠিক বর্ণনা নেই । তবে তাঁরা বংশপরম্পরায় জেনেছেন, প্রায় ৬০০ বছর আগে মোঘল সম্রাট শাহ আলমের সময়ে মুসল্লিদের ধর্ম প্রচার ও নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটি নির্মাণের পর সুধিবাদ নামে এক পীর ধর্মচর্চা ও প্রচারের জন্য সনগাঁও এলাকায় আসেন।
সেখানে তিনি নামাজ আদায় এবং ধর্ম প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে তাঁর মৃত্যু হলে মসজিদটির পাশেই দাফন করা হয়, যে সমাধি এখন পর্যন্ত রয়েছে। তবে সুধিবাদ পীর কোন দেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন তা জানা যায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ ও তিনটি দরজা রয়েছে।
মসজিদটিতে পোড়ামাটির ফলকে বিভিন্ন নকশার প্রতিকৃতি ছিল। তবে বর্তমানে সেগুলো প্রায় বিলুপ্ত। মসজিদের দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি পাকা কূপ। কূপের গায়ে পোড়া মাটির অস্পষ্ট বাংলা লিপি খোদাই করা রয়েছে।
তবে কূপটিতে মাটি ভরাট থাকায় কূপের গায়ে বাংলা লিপিতে পোড়া মাটির অস্পষ্ট খোদাই করা লেখা পড়া যায়নি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মসজিদটি এখনো সুরক্ষিত রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠদান কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। মসজটিতে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে থাকা ইয়াকুব আলী জানান, মসজিদটিতে একটি কাতার থাকার কারণে অনেক মুসল্লির নামাজ আদায়ে সমস্যা হচ্ছিল। এ জন্য বারান্দায় টিনের ছাউনি দিয়ে কাতার বাড়ানো হয়েছে।

তবে পুরোনো মসজিদটির কাতার ও অন্যান্য ব্যবস্থা আগের মতোই রাখা হয়েছে। কিন্তু গম্বুজগুলোর ওজন বেশি হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে মাটির নিচে দেবে যাচ্ছে মসজিদটি এবং পোড়ামাটির ফলকে বিভিন্ন নকশার যেসব প্রতিকৃতি ছিল, বর্তমানে সেগুলো প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজে তিন শতাধিক মুসল্লি মসজিদটিতে আসে।
 দেখাশোনার দায়িত্বে একজন মুয়াজ্জিন, দুজন ইমাম রয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন থেকে প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সনগাঁও তিন গম্বুজ মসজিদটিও তালিকায় রয়েছে।’সনগাঁও মসজিদে যেভাবে যাবেন- ঠাকুরগাঁও জেলা শহর হয়ে ২৩ কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় যাবেন। এরপর সেখান থেকে চার কিলোমিটার দূরে কালমেঘ বাজারে যাবেন। সেখান থেকে দুই কিলোমিটার উত্তর দিকে সনগাঁও গ্রামে ভ্যান বা রিকশা দিয়ে অতি সহজেই এই মসজিদে যেতে পারবেন।