ঢাকা ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মেহেরপুরের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী গ্রেফতার ও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে গণসংবর্ধনা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৪ গাড়ির সংঘর্ষ, আহত ১৫ ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সগঞ্জের শ্রীনগরে ৪ টি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রমজানে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা স্বৈরাচারের পক্ষে যত বয়ান তৈরি হয়েছে, তার সবকিছু নথিভুক্ত করা হচ্ছে অনেক গণমাধ্যম স্বৈরাচারের হাতকে শক্তিশালী করেছে: প্রেস সচিব লক্ষ্মীপুরে হাজিরপাড়ার পুর্ব আলাদাদপুর আসলামিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন ডিসি সম্মেলনে গিয়ে ‘কষ্ট পেলেন’ প্রধান উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত জনমত জরিপ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুবারের বেশি চান না ৬৪ ভাগ মানুষ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই,ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, ৪৩৫ ঘর পুড়ে ছাই

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৩৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

কক্সবাজার অফিস।।
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর ও কমিউনিটি সেন্টারসহ ৪৩৫ টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Nogod
ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১ টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরও কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে কেউ অগ্নিসংযোগ করছেন বলে অনেকে আশংকাও প্রকাশ করছেন।এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, ৪৩৫ ঘর পুড়ে ছাই

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

কক্সবাজার অফিস।।
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর ও কমিউনিটি সেন্টারসহ ৪৩৫ টি পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

Nogod
ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫-২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১ টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘরসহ ৪৩৫ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ভাসমান আরও কিছু ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন দাবি করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে কেউ অগ্নিসংযোগ করছেন বলে অনেকে আশংকাও প্রকাশ করছেন।এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান জানান, হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং উৎস সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পুনর্বাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।