ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪

খানজাহানের বসতভিটা খননে বেরিয়ে আসছে বহু পুরোনো প্রত্নবস্তু

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২
  • / ১৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটে খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খননে বেরিয়ে আসছে ৬০০ বছর আগের পুরোনো প্রত্নবস্তু; যা দেখতে আসছেন শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী দর্শনার্থী। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এ খনন কাজ। চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ খননে এখন পর্যন্ত মাটির নিচে ইটের দেয়াল, সিমেন্ট ও বালুর তৈরি মেঝে, সুলতানি আমলে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পানির পাত্র, মাটির ঢাকনাসহ নানা তৈজসপত্র ও প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে।

এ খনন কাজে অংশ নিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের বিভিন্ন শ্রেণির ৭ জন কর্মকর্তা ও ১৪ শ্রমিক।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, ২০২১ সালের অক্টেবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের সদর উপজেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ করা হয়। জরিপে ১৫০টিরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন রেকর্ড করা হয়; যা ৫শ বছর বা তারও আগেকার।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যে খনন কাজ চলছে, সেখান থেকে মধ্যযুগের মানুষের বসবাসের বিভিন্ন স্থাপনার নির্দশন বেরিয়ে আসছে। এ নির্দশন কেমন ছিল তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণার একটি অংশ।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুলতানী আমলে বাগেরহাটে পুরাকীর্তিগুলো বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। ষাটগম্বুজ মসজিদসহ হযরত খানজাহানের (রহ.) বিভিন্ন পুরাকীর্তি দেখতে প্রতিনিয়ত বাগেরহাটে আসেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা; যা থেকে দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির কথা তাদের মনে করিয়ে দেয়।

আবার অনেক পুরাকীর্তি হারিয়ে যাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে খননের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর অজানাকে জানিয়ে দিচ্ছে; যা থেকে নতুন প্রজন্ম অজানা বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। খননের ফলে নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খানজাহানের বসতভিটা খননে বেরিয়ে আসছে বহু পুরোনো প্রত্নবস্তু

আপডেট টাইম : ০৭:৩৬:৩৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটে খানজাহান আলীর (রহ.) বসতভিটা খননে বেরিয়ে আসছে ৬০০ বছর আগের পুরোনো প্রত্নবস্তু; যা দেখতে আসছেন শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী দর্শনার্থী। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এ খনন কাজ। চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ খননে এখন পর্যন্ত মাটির নিচে ইটের দেয়াল, সিমেন্ট ও বালুর তৈরি মেঝে, সুলতানি আমলে ব্যবহৃত মাটির তৈরি পানির পাত্র, মাটির ঢাকনাসহ নানা তৈজসপত্র ও প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে।

এ খনন কাজে অংশ নিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের বিভিন্ন শ্রেণির ৭ জন কর্মকর্তা ও ১৪ শ্রমিক।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, ২০২১ সালের অক্টেবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের সদর উপজেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ করা হয়। জরিপে ১৫০টিরও বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন রেকর্ড করা হয়; যা ৫শ বছর বা তারও আগেকার।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যে খনন কাজ চলছে, সেখান থেকে মধ্যযুগের মানুষের বসবাসের বিভিন্ন স্থাপনার নির্দশন বেরিয়ে আসছে। এ নির্দশন কেমন ছিল তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণার একটি অংশ।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুলতানী আমলে বাগেরহাটে পুরাকীর্তিগুলো বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। ষাটগম্বুজ মসজিদসহ হযরত খানজাহানের (রহ.) বিভিন্ন পুরাকীর্তি দেখতে প্রতিনিয়ত বাগেরহাটে আসেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা; যা থেকে দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির কথা তাদের মনে করিয়ে দেয়।

আবার অনেক পুরাকীর্তি হারিয়ে যাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে খননের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর অজানাকে জানিয়ে দিচ্ছে; যা থেকে নতুন প্রজন্ম অজানা বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে। খননের ফলে নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।