ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ থেকে উদ্ধার: খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মো. রেজাউল হক, পিপিএম মহোদয়ের দৃষ্টান্তমূলক অভিযান” আজমিরীগঞ্জে  নোয়াগড় পঞ্চায়েত সমিতির টাকার হিসাব কে কেন্দ্র করে দুই গুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত শতাধিক। উভয় পক্ষে দোকান লুটপাট ও ভাংচুর।  প্রবাস থেকে ‘নাগরিক টিভি’র নামে ডিজিটাল চাঁদাবাজি # টিটো-সাকিব সিন্ডিকেটের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির শত কোটির তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আগেই পদত্যাগের আবেদন করেছিলেন মোয়াজ্জেম: উপদেষ্টা আসিফ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাঁস চুরির অভিযোগে মারধর ঘটনায় যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু । দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই হবিগঞ্জে তুমুল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক ভারত পাকিস্তান কি যুদ্ধে জড়াবে? চট্টগ্রামে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপনের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় শনিবার

ডিসিরা জানেন, কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে: দুদক চেয়ারম্যান

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একজন ডিসি জানেন, তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে। এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সব সময় সাহায্য করেন।… কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।’

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালের অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের একটি কাজ হল সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে, সেটা দেখাও দুদকের কাজ।’

ডিসিদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি।  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরণও বদলায়। কোথাও গণশুনানি করা হলে দুর্নীতির নতুন ধরণগুলোও জানা যায়। অবশ্য মহামারির কারণে এখন তা সীমিত আছে। ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করব। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কীভাবে- তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।’

দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দুদকপ্রধান বলেন, ‘আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়ত অনেক অভিযোগ থাকলেও সমাধানে সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করছি।

তার ভাষ্য, ‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটা না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউ তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে, তাদেরকেও আমরা জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিসিরা জানেন, কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে: দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট টাইম : ০৭:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একজন ডিসি জানেন, তার অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে। এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সব সময় সাহায্য করেন।… কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।’

ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালের অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশনের একটি কাজ হল সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে, সেটা দেখাও দুদকের কাজ।’

ডিসিদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘দুদকের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি।  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরণও বদলায়। কোথাও গণশুনানি করা হলে দুর্নীতির নতুন ধরণগুলোও জানা যায়। অবশ্য মহামারির কারণে এখন তা সীমিত আছে। ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করব। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কীভাবে- তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।’

দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দুদকপ্রধান বলেন, ‘আমাদের একটি সমস্যা হলো তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়ত অনেক অভিযোগ থাকলেও সমাধানে সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা। এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করছি।

তার ভাষ্য, ‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটা না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউ তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে, তাদেরকেও আমরা জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।’