ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

অনশনের ৩২ ঘণ্টা পার, শাবির ৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

শিক্ষা রিপোর্টে।।

কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। এক এক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ছয় শিক্ষার্থীকে।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। অনশনে বসার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেননি কোনো শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ছয় শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় সেসব হাসপাতালে।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে এক এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে এবং ১২জন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

অনশনরত শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যাবো না, আমি তো বলেই এলাম আমরণ অনশন করতে এসেছি। হাসপাতালে কেন যাবো? আন্দোলনে এসেছি না?

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদের অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছি। তারা ৩০ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বিকাল ৫টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনশনের ৩২ ঘণ্টা পার, শাবির ৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

শিক্ষা রিপোর্টে।।

কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। এক এক করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। অসুস্থ হয়ে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত ছয় শিক্ষার্থীকে।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। অনশনে বসার ৩২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন ভাঙেননি কোনো শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ছয় শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শমতে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি করা হয় সেসব হাসপাতালে।

জানা যায়, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজন, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে এক এবং মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।

অনশনরতদের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে ছয়জন হাসপাতালে এবং ১২জন শিক্ষার্থীকে আন্দোলনস্থলেই স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

অনশনরত শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিশাতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যাবো না, আমি তো বলেই এলাম আমরণ অনশন করতে এসেছি। হাসপাতালে কেন যাবো? আন্দোলনে এসেছি না?

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল টিমের সদস্য মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখানে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদের অনেক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। তবে এ সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করছি। তারা ৩০ ঘণ্টার ওপর কেউ কিছু খায়নি। তারা সবাই পানি স্বল্পতায় ভুগছেন।

তিনি বলেন, এখানে যাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে তাদের জন্য স্যালাইনসহ ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের এখানেই স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর যদি কোনো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজে শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এর আগে বিকাল ৫টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এসে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে।