তালার লক্ষণপুর রাস্তা নির্মাণে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন, বালু নয় উঠছে কাদামাটি
- আপডেট টাইম : ১২:৫৩:৩৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২২
- / ২২৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ।।
তালায় দ্বিগুণ লাভের আশায় পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন করছেন এক ঠিকাদার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামের খ্রিস্টান মিশনের পাশে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন রাস্তার বালু ভরাটের কাজে বালু ক্রয় না করে কৃষি জমি ধ্বংস করে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। এমনকি বালু উত্তোলনের সংবাদ ও ছবি সংগ্রহ করতে গেলে কর্তব্যরত শ্রমিকরা সাংবাদিকদের সামনে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে বালু তোলার ড্রেসার মেশিন ম্যান হাসান পালিয়ে যায় এবং অপারেটর মো: সাইফুল ইসলাম ও মো: রিপন তাড়াহুড়ো করে মেশিন বন্ধ করে চলে যায়। এসময় রাস্তায় ড্রেজার দিয়ে তোলা বালুতে হাত দিয়ে দেখা যায় তাতে বালুর পরিমাণ নেই বললেই চলে, ড্রেজার মেশিন দিয়ে যা উত্তোলন করা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রায় কাদামাটি। ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু নামের এই কাদামাটি দিয়ে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হলে অচিরেই এই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে এমনটাই দাবি সকলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী বলেন, তালা উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজর না থাকায় বালু খেকোরা বেপোরায়া হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন হানা দিলেও কিছু দিন পরে বালু খেকোরা আইনের তোয়াক্কা না করে পুনরায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সেটি আবার এক দুই দিন নয়, কোন কোন জায়গায় প্রায় ১০-১৫ অথবা তারও বেশি দিন যাবত চলে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের কাজ। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর আমি জানিনা। এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার বলেন, আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার কে বলছি বিষয়টি দেখার জন্য।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার ঘোষ সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, ফসলি জমিতে বা জমির আশে পাশে অবৈধ ভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।