ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

বগুড়াই এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে বহিস্কারের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান৷

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২২
  • / ১০২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাপ রিপোটার।।

বগুড়ায় এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে অভিযোগ উঠেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল বিভাগের ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের ছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি ৯/১২/২০২১ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিশ্চিত করেছেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী।

অভিযুক্ত কথিত ছাত্রী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয়ে সুমি আক্তার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ভূগোল বিভাগের ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী৷ যাহার (রোলনং ৫১০৫৬৮১) তিনি পর্নোগ্রাফী মামলায় বগুড়া কামার গাড়ী ছাত্রী নিবাস থেকে গ্রেফতার হয়ে বগুড়া জেলা কারাগারে দির্ঘ দিন বন্ধি ছিলেন ওই সময় ১২/১/২০২০ ইং নোটিসসহ সাময়িক বহিস্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷

তার অসদআচরণে একাধিক প্রিন্ট পত্রিকা ও ইলেকট্রিক মিডিয়াই শিরোনাম হয়েছেন৷

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা বলেন আমাদের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এর বিচার চাই। একজন ছাত্রী এতবড় নেক্কারজনক কাজ করতে পারেন অবিশ্বাস্য। আমাদের ছত্রদের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। যাচাই বাছাই শেষে কলেজ প্রসাশন ব্যবস্থা গ্রহন করবেন৷

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ অনার্স ভূগোল বিভাগে ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজের ছাত্র ছাত্রী বহিস্কার চেয়ে একটি স্মারক লিপি দিয়েছে সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়া গত ৯/১২/২০২১/এ ঘটনা ঘটে। (বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর) সরকারি আজিজিল হক কলেজের উপাচার্য মোঃ শাহাজাহান আলীর বরাবর দেওয়া এক আবেদনে বলা হয়, ওই ছাত্রী বিবাহিত ও ভর্তি তথ্য গোপন করে অসামাজিক কর্মকান্ড মামলায় ছাত্রীর বহিষ্কার দাবি জানিয়েছেন। উপাচার্য কাছে ছাত্রদের বলেছেন, তোমরা মেয়েটিকে কিছু বলনা বা মারধর করনা, মেয়েটির বিষয়ে সব জানি৷ এক সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর কথাবার্তা ও চালচলনে অসংগতি দেখা দিলে সিনিয়র ছাত্রদের অনুসন্ধান শুরু হয়। এক সময় তারা জানতে পারেন, ওই ছাত্রী সুমি আক্তার বিবাহিত স্বামী থাকা অবস্থায় ভর্তি তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়েছে স্বামী স্ত্রী দ্বন্দ্বে ৪/৫টি মামলা চলমান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে এক জনৈক গৃহবধূ সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে পরোকীয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে৷ সেই ফোন আলাপটি তা কলেজের বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাইল হয় বলেও জানা গেছে, বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যলয় শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনের বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। এখানে শৃংখলার অভাব রয়েছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন আজিজুল হক কলেজ একটি উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে সুমি আক্তার নামের একজন কথিত ছাত্রীর বিভিন্ন মামলা হামলা সামাজিক অপরাধ মূলক কর্ম কান্ডে সংবাদের শিরোনামে প্রিট অনলাইন পোর্টালে কলেজ ফেজবুক গ্রুপে তার কার্যকালাপ দেখি এবং পড়ি তাতে আমাদের ছাত্র ছাত্রীর ভাবমূতি নষ্ট হচ্ছে আমরা কয়েকজন মিলে সিন্ধান্ত নেই এটির প্রতিবাদ করতে হবে । সিনিয়র ভাইদের নিয়ে কলেজের সুনাম রক্ষার্থে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাননীয় অধ্যক্ষ বরাবর ৮/১২/২০২১ ইং তারিকে একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে কলেজ প্রশাসন কি ব্যবস্থায় নেয় আমরা দেখি ওই ছাত্রীর যথাযত ব্যবস্থা না নিলে আমরা পরবর্তিতে মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত নিবো কারণ তার অসামাজিক কার্মকান্ড আমাদের ভাবিয়ে তুলছে হয়ত তার ব্যাগ্রাউন এতাটা নিচু একটা ছাত্রকে খপ্পরে ফেলে ফয়দা হাসিল করতে না পারে সে সুযোগ যেনো কথিত ছাত্রীটি না পায়৷ এবিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে৷
স্মারক লিপি ও ওই ছাত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ প্রসাশন সাংবাদিকদের বলেন, আমারা ইতি মধ্য অভিযোগ পেয়েছি ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

অন্যদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজশিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে। শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কার আচরণ অস্বাভাবিক তা বোঝা দুস্কর। যেহেতু তারা পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায় ও পরিবারের সান্নিধ্যে থাকে বেশি, তাই অভিভাবকদের উচিত তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, তাদের আচরণে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা। কলেজে ভর্তি করে দিলেই অভিভাবকদের দায়িত্ব শেষ তা মনে করা উচিত নয়৷

অভিযুক্ত সুমি আক্তারের মুঠোফোন একাধিক বার কল দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেলেই বলেন আমি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলিনা। এবং সাংবাদিকদের আমার কাছে টাইম নেই বলে কল কেটে দেন সুমি আক্তার। তাই ওই স্মারক লিপির বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়াই এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে বহিস্কারের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান৷

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২২

স্টাপ রিপোটার।।

বগুড়ায় এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে অভিযোগ উঠেছে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল বিভাগের ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের ছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি ৯/১২/২০২১ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নিশ্চিত করেছেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী।

অভিযুক্ত কথিত ছাত্রী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয়ে সুমি আক্তার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ভূগোল বিভাগের ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী৷ যাহার (রোলনং ৫১০৫৬৮১) তিনি পর্নোগ্রাফী মামলায় বগুড়া কামার গাড়ী ছাত্রী নিবাস থেকে গ্রেফতার হয়ে বগুড়া জেলা কারাগারে দির্ঘ দিন বন্ধি ছিলেন ওই সময় ১২/১/২০২০ ইং নোটিসসহ সাময়িক বহিস্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ৷

তার অসদআচরণে একাধিক প্রিন্ট পত্রিকা ও ইলেকট্রিক মিডিয়াই শিরোনাম হয়েছেন৷

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা বলেন আমাদের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এর বিচার চাই। একজন ছাত্রী এতবড় নেক্কারজনক কাজ করতে পারেন অবিশ্বাস্য। আমাদের ছত্রদের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। যাচাই বাছাই শেষে কলেজ প্রসাশন ব্যবস্থা গ্রহন করবেন৷

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ অনার্স ভূগোল বিভাগে ২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজের ছাত্র ছাত্রী বহিস্কার চেয়ে একটি স্মারক লিপি দিয়েছে সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি আজিজুল হক কলেজ বগুড়া গত ৯/১২/২০২১/এ ঘটনা ঘটে। (বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর) সরকারি আজিজিল হক কলেজের উপাচার্য মোঃ শাহাজাহান আলীর বরাবর দেওয়া এক আবেদনে বলা হয়, ওই ছাত্রী বিবাহিত ও ভর্তি তথ্য গোপন করে অসামাজিক কর্মকান্ড মামলায় ছাত্রীর বহিষ্কার দাবি জানিয়েছেন। উপাচার্য কাছে ছাত্রদের বলেছেন, তোমরা মেয়েটিকে কিছু বলনা বা মারধর করনা, মেয়েটির বিষয়ে সব জানি৷ এক সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর কথাবার্তা ও চালচলনে অসংগতি দেখা দিলে সিনিয়র ছাত্রদের অনুসন্ধান শুরু হয়। এক সময় তারা জানতে পারেন, ওই ছাত্রী সুমি আক্তার বিবাহিত স্বামী থাকা অবস্থায় ভর্তি তথ্য গোপন করে ভর্তি হয়েছে স্বামী স্ত্রী দ্বন্দ্বে ৪/৫টি মামলা চলমান ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার বিরুদ্ধে এক জনৈক গৃহবধূ সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে পরোকীয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে৷ সেই ফোন আলাপটি তা কলেজের বিভিন্ন গ্রুপে ভাইরাইল হয় বলেও জানা গেছে, বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যলয় শিক্ষকরা দায়িত্ব পালনের বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীন। এখানে শৃংখলার অভাব রয়েছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন আজিজুল হক কলেজ একটি উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে সুমি আক্তার নামের একজন কথিত ছাত্রীর বিভিন্ন মামলা হামলা সামাজিক অপরাধ মূলক কর্ম কান্ডে সংবাদের শিরোনামে প্রিট অনলাইন পোর্টালে কলেজ ফেজবুক গ্রুপে তার কার্যকালাপ দেখি এবং পড়ি তাতে আমাদের ছাত্র ছাত্রীর ভাবমূতি নষ্ট হচ্ছে আমরা কয়েকজন মিলে সিন্ধান্ত নেই এটির প্রতিবাদ করতে হবে । সিনিয়র ভাইদের নিয়ে কলেজের সুনাম রক্ষার্থে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাননীয় অধ্যক্ষ বরাবর ৮/১২/২০২১ ইং তারিকে একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে কলেজ প্রশাসন কি ব্যবস্থায় নেয় আমরা দেখি ওই ছাত্রীর যথাযত ব্যবস্থা না নিলে আমরা পরবর্তিতে মানব বন্ধনের সিদ্ধান্ত নিবো কারণ তার অসামাজিক কার্মকান্ড আমাদের ভাবিয়ে তুলছে হয়ত তার ব্যাগ্রাউন এতাটা নিচু একটা ছাত্রকে খপ্পরে ফেলে ফয়দা হাসিল করতে না পারে সে সুযোগ যেনো কথিত ছাত্রীটি না পায়৷ এবিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে৷
স্মারক লিপি ও ওই ছাত্রীর বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ প্রসাশন সাংবাদিকদের বলেন, আমারা ইতি মধ্য অভিযোগ পেয়েছি ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের উপস্থিতিতে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

অন্যদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজশিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে। শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কার আচরণ অস্বাভাবিক তা বোঝা দুস্কর। যেহেতু তারা পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায় ও পরিবারের সান্নিধ্যে থাকে বেশি, তাই অভিভাবকদের উচিত তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, তাদের আচরণে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা। কলেজে ভর্তি করে দিলেই অভিভাবকদের দায়িত্ব শেষ তা মনে করা উচিত নয়৷

অভিযুক্ত সুমি আক্তারের মুঠোফোন একাধিক বার কল দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেলেই বলেন আমি কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলিনা। এবং সাংবাদিকদের আমার কাছে টাইম নেই বলে কল কেটে দেন সুমি আক্তার। তাই ওই স্মারক লিপির বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷