ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার মরহুম সিদ্দিকুর রহমান সাহেবের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত রছুল্লাবাদ শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

ম্যাচ ফিক্সারদের বিষয়ে এখনও আগের অবস্থানে হাফিজ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১০:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ২৭৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

খেলার রিপোর্ট।।

 

পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়মিত ঘটনা।  এই অপরাধে জড়িয়ে দেশটির বহু ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। সাবেক কিংবদন্তিদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধেও এ অভিযোগ রয়েছে।  তবে কেউ কেউ ফিক্সিং করেও দ্বিতীয়বার খেলায় সুযোগ পেয়েছেন।

তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ বরাবরই ক্রিকেটারদের দুর্নীতির বিষয়ে সোচ্চার। ফিক্সিংয়ে জড়িতদের খেলায় সুযোগ দেওয়ায় ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন হাফিজ। এ নিয়ে তাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের রোষানলে পড়তে হয়েছিল।

বিদায়বেলায় সেই কষ্টের কথা সামনে এনেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ৪১ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন।

ক্রিকেট পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে— লাহোরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ ঘোষণা দেন ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার।  বিদায়বেলায় তার ঘটনাবহুল ক্যারিয়ারের নানা অর্জন, প্রাপ্তি ও তৃপ্তির কথা যেমন উঠে আসে অনেক, তেমনি তার কাছে জানতে চাওয়া হয় হতাশার অধ্যায়গুলো নিয়েও।

হাফিজ বলেন, ‘আমি তখন এবং এখনও ফিক্সারদের বিপক্ষে।  ফিক্সিংয়ে জড়িতদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হোক সেটি আমি কখনও চাইনি। কিন্তু তখন (হাফিজের ঘটনায়) পিসিবি চেয়ারম্যান আমাকে নিজের চরকায় তেল দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমরা খেলতে না চাইলে সমস্যা নেই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওই খেলোয়াড় খেলবে। এ কথা শুনে আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ি।’

হাফিজ এদিন ফিরে যান ৬ বছর আগের এক ঘটনায়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পের ঘটনা সেটি।  স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানো জাতীয় দলের সিমার মোহাম্মদ আমিরকে ডাকা হয় ওই ক্যাম্পে। ম্যাচ ফিক্সারকে আবার সুযোগ দেওয়ার প্রতিবাদে তখন ক্যাম্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন হাফিজ এবং সেই সময়ের ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলি।

হাফিজ বলেন, আমি এখনও ফিক্সারদের জাতীয় দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার বিরোধী।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ম্যাচ ফিক্সারদের বিষয়ে এখনও আগের অবস্থানে হাফিজ

আপডেট টাইম : ১০:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

খেলার রিপোর্ট।।

 

পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়মিত ঘটনা।  এই অপরাধে জড়িয়ে দেশটির বহু ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। সাবেক কিংবদন্তিদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধেও এ অভিযোগ রয়েছে।  তবে কেউ কেউ ফিক্সিং করেও দ্বিতীয়বার খেলায় সুযোগ পেয়েছেন।

তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ বরাবরই ক্রিকেটারদের দুর্নীতির বিষয়ে সোচ্চার। ফিক্সিংয়ে জড়িতদের খেলায় সুযোগ দেওয়ায় ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন হাফিজ। এ নিয়ে তাকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের রোষানলে পড়তে হয়েছিল।

বিদায়বেলায় সেই কষ্টের কথা সামনে এনেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ৪১ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন।

ক্রিকেট পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে— লাহোরে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ ঘোষণা দেন ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার।  বিদায়বেলায় তার ঘটনাবহুল ক্যারিয়ারের নানা অর্জন, প্রাপ্তি ও তৃপ্তির কথা যেমন উঠে আসে অনেক, তেমনি তার কাছে জানতে চাওয়া হয় হতাশার অধ্যায়গুলো নিয়েও।

হাফিজ বলেন, ‘আমি তখন এবং এখনও ফিক্সারদের বিপক্ষে।  ফিক্সিংয়ে জড়িতদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হোক সেটি আমি কখনও চাইনি। কিন্তু তখন (হাফিজের ঘটনায়) পিসিবি চেয়ারম্যান আমাকে নিজের চরকায় তেল দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমরা খেলতে না চাইলে সমস্যা নেই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওই খেলোয়াড় খেলবে। এ কথা শুনে আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ি।’

হাফিজ এদিন ফিরে যান ৬ বছর আগের এক ঘটনায়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের আগে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পের ঘটনা সেটি।  স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানো জাতীয় দলের সিমার মোহাম্মদ আমিরকে ডাকা হয় ওই ক্যাম্পে। ম্যাচ ফিক্সারকে আবার সুযোগ দেওয়ার প্রতিবাদে তখন ক্যাম্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন হাফিজ এবং সেই সময়ের ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলি।

হাফিজ বলেন, আমি এখনও ফিক্সারদের জাতীয় দলে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার বিরোধী।