পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ১লাখ টাকা দাবি করেন এসআই হারুন
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
- / ২৪৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
সজল কর্মকার ভূমিহীন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবশেষে চাকরি পেয়েছেন বটে কিন্তু তবে চাকরির ফাইনাল পুলিশ ভেরিফিকেশনে লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ উঠেছে বেতাগী থানার এসআই হারুন অর-রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চিন্তিত সজলের পরিবার।
সজলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার মারফত এক লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন বেতাগী থানার এসআই মো. হারুন অর-রশিদ ফরাজী। পরে সজলের বাবা বেতাগী থানায় পুলিশ ট্রেনিংয়ে যোগদানের নোটিশপত্র আনতে গেলে তার কাছে ঘুষের পরিমাণ কমিয়ে সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এসআই হারুন বলেন, খরচ না পেলে (৫০ হাজার টাকা ঘুষ) ভেরিফিকেশনে সমস্যা হবে কিন্তু!
সজলের বাবা অমল কর্মকার বলেন, এসআই হারুন স্যারের এমন প্রশ্নে আমি বলি- টাকার ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও রিপন (আওয়ামী লীগ নেতা) কথা বলবেন। আমি টাকা পাব কোথায়? জানেনই তো! কত জটিলতা কাটিয়ে ছেলেটার (সজলের) চাকরি হয়েছে। পরে এসআই হারুন স্যার বলেন, আপনি ব্যবস্থা করেন, টাকা কি তারা দেবে? পরে আমি বলে এসেছি স্যার আপনি কাগজপত্র পাঠান। আমার নিজের সামর্থ্য নেই, আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানাব।
উল্লেখ্য, সজলের চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রথম থেকেই সংবাদ মাধ্যম সোচ্চার ছিল, এমনকি সজলের চাকরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় ধারাবাহিক সংবাদ। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে সজল তার কাঙ্খিত চাকরিটি পান। ইতোমধ্যে পুলিশ ট্রেনিংয়ের যোগাদানপত্রের নোটিশ হাতে পেয়ে ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্যে বরগুনা পুলিশ লাইনেও উপস্থিত হয়েছেন সজল।
এদিকে চাকরির ভেরিফিকেশনে ঘুস বাণিজ্যের গুঞ্জন ওঠে সজলের এলাকায়। অনুসন্ধানী দল এসআই হারুনের ঘুস দাবির ব্যাপারে খোঁজ নিলে মুখ খোলেন ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান খান এবং ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, শুরু থেকেই এক লাখ টাকা চাচ্ছেন বেতাগী থানার এসআই হারুন। চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর বারবার ৫০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে দিতে বলতেছেন। আমি একজন চেয়ারম্যান হিসেবে কীভাবে এই টাকা এনে দেই? ওদের পরিবার যথেষ্ট অসচ্ছল। টাকা পাবেই বা কোথায়? আপনারা (সাংবাদিকরা) দেখেন কথা বলে কীভাবে কী করা যায়। এ নিয়ে ফোনে না, সামনা-সামনি কথা বলব।