ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা এক লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু

রাজশাহী বাঘার বাউসা ইউনিয়নে আ’লীগের পরাজয়ের কারণ কি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩০৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধি।।
,বাঘা  রাজশাহীর বাঘায় তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আ’লীগের পরাজয় হয়েছে।এই পরাজয়ের কারণ হিসাবে তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কতিপয় নেতাকে দায়ি করেছেন। তাদের অভিযোগ, যারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনেকেই নৌকায় ভোট দেননি। তারা ভোট দিয়েছেন একই দলের বিদ্রোহীকে। তাই এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী ও চলমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের নিকটতম কর্মীরা জানান, এই ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যার্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই দিনের আলোয় দলীয় প্রার্থীর জন্য গান গাইলেও রাতের আধারে তারা অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এসব কথা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর একাধিক কর্মীদের মুখ থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরিয়ে আসছে।

এদিকে নির্বাচনের পূর্বে এই ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ ছুড়ে বলে ছিলেন ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ আলী মলিন, নুর মোহাম্মদ তুফানের প্রতিবেশী হওয়ায় তিনি ও তার লোকজন আ’লীগ বিদ্রোহীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন। ফলে নানা কারনেই সেখানে বিদ্রোহীর পাল্লা ভারি ছিলো।

বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন জোনান, এবার কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা থাকায় আমরা উপজেলা এবং পৌর বিএনপির কোন নেতা-কর্মী ইউনিয়নে ভোট করতে যাইনি। তবে গত নির্বাচনে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী মলিনের বিপক্ষে আনোয়ার হোসেন পলাশ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি পরাজিত হন। আর সেখানে নির্বাচিত হন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। এ কারেনে এবার আশরাফ আলী মলিন নিজে ভোট না চাইলেও তার কিছু লোকজন আ’লীগের বিদ্রোহীকে ভোট দিয়েছে এমনটি শুনেছি।

সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি পরাজিত হবো এটা স্বপ্নেও ভাবিনি । আমাকে পরাজিত করেছেন দলের স্বার্থনেশী কিছু মানুষ ।তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছি, অর্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে নীতি-নৈতিকতা ও মানবতা পরাজিত। এ জন্য তাদের পস্তাতে হবে ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহী বাঘার বাউসা ইউনিয়নে আ’লীগের পরাজয়ের কারণ কি

আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

বাঘা রাজশাহী প্রতিনিধি।।
,বাঘা  রাজশাহীর বাঘায় তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে আ’লীগের পরাজয় হয়েছে।এই পরাজয়ের কারণ হিসাবে তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কতিপয় নেতাকে দায়ি করেছেন। তাদের অভিযোগ, যারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনেকেই নৌকায় ভোট দেননি। তারা ভোট দিয়েছেন একই দলের বিদ্রোহীকে। তাই এখানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী ও চলমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের নিকটতম কর্মীরা জানান, এই ইউনিয়নে যারা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যার্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই দিনের আলোয় দলীয় প্রার্থীর জন্য গান গাইলেও রাতের আধারে তারা অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এসব কথা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর একাধিক কর্মীদের মুখ থেকে আগুনের ফুলকির মতো বেরিয়ে আসছে।

এদিকে নির্বাচনের পূর্বে এই ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ ছুড়ে বলে ছিলেন ঐ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ আলী মলিন, নুর মোহাম্মদ তুফানের প্রতিবেশী হওয়ায় তিনি ও তার লোকজন আ’লীগ বিদ্রোহীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন। ফলে নানা কারনেই সেখানে বিদ্রোহীর পাল্লা ভারি ছিলো।

বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন জোনান, এবার কেন্দ্রীয় ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষনা থাকায় আমরা উপজেলা এবং পৌর বিএনপির কোন নেতা-কর্মী ইউনিয়নে ভোট করতে যাইনি। তবে গত নির্বাচনে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী মলিনের বিপক্ষে আনোয়ার হোসেন পলাশ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনি পরাজিত হন। আর সেখানে নির্বাচিত হন আ’লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। এ কারেনে এবার আশরাফ আলী মলিন নিজে ভোট না চাইলেও তার কিছু লোকজন আ’লীগের বিদ্রোহীকে ভোট দিয়েছে এমনটি শুনেছি।

সার্বিক বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমার উন্নয়ন দৃশ্যমান। আমি পরাজিত হবো এটা স্বপ্নেও ভাবিনি । আমাকে পরাজিত করেছেন দলের স্বার্থনেশী কিছু মানুষ ।তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছি, অর্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে নীতি-নৈতিকতা ও মানবতা পরাজিত। এ জন্য তাদের পস্তাতে হবে ।