ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ

ভয়ংকর প্রতারক সাতক্ষীরা টু গাজীপুরের তরিকুল ওরফে তারেক চিটারের অপকর্ম, (পর্ব ১)

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক, জন্ম ঠিকানা মাছখোলা সাতক্ষীরা সদর, পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা তালা সাতক্ষীরা। পিতার নাম মোঃ নাসির উদ্দীন শেখ। পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা দাবি করলেও কোন এক কারনে তার পিতা তাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না বলে জানা গেছে। প্রতারনা চিটারি বাটপারি তার পেশা এবং রাতারাতি বড়লোক হওয়া ও বিবাহ তার নেশা। ছোট বেলা থেকেই রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গাজীপুর গিয়ে প্রথমে পোশাক শিল্পে কাজ নেয় তরিকুল। ঢাকা গাজীপুর গিয়ে নিজের আসল নাম গোপন রেখে নিজেকে সেখানে তারেক নামে পরিচিত করে। গাজীপুর নাওজোড় হোছেন মার্কেট বাবু মার্কেট এলাকায় গিয়ে তারেক চিটার বললে সবাই তাকে এক বাক্যে চেনে। তবে শুধু তারেক বললে খুব একটা কেউ চিনতে পারেনা, অবশ্যই তারেক (চিটার) বলতে হবে। পোশাক শিল্পে কাজের ফাকে ফাকে বিভিন্ন ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে সে। এরপর কয়েক বছর পোশাক শিল্পে কাজ করার পর তার বড়লোক হওয়ার মিশন পুর্ন করার লক্ষে পোশাক শিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে পোশাকের ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসাকে ফাঁদ হিসাবে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করা শুরু করে সে। মাল দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে মাল না দেয়া, ভালো মালের স্যাম্পল দেখিয়ে অচল ছেড়া ফাটা মাল চালিয়ে দেয়া, ব্যবসার জন্য ওন্যের অফিস ভাড়া নিয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়ে আসা, মোটা বেতনের আশা দিয়ে পোশাক কর্মিদের চাকুরী থেকে ছুটিয়ে এনে নিজের কাজে ব্যাবহার করে বেতন না দেয়া, চাকুরি দেয়ার নাম করে মানুষকে সর্বশান্ত করা সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষেকে প্রতারিত করে এসেছে সে। এভাবে চলতে চলতে শুরু হয় করোনা মহামারী। এই করোনাকে পুজি করে তরিকুল ওরফে তারেক মাস্কের ব্যবসার নামে পেতে বসে আরো ভয়ংকর ফাঁদ। মাক্স সরবরাহ মাক্স তৈরীর সরঞ্জাম ও মেশিন সরবরাহের নামে এবং পোশাকের ব্যবসার নামে ঢাকা গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল, টঙ্গীর ব্যবসায়ী রাজু, টঙ্গীর আরেক ব্যবসায়ী তারেক, উত্তরার ব্যবসায়ী সাকিল, সাভারের ব্যবসায়ী শাহীন, সাভারের ফিনিশিং কোম্পানি লাপেষ্টা সহ অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক। এছাড়াও এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ঢাকা গাজীপুর এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে। সকল পাওনাদার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ প্রতারককে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাচ্ছেনা। এই প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেকের প্রতারনা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন প্রতিবন্ধী ভাই সিরাজুল ইসলাম (তহিদ)। তার আপন প্রতিবন্ধী ভাইকে ব্যবসা করার কথা বলে গাজীপুর এনে প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দুইলক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে শুন্য হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক। প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক বর্তমানে তার স্ত্রীর পরামর্শে সাতক্ষীরায় পালিয়ে আছে বলে জানাগেছে। তরিকুল ওরফে তারেক সাতক্ষীরায় পালিয়ে থাকলেও তার স্ত্রী গাজীপুর নাওজোড় বাবু মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছে এবং একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছে। এই প্রতারক বর্তমানে বহাল থাকা তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বড়লোক হওয়ার আশায় প্রতারনার মাধ্যমে গাজীপুর আরো একটি বিয়ে করে, পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি জানাজানি হলে সেটি বিচ্ছেদ ঘটে। তরিকুল ওরফে তারেকের এই প্রতারনা সইতে না পেরে গাজীপুরের স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। প্রতারক তরিকুল ২০০৭ সালে গাজীপুর কোর্ট থেকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তার প্রথম স্ত্রীকেও তালাক দেই, বর্তমানে তরিকুল ওরফে তারেক চিটার সেই প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভয়ংকর প্রতারক সাতক্ষীরা টু গাজীপুরের তরিকুল ওরফে তারেক চিটারের অপকর্ম, (পর্ব ১)

আপডেট টাইম : ০১:০৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক, জন্ম ঠিকানা মাছখোলা সাতক্ষীরা সদর, পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা তালা সাতক্ষীরা। পিতার নাম মোঃ নাসির উদ্দীন শেখ। পিতৃ ঠিকানা মুড়াগাছা দাবি করলেও কোন এক কারনে তার পিতা তাকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেন না বলে জানা গেছে। প্রতারনা চিটারি বাটপারি তার পেশা এবং রাতারাতি বড়লোক হওয়া ও বিবাহ তার নেশা। ছোট বেলা থেকেই রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গাজীপুর গিয়ে প্রথমে পোশাক শিল্পে কাজ নেয় তরিকুল। ঢাকা গাজীপুর গিয়ে নিজের আসল নাম গোপন রেখে নিজেকে সেখানে তারেক নামে পরিচিত করে। গাজীপুর নাওজোড় হোছেন মার্কেট বাবু মার্কেট এলাকায় গিয়ে তারেক চিটার বললে সবাই তাকে এক বাক্যে চেনে। তবে শুধু তারেক বললে খুব একটা কেউ চিনতে পারেনা, অবশ্যই তারেক (চিটার) বলতে হবে। পোশাক শিল্পে কাজের ফাকে ফাকে বিভিন্ন ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে সে। এরপর কয়েক বছর পোশাক শিল্পে কাজ করার পর তার বড়লোক হওয়ার মিশন পুর্ন করার লক্ষে পোশাক শিল্পের কাজ ছেড়ে দিয়ে পোশাকের ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসাকে ফাঁদ হিসাবে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করা শুরু করে সে। মাল দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে মাল না দেয়া, ভালো মালের স্যাম্পল দেখিয়ে অচল ছেড়া ফাটা মাল চালিয়ে দেয়া, ব্যবসার জন্য ওন্যের অফিস ভাড়া নিয়ে টাকা না দিয়ে পালিয়ে আসা, মোটা বেতনের আশা দিয়ে পোশাক কর্মিদের চাকুরী থেকে ছুটিয়ে এনে নিজের কাজে ব্যাবহার করে বেতন না দেয়া, চাকুরি দেয়ার নাম করে মানুষকে সর্বশান্ত করা সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষেকে প্রতারিত করে এসেছে সে। এভাবে চলতে চলতে শুরু হয় করোনা মহামারী। এই করোনাকে পুজি করে তরিকুল ওরফে তারেক মাস্কের ব্যবসার নামে পেতে বসে আরো ভয়ংকর ফাঁদ। মাক্স সরবরাহ মাক্স তৈরীর সরঞ্জাম ও মেশিন সরবরাহের নামে এবং পোশাকের ব্যবসার নামে ঢাকা গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে। গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল, টঙ্গীর ব্যবসায়ী রাজু, টঙ্গীর আরেক ব্যবসায়ী তারেক, উত্তরার ব্যবসায়ী সাকিল, সাভারের ব্যবসায়ী শাহীন, সাভারের ফিনিশিং কোম্পানি লাপেষ্টা সহ অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক। এছাড়াও এই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ঢাকা গাজীপুর এলাকার অসংখ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে। সকল পাওনাদার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ প্রতারককে ঢাকা গাজীপুর এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাচ্ছেনা। এই প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেকের প্রতারনা থেকে রেহাই পায়নি তার আপন প্রতিবন্ধী ভাই সিরাজুল ইসলাম (তহিদ)। তার আপন প্রতিবন্ধী ভাইকে ব্যবসা করার কথা বলে গাজীপুর এনে প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দুইলক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে শুন্য হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক। প্রতারক তরিকুল ওরফে তারেক বর্তমানে তার স্ত্রীর পরামর্শে সাতক্ষীরায় পালিয়ে আছে বলে জানাগেছে। তরিকুল ওরফে তারেক সাতক্ষীরায় পালিয়ে থাকলেও তার স্ত্রী গাজীপুর নাওজোড় বাবু মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছে এবং একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছে। এই প্রতারক বর্তমানে বহাল থাকা তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বড়লোক হওয়ার আশায় প্রতারনার মাধ্যমে গাজীপুর আরো একটি বিয়ে করে, পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি জানাজানি হলে সেটি বিচ্ছেদ ঘটে। তরিকুল ওরফে তারেকের এই প্রতারনা সইতে না পেরে গাজীপুরের স্ত্রী বিচ্ছেদের পর আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। প্রতারক তরিকুল ২০০৭ সালে গাজীপুর কোর্ট থেকে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে তার প্রথম স্ত্রীকেও তালাক দেই, বর্তমানে তরিকুল ওরফে তারেক চিটার সেই প্রথম স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে।