ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

সন্তানের স্বীকৃতি দিচ্ছে না বাবা পাশে দাড়ালো বরগুনার কৃতি সন্তান সিরাজগঞ্জের সি আই ডি পুলিশ সুপার।

  • আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৫২ ৫০০.০০০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক এইচ এম আবু তালেব।।

সিরাজগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটায় এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গর্ভবতী মা।

কিন্তু বাবা হতে রাজি হয়নি পিতা। এ নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে শাহজাদপুর কোর্টে অভিযোগ দায়ের হলেও তার অনুসন্ধান এখনও চলছে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়েই সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ গর্ভবতী মায়ের দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে। মামলার সঠিক তদন্ত আর নবজাতকের দেখভালের দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার।

মামলার বিবরণ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের মৃত সোরমান মণ্ডলের মেয়ে পিয়ারা খাতুনের (৩২) বিয়ে হয় চৌহালীর জিদপুরে। কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর আর সে সংসার করা হয়ে ওঠেনি পিয়ারার। পারিবারিক নানা কারণে তালাক হয় পিয়ারার। কিন্তু বছর খানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল মোবাইলে স্বামী পরিত্যক্তা পিয়ারার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে চৌহালীর খাস কাউলিয়া কাজি অফিসের রিপনের কাছে সাক্ষীদের সামনে বিয়েও করেন তারা। পরে পোশাক কারখানায় কাজ করার জন্য পাড়ি দেন ঢাকার সাভারে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এরমধ্যে পিয়ারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বেশ কিছুদিন পর হাফিজুল বাচ্চা প্রসব করার জন্য পিয়ারাকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরই হাফিজুল উল্টোপথে হাটতে শুরু করে।

বিয়েসহ গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে সে। উপায় না পেয়ে পিয়ারা ছুটে যায় চৌহালীর খাস কাউলিয়া রিপন কাজীর কাছে। কিন্তু কাজী বিয়ের বিষয় অস্বীকার করে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শাহজাদপুর আদালতে বিয়ে এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা। আর এই অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সিরাজগঞ্জ সিআইডি। তদন্ত এখনও চলছে। ইতোমধ্যে গর্ভের সন্তান বাড়তে থাকে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) প্রসবের ব্যথা উঠলে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেয় পিয়ারা। মানবিক কারণে সিআইডির কর্মকর্তা শাহজাদপুরের জামিরতা থেকে পিয়ারাকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে এনে প্রসবের সকল ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান।

সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠ নিউজকে জানান, মেয়েটির পিতৃত্বের পরিচয় সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। মানবিক কারণেই তারা গর্ভবতী মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও ফুটফুটে শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে তারা সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অসহায় মা ও শিশুটির পাশে থাকবেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সন্তানের স্বীকৃতি দিচ্ছে না বাবা পাশে দাড়ালো বরগুনার কৃতি সন্তান সিরাজগঞ্জের সি আই ডি পুলিশ সুপার।

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক এইচ এম আবু তালেব।।

সিরাজগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটায় এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গর্ভবতী মা।

কিন্তু বাবা হতে রাজি হয়নি পিতা। এ নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে শাহজাদপুর কোর্টে অভিযোগ দায়ের হলেও তার অনুসন্ধান এখনও চলছে। আর এই অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়েই সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ গর্ভবতী মায়ের দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে। মামলার সঠিক তদন্ত আর নবজাতকের দেখভালের দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার।

মামলার বিবরণ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের মৃত সোরমান মণ্ডলের মেয়ে পিয়ারা খাতুনের (৩২) বিয়ে হয় চৌহালীর জিদপুরে। কিন্তু সন্তান জন্মদানের পর আর সে সংসার করা হয়ে ওঠেনি পিয়ারার। পারিবারিক নানা কারণে তালাক হয় পিয়ারার। কিন্তু বছর খানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল মোবাইলে স্বামী পরিত্যক্তা পিয়ারার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে চৌহালীর খাস কাউলিয়া কাজি অফিসের রিপনের কাছে সাক্ষীদের সামনে বিয়েও করেন তারা। পরে পোশাক কারখানায় কাজ করার জন্য পাড়ি দেন ঢাকার সাভারে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এরমধ্যে পিয়ারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বেশ কিছুদিন পর হাফিজুল বাচ্চা প্রসব করার জন্য পিয়ারাকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরই হাফিজুল উল্টোপথে হাটতে শুরু করে।

বিয়েসহ গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে সে। উপায় না পেয়ে পিয়ারা ছুটে যায় চৌহালীর খাস কাউলিয়া রিপন কাজীর কাছে। কিন্তু কাজী বিয়ের বিষয় অস্বীকার করে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শাহজাদপুর আদালতে বিয়ে এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা। আর এই অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সিরাজগঞ্জ সিআইডি। তদন্ত এখনও চলছে। ইতোমধ্যে গর্ভের সন্তান বাড়তে থাকে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) প্রসবের ব্যথা উঠলে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেয় পিয়ারা। মানবিক কারণে সিআইডির কর্মকর্তা শাহজাদপুরের জামিরতা থেকে পিয়ারাকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে এনে প্রসবের সকল ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান।

সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠ নিউজকে জানান, মেয়েটির পিতৃত্বের পরিচয় সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। মানবিক কারণেই তারা গর্ভবতী মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও ফুটফুটে শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে তারা সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অসহায় মা ও শিশুটির পাশে থাকবেন।