ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল

জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী স্বপ্নের সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ )

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রোড মার্কিং শেষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে উক্ত সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়। এর আগে সেতুটির সংযোগ সড়কসহ তিন লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ করা হয়। এদিকে নবনির্মিত তিন লেনের সাঙ্গু সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পরপরই পাশের পুরনো সেতুটি অপসারণের কাজও শুরু করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কটি নির্মিত হবে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। সে ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মহাসড়কের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুসহ চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে ছয় লেনের। ক্রস বর্ডার রোড নেকওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার আহমেদ দৈনিক আজাদীকে জানান, ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো হল ২৩৮ মিটার লম্বা দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, ৩২১.৪৫ মিটার লম্বা চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু, চন্দনাইশের বরুমতি খালের উপর ৬০.১৫ মিটার লম্বা মাজার পয়েন্ট সেতু এবং ৬০ মিটার লম্বা পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। প্রতিটি সেতুরই প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। এরমধ্যে গত ১০ নভেম্বর চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুটির তিন লেনের কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করা হয় এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দোহাজারী সাঙ্গু সেতুটিও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হল। পাশাপাশি এই ২টি সেতুর পাশে বিদ্যমান পুরনো সেতু ২টি অপসারণের কাজ চলছে। পুরনো সেতু ২টি পুরোপুরি অপসারণ করা হলে বাকি তিন লেনের কাজও দ্রুততার সাথে শুরু করা হবে।
তিনি জানান, যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চন্দনাইশের বরুমতি খালে মাজার পয়েন্ট সেতুটির একসাথে ছয় লেনের কাজই শেষ হয়েছে। এখন এপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে মাজার পয়েন্ট সেতুর শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর কাজ ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সেতুগুলো নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২০১৮ সাল থেকে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ডিজাইন অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ সরাসরি তদারকি করছে জাইকার নিজস্ব টিম সব সময় দেখাশোনার সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী স্বপ্নের সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু

আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ )

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রোড মার্কিং শেষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে উক্ত সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়। এর আগে সেতুটির সংযোগ সড়কসহ তিন লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ করা হয়। এদিকে নবনির্মিত তিন লেনের সাঙ্গু সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পরপরই পাশের পুরনো সেতুটি অপসারণের কাজও শুরু করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কটি নির্মিত হবে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। সে ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মহাসড়কের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুসহ চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে ছয় লেনের। ক্রস বর্ডার রোড নেকওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার আহমেদ দৈনিক আজাদীকে জানান, ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো হল ২৩৮ মিটার লম্বা দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, ৩২১.৪৫ মিটার লম্বা চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু, চন্দনাইশের বরুমতি খালের উপর ৬০.১৫ মিটার লম্বা মাজার পয়েন্ট সেতু এবং ৬০ মিটার লম্বা পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। প্রতিটি সেতুরই প্রস্থ ৩১.২০ মিটার। এরমধ্যে গত ১০ নভেম্বর চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুটির তিন লেনের কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করা হয় এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দোহাজারী সাঙ্গু সেতুটিও যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হল। পাশাপাশি এই ২টি সেতুর পাশে বিদ্যমান পুরনো সেতু ২টি অপসারণের কাজ চলছে। পুরনো সেতু ২টি পুরোপুরি অপসারণ করা হলে বাকি তিন লেনের কাজও দ্রুততার সাথে শুরু করা হবে।
তিনি জানান, যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু চলতি ডিসেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চন্দনাইশের বরুমতি খালে মাজার পয়েন্ট সেতুটির একসাথে ছয় লেনের কাজই শেষ হয়েছে। এখন এপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে মাজার পয়েন্ট সেতুর শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর কাজ ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সেতুগুলো নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২০১৮ সাল থেকে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ডিজাইন অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ সরাসরি তদারকি করছে জাইকার নিজস্ব টিম সব সময় দেখাশোনার সকল কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।