ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ইনশাআল্লাহ অবশেষে জানুয়ারি ১ তারিখ হতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলা শুরু করবে মুজিব’স বাংলাদেশ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় হোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড় বঙ্গভবনে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সংস্কারের আহ্বান ডয়চে ভেলে গার্মেন্টসের স্থায়িত্বে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন প্রার্থীদের হলফনামায় নজর রাখছে দুদক শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, তাই জামিন পেয়েছেন: ড. রাজ্জাক পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র ৩৩৮ ওসি, ১১০ ইউএনও’র বদলির প্রস্তাব ইসিতে ঢাকাস্থ গলাচিপা দশমিনা বাসির সাথে মতবিনিময় সভা করলেন এমপি শাহজাদা

পাহাড় দখল, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় বিস্তৃত ছিল নুরুর সাম্রাজ্য

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

পাহাড় দখলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল নগরের আকবরশাহ এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নুর আলম প্রকাশ নুরুর অপরাধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি। পাহাড় দখল, পাহাড় কাটা, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় বিস্তৃত করেছিল তার সাম্রাজ্য।

আকবরশাহ থানাধীন নাছিয়াঘোনা এলাকায় তৈরি করেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তার বাহিনীতে সক্রিয় সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। তারা নুরুর নির্দেশে তার অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করতো।

শনিবার নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, মো. নুর আলম প্রকাশ নুরু ডাকাত এক সময় ফয়’জ লেক রিসোর্টে কর্মচারী ছিল। সেখান থেকে একসময় পাহাড় দখল শুরু করে নুরু। পরে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি শুরু করে। ফয়’জ লেক, আকবরশাহ কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, নুরু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। একটি বাহিনীও তৈরি করে নুরু। তার বাহিনীতে সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আকবরশাহ এলাকায় তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত ছিল।

এর আগে ২০১৪ সালে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে ১৭ বছরের সাজা হয় মো. নুর আলম নুরুর। কিন্তু এক বছরেও তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা আকবরশাহ থানায় পৌঁছেনি আদালত থেকে।

উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, অস্ত্র মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক ছিল নুরু। পরে তার অনুপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আকবরশাহ থানা পুলিশ নুরুর সাজার বিষয়ে জানতো না। বিষয়টি জানাজানির পর তিনদিন আগে নুরুর সাজা পরোয়ানা থানায় পৌঁছে। সাজা পরোয়ানা কেন এক বছরেও থানায় পৌঁছেনি তা নিয়ে তদন্ত চলবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।

সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে মো. নুর আলম নুরু ও তার সহযোগী কাউছারকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি অস্ত্র, দুইটি কিরিচ, একটি রাম দা ও ৪০০ পিস ইয়াবা।

আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার নুর আলম প্রকাশ নুরুর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

নুরু আকবরশাহ থানাধীন এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সম্প্রতি নুরুকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার বাহিনী। পরে অভিযানে নুরুর ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধরা ছিল সে।

ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মনজুর মোরশেদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-পশ্চিম) আবুল কালাম শাহিন, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন, গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইনশাআল্লাহ অবশেষে জানুয়ারি ১ তারিখ হতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলা শুরু করবে

পাহাড় দখল, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় বিস্তৃত ছিল নুরুর সাম্রাজ্য

আপডেট টাইম : ১২:০৯:৩৪ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

পাহাড় দখলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল নগরের আকবরশাহ এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. নুর আলম প্রকাশ নুরুর অপরাধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি। পাহাড় দখল, পাহাড় কাটা, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় বিস্তৃত করেছিল তার সাম্রাজ্য।

আকবরশাহ থানাধীন নাছিয়াঘোনা এলাকায় তৈরি করেছিল সশস্ত্র বাহিনী। তার বাহিনীতে সক্রিয় সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। তারা নুরুর নির্দেশে তার অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করতো।

শনিবার নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, মো. নুর আলম প্রকাশ নুরু ডাকাত এক সময় ফয়’জ লেক রিসোর্টে কর্মচারী ছিল। সেখান থেকে একসময় পাহাড় দখল শুরু করে নুরু। পরে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি শুরু করে। ফয়’জ লেক, আকবরশাহ কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, নুরু এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির জন্য অস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। একটি বাহিনীও তৈরি করে নুরু। তার বাহিনীতে সদস্য রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আকবরশাহ এলাকায় তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত ছিল।

এর আগে ২০১৪ সালে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে ১৭ বছরের সাজা হয় মো. নুর আলম নুরুর। কিন্তু এক বছরেও তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা আকবরশাহ থানায় পৌঁছেনি আদালত থেকে।

উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, অস্ত্র মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক ছিল নুরু। পরে তার অনুপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আকবরশাহ থানা পুলিশ নুরুর সাজার বিষয়ে জানতো না। বিষয়টি জানাজানির পর তিনদিন আগে নুরুর সাজা পরোয়ানা থানায় পৌঁছে। সাজা পরোয়ানা কেন এক বছরেও থানায় পৌঁছেনি তা নিয়ে তদন্ত চলবে। এর সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে।

সিএমপির আকবরশাহ থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে মো. নুর আলম নুরু ও তার সহযোগী কাউছারকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি অস্ত্র, দুইটি কিরিচ, একটি রাম দা ও ৪০০ পিস ইয়াবা।

আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার নুর আলম প্রকাশ নুরুর বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

নুরু আকবরশাহ থানাধীন এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। সম্প্রতি নুরুকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তার বাহিনী। পরে অভিযানে নুরুর ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধরা ছিল সে।

ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মনজুর মোরশেদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-পশ্চিম) আবুল কালাম শাহিন, আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন, গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।