দাঁতের কিছু সমস্যা ও তার সমাধান- ডাঃ তাসরিন সুলতানা চৈতী
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
- / ৫১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
বি.ডি.এস. (ঢাকা)
পিজিটি-ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জারী (ডি.সি.সি)
কনজারবেটিব ডেন্ট্রিস্টি ও এন্ডোডনটিক ডিপার্টমেন্ট (ডি.ডি.সি ও বি.এস.এস.এম.ইউ) (বাংলাদেশ)
মোবাইল নং- ০১৭১৭৮৭৩৯৭৪
ভাল দাঁত পাওয়ার জন্য কি করণীয় ?
প্রতিদিন অন্ততঃ ২ বার ব্রাশ করা, সকালে নাস্তা খাওয়ার পর এবং রাতে ঘুমানোর
আগে।
বছরে অন্তত ১ বার স্কেলিং করবেন।
আপনার ব্যবহৃত ব্রাশটি মাসে অন্তত একবার গরম পানিতে ভিজিয়ে পরিস্কার
করুন।
নরম ব্রিসলযুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন।
দাঁতে কোন ধরনের কালো দাগ দেখতে পেলে তাতে খোঁচাখুচি না করে দ্রæত
ডেন্টিস্ট এর পরামর্শ নিন।
মুখের গন্ধ এড়াতে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন। কোমল পানীয়, মদ্যপান, ধূমপান, পান, জর্দা এসব পরিহার করুণ।
যেকোন কিছু খাবার পর ভাল করে কুলি করবেন।
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ব্রাশ করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
ডেন্টাল ফ্লশ ব্যবহার করুন।
ধবধবে সাদা দাঁতের জন্য করণীয় ?
ধবধবে সাদা দাঁত সবার ভাল লাগে। সেজন্য খাবারে সামান্য পরিবর্তন দরকার যেমন: রং দেয়া খাবার যেমন- ক্যান্ডি, কোমল পানীয়, কফি, পান, জর্দ্দা খাওয়া পরিহার করুন। আপনার খাবার পানিতে আয়রণের পরিমাণ সম্বন্ধে অবগত হোন, আয়রণ দাঁতে দাগ তৈরি করে নিয়মিত চা-কফি পান করলে দাঁত হলুদ হয়ে যেতে পারে, পান, জর্দ্দা এগুলো দাঁতে হলদে ভাব ছাড়াও মুখ ও জিহব্বার নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করে।
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক সময় কী ?
দাঁতের যতœ ছোট বেলা থেকেই নেয়া উচিত, বাচ্চাদের মুখে দাঁত ৫-৬ মাস বয়সেই চলে আসে। কিন্তু জন্ম হওয়ার পর থেকেই অভিভাবকদের উচিত বাচ্চার খাবার পরে মাড়িতে ও তালুতে কিছু লেগে থাকলে তা নরম সুতী কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে দেয়া। মুখে সব অস্থায়ী দাঁত ১৮-২০ মাস পর থেকে ব্রাশ করানো উচিত। অভিভাবকরা নিজেই বাচ্চাদের ব্রাশ করিয়ে দেবেন। বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী আলাদা করে ব্রাশ ও টুথ পেস্ট পাওয়া যায়, সে অনুযায়ী ব্রাশ ও টুথ পেস্ট ব্যবহার করতে পারলে ভাল।
বাচ্চাদের সব দাঁতই তো পড়ে যায় সেক্ষেত্রে চিকিৎসা কি জরুরী ?
বাচ্চাদের দাঁত পড়তে শুরু করে ৬ বছর বয়স থেকে এবং দাঁত সম্পূর্ণভাবে পড়া শেষ হয় ১১-১২ বছর বয়সে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী প্রত্যেকটি দাঁত পড়ে যায়, এখন কোন দাঁতের হয়তোবা ১২ বচর বয়সে পড়ার কথা, কিন্তু ৫ বছর বয়সে সে দাঁতের সমস্যা দেখা দিল। সেক্ষেত্রে সে দাঁতটি তুলে ফেলা যাবে না। দাঁতটি তুলে ফেললে পরবর্তীতে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে যেতে পারে কিংবা দাঁতটি আবার কখনও নাও উঠতে পারে। তাই দাঁত না ফেলে এর সঠিক চিকিৎসা করা উচিত। স্কেলিং কি ? এর উপকারীতা কি আছে ?
একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে দাঁতের গোড়া ফেলে দেয়ার প্রক্রিয়াকে স্কেলিং বলে।
স্কেলিং করার ফলে জমে থাকা পাথর সরে যায়, ফলে মাড়ি থেকে সক্ত পড়া, শিরশির কারা, হঠাৎ করে মাড়ি ফুলে উঠা, মুখে দুর্গন্ধ এ সবই ভাল যায়। অনেকে দীর্ঘদিন স্কেলিং না করার ফলে দাতের পেরিওজন্টাল মেমব্রেন নষ্ঠ হয়ে যায় যার কারণে দাঁত ধীরে ধীরে নড়তে শুরু করে। নিয়মিত স্কেলিং করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সংগ্রহ : ব্যুরো চিফ।