ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র ঈদের তৃতীয় দিনে কেউ ঢাকায় ফিরছেন, আবার কেউ ছাড়ছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য,পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত হোটেল-রিসোর্ট রাফা খালি করে দিতে বলল ইসরাইলি বাহিনী আজমিরীগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত শিশু সহ আহত ৯

জগন্নাথপুরে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় প্রবাসীর মামলা, আদালতের নিষেধাজ্ঞা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরে বাটোয়ারা ছাড়াই পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, বসতঘর ভাংচুর ও রাস্তায় দেয়াল নির্মান করায় অবশেষে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন । এরই প্রক্রিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
জারিতে উক্ত বাড়ী রকম ভুমিতে বিবাদীগন কোন প্রকার সংস্কার কাজ বা ক্রয় বিক্রয় না করতে নির্দেশ প্রদান করে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দাখিলের আদেশ দেন আদালত।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের হাবিবনগর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী উলফত উল্লার জীবদ্দশায় তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে মারা যান। সবাই বৃটিশ সিটিজেন হলেও মৃত্যুর আগে ও পরে পরিবারের হাল ধরেন বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
পিতার মৃত্যুর কয়েক বছরের মাথায় পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন, মকবুল হোসেন ও দিলদার হোসেনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও বসে কিন্তু বিষয়টি তাদের মধ্যে সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে পরিবারের বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন আদালতের আশ্রয় নিয়ে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং স্বত্ব ৫২/১৯ ইং। মামলা দায়েরের পর আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে শোকজ প্রদান করেন। শোকজ থাকা সত্বেও জবাব দাখিল না করে একে একে বিবাদী দিলদার হোসেন ও মকবুল হোসেন বাবার পূরণো স্মৃতি বসতঘর ভাংচুর করে বড় ভাই ও বোনদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে তাদের সুবিদা অনুযায়ী ভুমি অন্যত্র বিক্রয় করেন।
বিক্রয়ের পর দলিল গ্রহীতারাও বসতঘর ভাংচুর ও ভাঙা গড়ার কাজ শুরু করলে এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত উক্ত ভুমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করে বলেন আমার পিতা যে ঐতিহ্য রেখে গেছেন আমার ভাইরা তা তছনছ করে দিচ্ছে।
আমি লন্ডনে থাকা অবস্থায় আমাদের কারো অনুমতি ছাড়াই বসতঘর ভাংচুর করেছে। এখন বাড়ীর রাস্তায় দেয়াল নির্মান করে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে । আমি সহ বোনরাও এই জমির অংশিদার।
আমি শুধু নিজের জন্য নয় বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এ জমির মালিকানার দলিলপত্রও আমাদের নামে রয়েছে।
এ জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বে কিভাবে তারা জমি বিক্রি করে এবং জমিতে কাজ করে আমার বোধগম্য নহে। সাবরেজিস্টার অফিসে আমার কেয়ারটেকার অভিযোগ দেয়ার পরও দলিল রেজিস্ট্রি হয় কোন আইনে আমার জানা নেই। আমি এব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লন্ডন প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের কেয়ারটেকার আব্দুল হাদী সাংবাদিকদের বলেন আদালতে বাটোয়ারা মামলা থাকার পরও জমি বিক্রয় করা হয়েছে।
বাড়ীর সামনে দিলদার হোসেন দেয়াল নির্মান করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। বাড়ীতে ঢুকার কোন রাস্তা নেই। আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও উক্ত ভুমিতে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন ইকড়ছই গ্রামের জনৈক ভুমি ক্রেতারা। আমি তাদের ভয়ে বাড়ীর আশপাশেও যেতে পারছিনা।
বিবাদীদের হুমকিজনিত কারণে বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জগন্নাথপুরে পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষায় প্রবাসীর মামলা, আদালতের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ।।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরে বাটোয়ারা ছাড়াই পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, বসতঘর ভাংচুর ও রাস্তায় দেয়াল নির্মান করায় অবশেষে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন । এরই প্রক্রিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
জারিতে উক্ত বাড়ী রকম ভুমিতে বিবাদীগন কোন প্রকার সংস্কার কাজ বা ক্রয় বিক্রয় না করতে নির্দেশ প্রদান করে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দাখিলের আদেশ দেন আদালত।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের হাবিবনগর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী উলফত উল্লার জীবদ্দশায় তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে মারা যান। সবাই বৃটিশ সিটিজেন হলেও মৃত্যুর আগে ও পরে পরিবারের হাল ধরেন বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
পিতার মৃত্যুর কয়েক বছরের মাথায় পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন, মকবুল হোসেন ও দিলদার হোসেনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও বসে কিন্তু বিষয়টি তাদের মধ্যে সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে পরিবারের বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন আদালতের আশ্রয় নিয়ে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং স্বত্ব ৫২/১৯ ইং। মামলা দায়েরের পর আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে শোকজ প্রদান করেন। শোকজ থাকা সত্বেও জবাব দাখিল না করে একে একে বিবাদী দিলদার হোসেন ও মকবুল হোসেন বাবার পূরণো স্মৃতি বসতঘর ভাংচুর করে বড় ভাই ও বোনদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে তাদের সুবিদা অনুযায়ী ভুমি অন্যত্র বিক্রয় করেন।
বিক্রয়ের পর দলিল গ্রহীতারাও বসতঘর ভাংচুর ও ভাঙা গড়ার কাজ শুরু করলে এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত উক্ত ভুমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করে বলেন আমার পিতা যে ঐতিহ্য রেখে গেছেন আমার ভাইরা তা তছনছ করে দিচ্ছে।
আমি লন্ডনে থাকা অবস্থায় আমাদের কারো অনুমতি ছাড়াই বসতঘর ভাংচুর করেছে। এখন বাড়ীর রাস্তায় দেয়াল নির্মান করে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে । আমি সহ বোনরাও এই জমির অংশিদার।
আমি শুধু নিজের জন্য নয় বোনদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এ জমির মালিকানার দলিলপত্রও আমাদের নামে রয়েছে।
এ জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বে কিভাবে তারা জমি বিক্রি করে এবং জমিতে কাজ করে আমার বোধগম্য নহে। সাবরেজিস্টার অফিসে আমার কেয়ারটেকার অভিযোগ দেয়ার পরও দলিল রেজিস্ট্রি হয় কোন আইনে আমার জানা নেই। আমি এব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লন্ডন প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের কেয়ারটেকার আব্দুল হাদী সাংবাদিকদের বলেন আদালতে বাটোয়ারা মামলা থাকার পরও জমি বিক্রয় করা হয়েছে।
বাড়ীর সামনে দিলদার হোসেন দেয়াল নির্মান করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। বাড়ীতে ঢুকার কোন রাস্তা নেই। আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও উক্ত ভুমিতে প্রকাশ্যে কাজ করেছেন ইকড়ছই গ্রামের জনৈক ভুমি ক্রেতারা। আমি তাদের ভয়ে বাড়ীর আশপাশেও যেতে পারছিনা।
বিবাদীদের হুমকিজনিত কারণে বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।