ঢাকা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

বিরামপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষক কারিগররা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩০১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি।।

হেমন্তের রাত শেষে হিমেল হাওয়া ও সকালে ঘাসের ডগায় শিশিরের কণা যেন শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে সূর্যোদয়ের সময় থেকেই হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ, সঙ্গে আছে ঠান্ডা বাতাস। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক সময় বাকি । আর এই শীতের রাতে মানুষের সঙ্গী হবে লেপ-তোশক। এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে লেপ-তোশক কারিগরদের।

কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শীতের মৌসুমে আয়ও বেড়ে যায় এসব কারিগরদের। অধীর আগ্রহ নিয়ে বছরের এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। উপজেলার নতুন বাজার এলাকার লেপ-তোশকের দোকান গুলোতেও কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা গেছে।

উপজেলার লেপ-তোশকের দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তুলার দাম একটু বেশি। কালার তুলা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, মিশালি ২০, সিম্পল ৭০, শিমূল ৭০০ টাকা ও সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশকের দাম বেড়ে গেছে। মাঝারি মানের লেপ বানাতে খরচ পড়ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোশক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোশকের দাম কমবেশি হয়। প্রতিদিন একজন কারিগর ৬ থেকে ৮টি লেপ তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে কাজের চাপ বেশি থাকায় লেপ-তোশকের অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগরেরা।

তোশক কিনতে জাফরান আরা জানান, বর্তমানে তোশক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে দের থেকে দুই হাজারের মতো লাগত কিন্তু এখন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লাগছে। বিক্রেতারা বলছেন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একটু বেশি ।
লেপ-তোশকের ব্যবসায়ী রুবেল জানায়, শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভালো হয়। বছরের বাকি সময় অলস সময় পার করি। দোকানের কারিগরেরা দিনরাত পরিশ্রম করে লেপ-তোশক তৈরি করছেন। বেশ কিছু অর্ডারও আছে। প্রতিদিনই আরও নতুন অর্ডার আসছে। তা ছাড়া তৈরি করা লেপ-তোশক কিনতেও প্রতিদিন বেশ ভিড় করছেন ক্রেতারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরামপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষক কারিগররা

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি।।

হেমন্তের রাত শেষে হিমেল হাওয়া ও সকালে ঘাসের ডগায় শিশিরের কণা যেন শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে সূর্যোদয়ের সময় থেকেই হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ, সঙ্গে আছে ঠান্ডা বাতাস। পৌষ ও মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক সময় বাকি । আর এই শীতের রাতে মানুষের সঙ্গী হবে লেপ-তোশক। এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে লেপ-তোশক কারিগরদের।

কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শীতের মৌসুমে আয়ও বেড়ে যায় এসব কারিগরদের। অধীর আগ্রহ নিয়ে বছরের এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। উপজেলার নতুন বাজার এলাকার লেপ-তোশকের দোকান গুলোতেও কারিগরদের ব্যস্ততা দেখা গেছে।

উপজেলার লেপ-তোশকের দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার তুলার দাম একটু বেশি। কালার তুলা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, মিশালি ২০, সিম্পল ৭০, শিমূল ৭০০ টাকা ও সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশকের দাম বেড়ে গেছে। মাঝারি মানের লেপ বানাতে খরচ পড়ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। তোশক বানাতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোশকের দাম কমবেশি হয়। প্রতিদিন একজন কারিগর ৬ থেকে ৮টি লেপ তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে কাজের চাপ বেশি থাকায় লেপ-তোশকের অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগরেরা।

তোশক কিনতে জাফরান আরা জানান, বর্তমানে তোশক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে দের থেকে দুই হাজারের মতো লাগত কিন্তু এখন প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লাগছে। বিক্রেতারা বলছেন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একটু বেশি ।
লেপ-তোশকের ব্যবসায়ী রুবেল জানায়, শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভালো হয়। বছরের বাকি সময় অলস সময় পার করি। দোকানের কারিগরেরা দিনরাত পরিশ্রম করে লেপ-তোশক তৈরি করছেন। বেশ কিছু অর্ডারও আছে। প্রতিদিনই আরও নতুন অর্ডার আসছে। তা ছাড়া তৈরি করা লেপ-তোশক কিনতেও প্রতিদিন বেশ ভিড় করছেন ক্রেতারা।