সংবাদ শিরোনাম ::
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে কোভিড-১৯ ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ আত্মসাৎ,প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৭:২৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১
- / ৩১২ ৫০০০.০ বার পাঠক
শরিফুল ইসলাম জুয়েল,সাতক্ষীরা।।
কোভিড-১৯ ও ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিদেশি দাতা সংস্থা প্রদত্ত অর্থ আত্মসাতের প্রতিকার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার নলতা ইউনিয়নের পূর্ব নলতা গ্রামের মনির গাজীর ছেলে আরিফ বিল্যাহ (২৩)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলমান মহামারী কোভিড-১৯ ও প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর কারণে বেসরকারি সংস্থা ‘লিডার্স’র উদ্যোগে ও ‘প্রেরণা’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপনায় আমাদেরসহ নলতা ইউনিয়নে মোট ২৩০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করে। তালিকা তৈরীর দায়িত্বে ছিলেন প্রেরণা সংস্থার নারী কর্মী শারমিন সুলতানা ও তার ভগ্নিপতি নলতা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। সহযোগী হিসেবে ছিলেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খলিলুর রহমান। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদেরকে ওই সংস্থা কোভিড-১৯ এর কিটস্ (বিভিন্ন সামগ্রী) ও ৩ হাজার টাকা হারে প্রদান করে। কিন্তু অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমাদের নাম ব্যবহার করলেও বিকাশে টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তালিকা প্রস্তুতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান নিজেদের মোবাইল নম্বর (বিকাশ) ব্যবহার করে।
পরবর্তীতে আমাদের শুধুমাত্র করোনা কিটস দিলেও কৌশলে আমাদের প্রাপ্য ৩ হাজার টাকা তারা তাদের বিকাশ মোবাইল নাম্বারে উত্তোলন করে নেয়। আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানাই। নলতা ইউনিয়ন পরিষদ তদন্তপূর্বক ঘটনার সত্যতা পান।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রতিকারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সেপ্টেম্বর-২০২০ এর মাসিক সভায় রেজুলেশনে লিপিবদ্ধ করেন এবং গত ১৮/১০/২০২০ খ্রি. তারিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মাসিক কার্যবিবরণী পেশ করেন।
আরও জানতে পারি উল্লেখিত তালিকা প্রস্তুতকারীরা নলতা ইউনিয়নের অন্য ওয়ার্ডের ৭ ব্যক্তিকে সেই ওয়ার্ড থেকে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডেও নাম তালিকাভূক্ত করে নেয়। সেক্ষেত্রে একাধিক স্থানে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র উল্লেখ করলেও দুই শিক্ষক নিজেদের ও আত্মীয় স্বজনের বিকাশ নাম্বার ব্যবহার করে টাকা আত্মসাত করে। প্রকৃত ব্যক্তিবর্গ তাদের ন্যায্য প্রাপ্য টাকা ফেরত পেতে পারে এবং অর্থ আত্মসাতে জড়িত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয় সে ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। এসময় একই গ্রামের হজরত আলী মোল্যার ছেলে ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলামের পক্ষে তার মা ছকিনা খাতুন (৬৪)সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
আরো খবর.......