ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প মধ্যরাতের অধ্যাদেশ’ বাতিলে সারাদেশে কলম বিরতি এনবিআরের একাধিক নেতাদের গণপদত্যাগ আগামী ১৫ ও ১৭ মে পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ২৭ জন পালানো’র সময় বিমানবন্দর থেকে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভোট কার বাক্সে? শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথে থাকবেন’

নারীদের সাদাস্রাব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৫৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

লিউকোরিয়া নারীদের একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য কোন রোগের আশঙ্কা ছাড়াই যোনি থেকে নির্গত একটি সাদাস্রাব এটি। এক জন নারীর মাসিক চক্র পর্যায়ের উপর নির্ভর করে যোনির স্বাভাবিক স্রাব বিভিন্ন রঙের, পরিমাণের এবং ঘনত্বের হয়।

এটি একটি স্বচ্ছ তরল, যা যোনিকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে, এবং যোনিতে সংক্রমণে বাধা দেয়। আর এই জায়গাটা আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকে। আর্দ্রতা রাখার জন্যই আল্লাহ্ প্রদত্ব বা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু সাদাস্রাব আসে। একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে লিউকোরিয়া হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।

নারীদের মাসিক যেটা হয়, সেটা মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসের আগ পর্যন্ত তার মানসিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাবের পরিমাণ, কোয়ালিটি বা ধরনেরও পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে এক এক সময় এক এক ধরনের সাদাস্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই এর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু কারোর অত্যধিক বা অস্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লিউকোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যেটার কারণে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরকম যদি হয় তাহলে এটার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাধারণ কিছু বিষয় জানার থাকে- এটা কোন খারাপ বার্তা দিচ্ছে কিনা, রংটা কেমন, ধরনটা কেমন (তরলের পরিমাণটা), ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

উল্লেখিত ঘটনা গুলো না থাকলে লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিটা জিন সকলের তো একুই রকম না। স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে কমবেশি হতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারীদের সাদাস্রাব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

আপডেট টাইম : ১১:১৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

লিউকোরিয়া নারীদের একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য কোন রোগের আশঙ্কা ছাড়াই যোনি থেকে নির্গত একটি সাদাস্রাব এটি। এক জন নারীর মাসিক চক্র পর্যায়ের উপর নির্ভর করে যোনির স্বাভাবিক স্রাব বিভিন্ন রঙের, পরিমাণের এবং ঘনত্বের হয়।

এটি একটি স্বচ্ছ তরল, যা যোনিকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে, এবং যোনিতে সংক্রমণে বাধা দেয়। আর এই জায়গাটা আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকে। আর্দ্রতা রাখার জন্যই আল্লাহ্ প্রদত্ব বা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু সাদাস্রাব আসে। একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে লিউকোরিয়া হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।

নারীদের মাসিক যেটা হয়, সেটা মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসের আগ পর্যন্ত তার মানসিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাবের পরিমাণ, কোয়ালিটি বা ধরনেরও পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে এক এক সময় এক এক ধরনের সাদাস্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই এর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু কারোর অত্যধিক বা অস্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লিউকোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যেটার কারণে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরকম যদি হয় তাহলে এটার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাধারণ কিছু বিষয় জানার থাকে- এটা কোন খারাপ বার্তা দিচ্ছে কিনা, রংটা কেমন, ধরনটা কেমন (তরলের পরিমাণটা), ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

উল্লেখিত ঘটনা গুলো না থাকলে লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিটা জিন সকলের তো একুই রকম না। স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে কমবেশি হতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।