ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন

নারীদের সাদাস্রাব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:০০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • ১৮০ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

লিউকোরিয়া নারীদের একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য কোন রোগের আশঙ্কা ছাড়াই যোনি থেকে নির্গত একটি সাদাস্রাব এটি। এক জন নারীর মাসিক চক্র পর্যায়ের উপর নির্ভর করে যোনির স্বাভাবিক স্রাব বিভিন্ন রঙের, পরিমাণের এবং ঘনত্বের হয়।

এটি একটি স্বচ্ছ তরল, যা যোনিকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে, এবং যোনিতে সংক্রমণে বাধা দেয়। আর এই জায়গাটা আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকে। আর্দ্রতা রাখার জন্যই আল্লাহ্ প্রদত্ব বা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু সাদাস্রাব আসে। একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে লিউকোরিয়া হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।

নারীদের মাসিক যেটা হয়, সেটা মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসের আগ পর্যন্ত তার মানসিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাবের পরিমাণ, কোয়ালিটি বা ধরনেরও পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে এক এক সময় এক এক ধরনের সাদাস্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই এর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু কারোর অত্যধিক বা অস্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লিউকোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যেটার কারণে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরকম যদি হয় তাহলে এটার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাধারণ কিছু বিষয় জানার থাকে- এটা কোন খারাপ বার্তা দিচ্ছে কিনা, রংটা কেমন, ধরনটা কেমন (তরলের পরিমাণটা), ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

উল্লেখিত ঘটনা গুলো না থাকলে লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিটা জিন সকলের তো একুই রকম না। স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে কমবেশি হতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

নারীদের সাদাস্রাব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

আপডেট টাইম : ১১:১৯:০০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

লিউকোরিয়া নারীদের একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য কোন রোগের আশঙ্কা ছাড়াই যোনি থেকে নির্গত একটি সাদাস্রাব এটি। এক জন নারীর মাসিক চক্র পর্যায়ের উপর নির্ভর করে যোনির স্বাভাবিক স্রাব বিভিন্ন রঙের, পরিমাণের এবং ঘনত্বের হয়।

এটি একটি স্বচ্ছ তরল, যা যোনিকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে, এবং যোনিতে সংক্রমণে বাধা দেয়। আর এই জায়গাটা আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকে। আর্দ্রতা রাখার জন্যই আল্লাহ্ প্রদত্ব বা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু সাদাস্রাব আসে। একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে লিউকোরিয়া হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন।

নারীদের মাসিক যেটা হয়, সেটা মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসের আগ পর্যন্ত তার মানসিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাবের পরিমাণ, কোয়ালিটি বা ধরনেরও পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে এক এক সময় এক এক ধরনের সাদাস্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই এর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু কারোর অত্যধিক বা অস্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লিউকোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যেটার কারণে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরকম যদি হয় তাহলে এটার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাধারণ কিছু বিষয় জানার থাকে- এটা কোন খারাপ বার্তা দিচ্ছে কিনা, রংটা কেমন, ধরনটা কেমন (তরলের পরিমাণটা), ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

উল্লেখিত ঘটনা গুলো না থাকলে লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিটা জিন সকলের তো একুই রকম না। স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে কমবেশি হতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।