ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই ॥ আইনমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই ॥ আইনমন্ত্রী
উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোন তর্কের অবকাশ নেই। কারণ, এ নিয়ে সুপ্রীমকোর্টের রায় আছে। আর সুপ্রীমকোর্টের রায় যখন মানা হয়, তখন নিজেদের গর্বিত মনে হয়। আগামী নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও আইনের কাছাকাছি। এই সময়ের মধ্যে নতুন আইন করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোন সুযোগ নেই। তাই আগে কমিশন গঠন হবে। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের মামলা বিচারাধীন। সেখানে তারা যদি সেই মামলায় জয়ী হয়, তা হলে স্থায়ী মুক্তি পাবে। খালেদা জিয়া অপরাধী, সেই অপরাধের আইনে বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনা ও দয়ায় যে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে, এতেই তো তাদের সম্মান-শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

এদিকে সুপ্রীমকোর্টে তিন বিচারপতির দুর্নীতির কারণে বেঞ্চ না দেয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) বিচারাধীন। রিভিউ নিষ্পত্তি হবার পরই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে সুপ্রীমকোর্ট অবকাশ চলছে। ২১ অক্টোবর অবকাশ শেষ হবে। তখন মেনশন করা হবে। আদালত খুললেই রিভিউ শুনানির উদ্যোগ নেব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা দেশের বাইরে বসে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইভ্যালির মতো ডিজিটাল গ্রাহক প্রতারণায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাবনাও কিন্তু দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ পৃথকী সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগ অনেকটাই মুক্ত।

রাজারবাগ দরবার শরীফের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোন সাংবাদিককে যদি হয়রানি করা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। হয়রানি বন্ধে যা করা দরকার, তাই করা হবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতেও হয়েছে, আগামীতেও হবে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আপত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসি গঠন করার জন্য যে আইনের কথা সংবিধানে বলা আছে, তা আমাদের মানতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে স্পষ্ট আইন হয়নি, সেটা এখন করা হবে।’ সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে নতুন আইন করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোন সুযোগ নেই। তাই আগে কমিশন গঠন হবে।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই ॥ আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তর্কের কোন অবকাশ নেই ॥ আইনমন্ত্রী
উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোন তর্কের অবকাশ নেই। কারণ, এ নিয়ে সুপ্রীমকোর্টের রায় আছে। আর সুপ্রীমকোর্টের রায় যখন মানা হয়, তখন নিজেদের গর্বিত মনে হয়। আগামী নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমেই হবে। সার্চ কমিটিও আইনের কাছাকাছি। এই সময়ের মধ্যে নতুন আইন করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোন সুযোগ নেই। তাই আগে কমিশন গঠন হবে। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী। ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তিতে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি সরকারের হাতে নেই বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের মামলা বিচারাধীন। সেখানে তারা যদি সেই মামলায় জয়ী হয়, তা হলে স্থায়ী মুক্তি পাবে। খালেদা জিয়া অপরাধী, সেই অপরাধের আইনে বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনা ও দয়ায় যে তাকে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে, এতেই তো তাদের সম্মান-শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অচিরেই আইন করা হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

এদিকে সুপ্রীমকোর্টে তিন বিচারপতির দুর্নীতির কারণে বেঞ্চ না দেয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) বিচারাধীন। রিভিউ নিষ্পত্তি হবার পরই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে সুপ্রীমকোর্ট অবকাশ চলছে। ২১ অক্টোবর অবকাশ শেষ হবে। তখন মেনশন করা হবে। আদালত খুললেই রিভিউ শুনানির উদ্যোগ নেব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা দেশের বাইরে বসে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইভ্যালির মতো ডিজিটাল গ্রাহক প্রতারণায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাবনাও কিন্তু দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ পৃথকী সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে গত ১২ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগ অনেকটাই মুক্ত।

রাজারবাগ দরবার শরীফের সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের হুমকি দেয়া হয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোন সাংবাদিককে যদি হয়রানি করা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। হয়রানি বন্ধে যা করা দরকার, তাই করা হবে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতেও হয়েছে, আগামীতেও হবে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আপত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসি গঠন করার জন্য যে আইনের কথা সংবিধানে বলা আছে, তা আমাদের মানতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে স্পষ্ট আইন হয়নি, সেটা এখন করা হবে।’ সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে নতুন আইন করে সেই আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কোন সুযোগ নেই। তাই আগে কমিশন গঠন হবে।’