ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ ৪০ বছরে প্রায় ৯ হাজার ইট সংগ্রহ, গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালেন মার্কিন ব্যক্তি সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের গোপন সম্পদের ‘২ বস্তা’ নথি উদ্ধার উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেফতার নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ২ যুম্ম সম্পাদক গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল এখনো বহাল তবিয়তে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ অবিলম্বে এটিএম আজহারকে মুক্তি না দিলে আমাদের আন্দোলন কোন ভাবেই বন্ধ হবে না -ডা. শফিকুর রহমান পার্বতীপুরে আওয়ামীলীগ নেতার মাস্তক বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখুন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২৮৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল রোগ হয় না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। এই রোগ যাদের আছে তাদের রাতে ঘুমানোর সময় কিংবা দুপুরে খাওয়ার পর বুক জ্বালা পোড়া করে। অনেক ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়েও হয়তো গ্যাস্ট্রিক থেকে নিস্তার মেলেনি। অথচ দৈনন্দিন জীবনে অল্প কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখা যায়।

প্রতিবেলায় আপনি যেটুকু খাবার খাচ্ছেন আজ থেকেই তা অর্ধেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করুন। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাকে খাওয়া কমিয়ে দিতে বলছি না। শুধু প্রতিবেলার খাবার একবারে না খেয়ে দুইবারে খান। এভাবে তিনবেলার খাবার ছয়বারে। এতে হজমে সুবিধা হবে আপনার।

খাওয়া কখনোই তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান। প্রতি লোকমা ভাত বা রুটি ভালো করে চিবোবেন। চিকিৎসকদের মতে খাওয়ার পর পর শুয়ে পড়া উচিত নয়। বরং একটু হাঁটাচলা করুন। পেটের খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে আপনার।

দিনে নিয়ম করে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করুন। পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সহজেই দূর হয়। খাওয়ার আগেই প্যান্ট বা লুঙ্গির গিঁট ঢিলা করে নিন। শক্ত বাঁধন টক ঢেকুরের অন্যতম কারণ।

গ্যাস্ট্রিক কমাতে হাঁটাচলা এবং ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়ম করে দৈনিক হাঁটাচলা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তিনবেলা খাওয়ার পর একটু হাঁটতে পারেন। রাতে ঘুমানোর তিনঘণ্টা আগে ডিনার করে নিন।

প্রতিদিনের মেন্যুতে আঁশযুক্ত খাবার যোগ করার চেষ্টা করুন। আঁশযুক্ত খাবার খুব দ্রুত হজম হয়। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, যেকোন ধরণের ডাল প্রধান আঁশযুক্ত খাবার।

গ্যাস্ট্রিকের প্রধান শত্রু ধূমপান। সিগারেটের নিকোটিন খাবার হজমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। তাই সবার আগে ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

অনেক সময় মানসিক চাপ থেকেও বুক জ্বলা শুরু হতে পারে। তাই নিশ্চিন্তে থাকার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মানসিক প্রশান্তি এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনাকে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখুন

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টে।।

গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল রোগ হয় না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই আছে। এই রোগ যাদের আছে তাদের রাতে ঘুমানোর সময় কিংবা দুপুরে খাওয়ার পর বুক জ্বালা পোড়া করে। অনেক ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়েও হয়তো গ্যাস্ট্রিক থেকে নিস্তার মেলেনি। অথচ দৈনন্দিন জীবনে অল্প কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখা যায়।

প্রতিবেলায় আপনি যেটুকু খাবার খাচ্ছেন আজ থেকেই তা অর্ধেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করুন। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাকে খাওয়া কমিয়ে দিতে বলছি না। শুধু প্রতিবেলার খাবার একবারে না খেয়ে দুইবারে খান। এভাবে তিনবেলার খাবার ছয়বারে। এতে হজমে সুবিধা হবে আপনার।

খাওয়া কখনোই তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান। প্রতি লোকমা ভাত বা রুটি ভালো করে চিবোবেন। চিকিৎসকদের মতে খাওয়ার পর পর শুয়ে পড়া উচিত নয়। বরং একটু হাঁটাচলা করুন। পেটের খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে আপনার।

দিনে নিয়ম করে কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করুন। পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সহজেই দূর হয়। খাওয়ার আগেই প্যান্ট বা লুঙ্গির গিঁট ঢিলা করে নিন। শক্ত বাঁধন টক ঢেকুরের অন্যতম কারণ।

গ্যাস্ট্রিক কমাতে হাঁটাচলা এবং ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়ম করে দৈনিক হাঁটাচলা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তিনবেলা খাওয়ার পর একটু হাঁটতে পারেন। রাতে ঘুমানোর তিনঘণ্টা আগে ডিনার করে নিন।

প্রতিদিনের মেন্যুতে আঁশযুক্ত খাবার যোগ করার চেষ্টা করুন। আঁশযুক্ত খাবার খুব দ্রুত হজম হয়। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, যেকোন ধরণের ডাল প্রধান আঁশযুক্ত খাবার।

গ্যাস্ট্রিকের প্রধান শত্রু ধূমপান। সিগারেটের নিকোটিন খাবার হজমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। তাই সবার আগে ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

অনেক সময় মানসিক চাপ থেকেও বুক জ্বলা শুরু হতে পারে। তাই নিশ্চিন্তে থাকার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মানসিক প্রশান্তি এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনাকে।