ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়লেন দিল্লির মুসলমানরা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:২২:০৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

অবৈধভাবে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙার চেষ্টা চলছিল। আর এ মন্দির বাঁচাতে এলাকার মুসলিমরা এক হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন অনন্য নজির দেখা গেছে ভারতের দিল্লির জামিয়া নগরের নুর নগর এলাকায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

শুধু তাই নয়, মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক অশান্তি যেন না ছড়ায়, আদালতের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছেন মুসলমান আবেদনকারীরা।

জামিয়া নগর এলাকার ২০৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কিছু বাসিন্দা সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

আবেদনে তারা জানান, এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি ইতোমধ্যে মন্দির চত্বরে থাকা ধর্মশালাটি ভেঙে ফেলেছে। মন্দিরটি ভাঙার জন্য তার মধ্যে থাকা ৮-১০টি মূর্তিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে রাতারাতি। এ বার তাদের লক্ষ্য, মন্দিরটি ভেঙে ফেলে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা।

মন্দিরটি যাতে কোনো ভাবেই না ভাঙা হয়, সেজন্য আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালে নুর নগরে তৈরি হয়েছিল মন্দিরটি। তার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে পূজা ও কীর্তন হয়ে আসছে। নুর নগর লাগোয়া আর একটি এলাকায় ইতোমধ্যে মন্দির ভেঙে অবৈধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

নুর নগরেও যে কোনো সময়ে ওই মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

জামিয়া নগরের বাসিন্দাদের আবেদন শোনার পর দিন তিনেক আগে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, কোনো অবৈধ প্রক্রিয়ায় মন্দির চত্বর থেকে যাতে কোনো কিছু উচ্ছেদ না করা হয়। মন্দিরটিও যেন অক্ষত অবস্থায় থাকে।

এলাকায় যাতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে, পুলিশকে তা দেখতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়লেন দিল্লির মুসলমানরা

আপডেট টাইম : ০৭:২২:০৫ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

অবৈধভাবে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙার চেষ্টা চলছিল। আর এ মন্দির বাঁচাতে এলাকার মুসলিমরা এক হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

ধর্মীয় সম্প্রীতির এমন অনন্য নজির দেখা গেছে ভারতের দিল্লির জামিয়া নগরের নুর নগর এলাকায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

শুধু তাই নয়, মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক অশান্তি যেন না ছড়ায়, আদালতের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছেন মুসলমান আবেদনকারীরা।

জামিয়া নগর এলাকার ২০৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কিছু বাসিন্দা সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

আবেদনে তারা জানান, এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি ইতোমধ্যে মন্দির চত্বরে থাকা ধর্মশালাটি ভেঙে ফেলেছে। মন্দিরটি ভাঙার জন্য তার মধ্যে থাকা ৮-১০টি মূর্তিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে রাতারাতি। এ বার তাদের লক্ষ্য, মন্দিরটি ভেঙে ফেলে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা।

মন্দিরটি যাতে কোনো ভাবেই না ভাঙা হয়, সেজন্য আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালে নুর নগরে তৈরি হয়েছিল মন্দিরটি। তার পর থেকে প্রতিদিনই সেখানে পূজা ও কীর্তন হয়ে আসছে। নুর নগর লাগোয়া আর একটি এলাকায় ইতোমধ্যে মন্দির ভেঙে অবৈধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

নুর নগরেও যে কোনো সময়ে ওই মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

জামিয়া নগরের বাসিন্দাদের আবেদন শোনার পর দিন তিনেক আগে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, কোনো অবৈধ প্রক্রিয়ায় মন্দির চত্বর থেকে যাতে কোনো কিছু উচ্ছেদ না করা হয়। মন্দিরটিও যেন অক্ষত অবস্থায় থাকে।

এলাকায় যাতে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে, পুলিশকে তা দেখতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।