মার্টিনেজের চতুরতায় পেনাল্টি মিস ফার্নান্দেজের
- আপডেট টাইম : ০৮:২৩:১২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
খেলার রিপোর্ট।।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দীর্ঘ এক যুগে প্রথম জয় পেল অ্যাস্টন ভিলা।
ঘরের মাঠেই ১-০ গোলে হেরে এক বুক হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দলকে।
জয় এনে দিতে না পারলেও এ হারের জন্য দায়ী নন রোনাল্ডো। সব দায় মাথা পেতে নিতে হবে অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজকে।
কারণ ৯৩ মিনিটে তার পেনাল্টি মিসে রেডডেভিলদের হার এড়ানোর শেষ সুযোগ নষ্ট হয়। যে দলে পেনাল্টি মাস্টার রোনাল্ডো রয়েছেন, সেখানে স্পটকিক নিলেন ফার্নান্দেজ। পর্তুগাল দলের হয়ে বছরের পর বছর ধরে পেনাল্টি নিয়ে আসছেন রোনাল্ডো। বেশ সফলও তিনি।
কিন্তু তাকে না দিয়ে কিক নিলেন ফার্নান্দেজ, হলেন ব্যর্থ।
অবশ্য ফার্নান্দেজের এই ব্যর্থতার নেপথ্যে রয়েছে অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের চালাকি।
কোপা আমেরিকায় যে চতুরতার মাধ্যমে টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে ধরাশায়ী করেছেন মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনাকে তুলেছিলেন ফাইনালে। সেই একই কায়দা নিলেন শনিবার রোনাল্ডোর দলের বিপক্ষে। ফল ফার্নান্দেজের পেনাল্টি মিস!
কী এমন করেছেন আর্জেন্টাইনদের চোখের মনি মার্টিনেজ?
জানা গেছে, ফার্নান্দেজ যখন পেনাল্টি নিতে বল স্পটে রাখলেন, মার্টিনেজ শুরু করে দিলেন স্লেজিং।
ফার্নান্দেজকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিধ্বস্ত করতে রোনাল্ডোর দিকে ইঙ্গিত করে মার্টিনেজ বলা শুরু করলেন, ‘তুমি পেনাল্টি নাও। তুমি নিচ্ছ না কেন? তুমি নাও। তুমিই তো ভালো পারো।’’
মার্টিনেজের ভাবভঙ্গি এমন ছিল যে, পারলে যেন ফার্নান্দেজের হাত থেকে বল কেড়ে নিয়ে তিনি নিজেই রোনাল্ডোর হাতে তুলে দেন!
মার্টিনেজের এমন সব কথায় বিব্রত হচ্ছিলেন রোনাল্ডো ও ফার্নান্দেজ দুজনই। পরে রেফারি নিজে এসে মার্টিনেজকে থামিয়ে গোললাইনের দিকে পাঠিয়ে দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, পেনাল্টির আগে মার্তিনেজের স্লেজিংয়ের শিকার হয়ে বাড়তি চাপ অনুভব করেন ফার্নান্দেজ। গোল না করতে পারলে রোনাল্ডোর কাছে ছোট হয়ে যাবেন বলে কিছু একটা চলতে থাকে হৃদয়ে। যে কারণে পেনাল্টি মিস করেন।
ম্যাচশেষে মার্টিনেজের এই স্লেজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশার।
তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলতে চাইছিলাম না। মার্টিনেজ কাজগুলো করে ঠিক করেনি। আমার মনে হয় ওকে হলুদকার্ড দেখানো উচিত ছিল।’