ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

খুলনায় ৭ হাত লম্বা চিচিঙ্গা

  • আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩৪৫ ৫০০.০০০ বার পাঠক

খুলনা জেলা রিপোর্ট।।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য খুলনার পাইকগাছায় একেকটি চিচিঙ্গা সাত হাত লম্বা হয়েছে, যা কুশি নামে এলাকায় পরিচিত। মাত্র দেড় মাস সময়ের মধ্যে গাছে ফলন আসছে।

গাছটি লাগিয়েছেন পাইকগাছা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ জয়নাল সানা। চিচিঙ্গা (কুশি) শীতকালীন সবজি হলেও এ জাতের চিচিঙ্গা সারা বছর হয়। তবে উঁচু ও শুকনা জায়গা এর জন্য উপযুক্ত বলে জানা যায়।

চিচিঙ্গা অধিক লম্বা হওয়ার কারণে অনেক উঁচুতে ফাঁস জাল দিয়ে বান বা মাচান বানানো হয়েছে।

কৃষক জয়নাল সানা জানান, গাছে ৯টা চিচিঙ্গা (কুশি) ধরেছে। গাছটি তেমন মোটাতাজাও নয়। এর পরও গাছ ছাড়া ফল অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎসুক মানুষ দেখতে আসে প্রতিদিন। খেতেও মোটামুটি স্বাদ আছে এমনটি জানালেন গাছের মালিক।

তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সবজি আমাদের এলাকায় আমি নিজেও কোনো দিন দেখিনি। এ চিচিঙ্গার (কুশি) বীজ নেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে প্রায় লোক আসে। এটি পাকলে এ আবদার আমাকে রাখতেও হবে।
তিনি আরও বলেন, পাইকগাছার নিলু নামে এক ব্যক্তি গত বছর ভারতের অন্ধপ্রদেশ থেকে ২০টি বীজ নিয়ে আসেন। এর পর তার বাড়িতে লাগান। ফলনও হয়েছিল। তার থেকে বীজ নিয়ে পৌরসভার সরল গ্রামের জয়নাল সানা ও অখিল মণ্ডল চাষ করছেন। ফলনও হয়েছে।

পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি একটা চিচিঙ্গা এত বড় হতে পারে। আমি প্রায় সকালে জয়নাল ভাইয়ের বাড়িতে দেখতে যাই। এটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি বীজ নিয়ে আমার বাড়ির আঙিনায় চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমি এ ধরনের সবজির কথা শুনেছি। হাইব্রিডজাতীয় এ সবজি চাষ সর্বত্রই ছড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা তা উপজেলা কৃষি অফিসারকে বলা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বীজ সংগ্রহ ও মজুদ করার কথা বলছি। আগামীতে এটা পাইকগাছার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খুলনায় ৭ হাত লম্বা চিচিঙ্গা

আপডেট টাইম : ০৮:১৪:৪১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

খুলনা জেলা রিপোর্ট।।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য খুলনার পাইকগাছায় একেকটি চিচিঙ্গা সাত হাত লম্বা হয়েছে, যা কুশি নামে এলাকায় পরিচিত। মাত্র দেড় মাস সময়ের মধ্যে গাছে ফলন আসছে।

গাছটি লাগিয়েছেন পাইকগাছা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ জয়নাল সানা। চিচিঙ্গা (কুশি) শীতকালীন সবজি হলেও এ জাতের চিচিঙ্গা সারা বছর হয়। তবে উঁচু ও শুকনা জায়গা এর জন্য উপযুক্ত বলে জানা যায়।

চিচিঙ্গা অধিক লম্বা হওয়ার কারণে অনেক উঁচুতে ফাঁস জাল দিয়ে বান বা মাচান বানানো হয়েছে।

কৃষক জয়নাল সানা জানান, গাছে ৯টা চিচিঙ্গা (কুশি) ধরেছে। গাছটি তেমন মোটাতাজাও নয়। এর পরও গাছ ছাড়া ফল অস্বাভাবিক হওয়ায় উৎসুক মানুষ দেখতে আসে প্রতিদিন। খেতেও মোটামুটি স্বাদ আছে এমনটি জানালেন গাছের মালিক।

তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সবজি আমাদের এলাকায় আমি নিজেও কোনো দিন দেখিনি। এ চিচিঙ্গার (কুশি) বীজ নেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে প্রায় লোক আসে। এটি পাকলে এ আবদার আমাকে রাখতেও হবে।
তিনি আরও বলেন, পাইকগাছার নিলু নামে এক ব্যক্তি গত বছর ভারতের অন্ধপ্রদেশ থেকে ২০টি বীজ নিয়ে আসেন। এর পর তার বাড়িতে লাগান। ফলনও হয়েছিল। তার থেকে বীজ নিয়ে পৌরসভার সরল গ্রামের জয়নাল সানা ও অখিল মণ্ডল চাষ করছেন। ফলনও হয়েছে।

পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি একটা চিচিঙ্গা এত বড় হতে পারে। আমি প্রায় সকালে জয়নাল ভাইয়ের বাড়িতে দেখতে যাই। এটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি বীজ নিয়ে আমার বাড়ির আঙিনায় চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমি এ ধরনের সবজির কথা শুনেছি। হাইব্রিডজাতীয় এ সবজি চাষ সর্বত্রই ছড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা তা উপজেলা কৃষি অফিসারকে বলা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বীজ সংগ্রহ ও মজুদ করার কথা বলছি। আগামীতে এটা পাইকগাছার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।