ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

এপ্রিলের মধ্যেই খাল জঞ্জালমুক্ত করতে চায় ডিএসসিসি

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ জানুয়ারি ২০২১
  • ২৬৫ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই সড়কে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি শেষ হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমে থাকে পানি। নগরীর বেশিরভাগ কালভার্ট ও খাল দখল এবং ভরাটের কারণে দেখা দেয় এমন জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার থাকলেও নগরী থেকে কোনোভাবেই দূর হচ্ছিল না জলাবদ্ধতা।

যার কারণে গত বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ঢাকা ওয়াসা থেকে খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আর দায়িত্ব গ্রহণের পরেই খাল পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

আগামী এপ্রিলে বর্ষার আগেই খাল পরিষ্কার করে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চায় ডিএসসিসি। গত শনিবার পান্থপথ বক্স কালভার্টের পাঁচটি ড্রেনেজ পিট থেকে ৭৪ টন বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে কালভার্ট পরিষ্কার শুরু করে তারা। হাতিরঝিল থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত পান্থপথ বক্স কালভার্টে মোট ২৪টি মুখ (ড্রেনেজ পিট) রয়েছে। এটি পরিষ্কার করতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

গতকালও পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে এবং রাতের বেলায় কাঠালবাগান ঢাল থেকে পান্থপথ মোড় পর্যন্ত পিটগুলোর মধ্যবর্তী অংশে ড্রেজারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এই কালভার্ট পরিষ্কারের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, করপোরেশনের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমাদের কিছু সক্ষমতা রয়েছে, তারপরও দীর্ঘদিন ধরে যেহেতু এই কাজগুলো ওয়াসার হাতে ছিল তাই আমরা ওয়াসার কারিগরি সহযোগিতা নেব।

ওয়াসার সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে মোতাবেক আমরা শুরুতে ওয়াসার কারিগরি সহযোগিতা, যন্ত্রপাতি ও জনবল সহযোগিতা নেব। ওরা দুই বছর আমাদের সঙ্গে কাজ করবে, পর্যায়ক্রমে আমরা সক্ষমতা অর্জন করব। তিনি আরো বলেন, এই কালভার্টের অভ্যন্তরে কী আছে তা দেখার পর পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

আমরা মার্চের মধ্যে দুটি বক্স কালভার্ট ও তিনটি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শেষ করতে চাই। যাতে আমরা এপ্রিলের শুরু থেকে ঢাকা শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্তি দিতে পারি। সে পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, মার্চের মধ্যে আমরা তিনটি খাল এবং দুই কালভার্ট পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে পারব। যদি আমরা এ সময়ের মধ্যে খাল এবং কালভার্ট পরিষ্কার করতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি, এ বছর আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।

ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরের বক্স কালভার্টটির গভীরতা দুই রকমের। এর গভীরতা কোথাও ১১ ফুট আবার কোথাও ২০ থেকে ২২ ফুট। এক্ষেত্রে কারিগরি কমিটির সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক মাপ বের করতে কাজ করছেন তারা।

তারা জানান, শুধু কালভার্ট (ড্রেনেজ পিট) পরিষ্কার করলে হবে না। ভেতরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মেশিন প্রবেশ করাতে হবে। ক্রেন প্রবেশ করাতে হবে। পানি প্রবাহ বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে আবর্জনা উঠানো হবে। কালভার্টের ভেতরের সংযোগ মুখগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। মুখগুলো পরিষ্কার করতে হবে। প্রথমে ২০০ মিটার করে পরিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে অন্য অংশ পরিষ্কার করা হবে। কালভার্টের ওপর অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, কালভার্টের ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নেই। সীমানা নির্ধারণপূর্বক বুঝা যাবে কালভার্টের বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা আছে কি না।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরবে আগানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ

এপ্রিলের মধ্যেই খাল জঞ্জালমুক্ত করতে চায় ডিএসসিসি

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৪ জানুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই সড়কে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি শেষ হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমে থাকে পানি। নগরীর বেশিরভাগ কালভার্ট ও খাল দখল এবং ভরাটের কারণে দেখা দেয় এমন জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার থাকলেও নগরী থেকে কোনোভাবেই দূর হচ্ছিল না জলাবদ্ধতা।

যার কারণে গত বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ঢাকা ওয়াসা থেকে খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আর দায়িত্ব গ্রহণের পরেই খাল পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

আগামী এপ্রিলে বর্ষার আগেই খাল পরিষ্কার করে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চায় ডিএসসিসি। গত শনিবার পান্থপথ বক্স কালভার্টের পাঁচটি ড্রেনেজ পিট থেকে ৭৪ টন বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে কালভার্ট পরিষ্কার শুরু করে তারা। হাতিরঝিল থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত পান্থপথ বক্স কালভার্টে মোট ২৪টি মুখ (ড্রেনেজ পিট) রয়েছে। এটি পরিষ্কার করতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

গতকালও পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে এবং রাতের বেলায় কাঠালবাগান ঢাল থেকে পান্থপথ মোড় পর্যন্ত পিটগুলোর মধ্যবর্তী অংশে ড্রেজারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এই কালভার্ট পরিষ্কারের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, করপোরেশনের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমাদের কিছু সক্ষমতা রয়েছে, তারপরও দীর্ঘদিন ধরে যেহেতু এই কাজগুলো ওয়াসার হাতে ছিল তাই আমরা ওয়াসার কারিগরি সহযোগিতা নেব।

ওয়াসার সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে মোতাবেক আমরা শুরুতে ওয়াসার কারিগরি সহযোগিতা, যন্ত্রপাতি ও জনবল সহযোগিতা নেব। ওরা দুই বছর আমাদের সঙ্গে কাজ করবে, পর্যায়ক্রমে আমরা সক্ষমতা অর্জন করব। তিনি আরো বলেন, এই কালভার্টের অভ্যন্তরে কী আছে তা দেখার পর পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

আমরা মার্চের মধ্যে দুটি বক্স কালভার্ট ও তিনটি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শেষ করতে চাই। যাতে আমরা এপ্রিলের শুরু থেকে ঢাকা শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্তি দিতে পারি। সে পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, মার্চের মধ্যে আমরা তিনটি খাল এবং দুই কালভার্ট পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে পারব। যদি আমরা এ সময়ের মধ্যে খাল এবং কালভার্ট পরিষ্কার করতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি, এ বছর আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।

ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরের বক্স কালভার্টটির গভীরতা দুই রকমের। এর গভীরতা কোথাও ১১ ফুট আবার কোথাও ২০ থেকে ২২ ফুট। এক্ষেত্রে কারিগরি কমিটির সহযোগিতার মাধ্যমে সঠিক মাপ বের করতে কাজ করছেন তারা।

তারা জানান, শুধু কালভার্ট (ড্রেনেজ পিট) পরিষ্কার করলে হবে না। ভেতরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মেশিন প্রবেশ করাতে হবে। ক্রেন প্রবেশ করাতে হবে। পানি প্রবাহ বাড়ানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে আবর্জনা উঠানো হবে। কালভার্টের ভেতরের সংযোগ মুখগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। মুখগুলো পরিষ্কার করতে হবে। প্রথমে ২০০ মিটার করে পরিষ্কার করা হবে। পরবর্তীতে অন্য অংশ পরিষ্কার করা হবে। কালভার্টের ওপর অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, কালভার্টের ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নেই। সীমানা নির্ধারণপূর্বক বুঝা যাবে কালভার্টের বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা আছে কি না।