ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

বাঘায় অসহায় বিধবা স্বামীর পাওনা টাকা ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৫৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহী ব‍্যুরো।।

রাজশাহীর বাঘায় উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত পেতে জাহানারা (৬০) নামের এক অসহায় বিধবা থানার স্বরনাপন্ন হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এ ব্যাপারে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী বিধবা উপজেলার হরিণা গ্রামের মৃত আফতাব আলীর স্ত্রী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আফতাব আলী হরিণা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিছন্নতা কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে তার বসতবাড়ি। বাড়ির সামনে ছিল একটি মুদি দোকান। চাকুরির পাশাপাশি তিনি ব্যাবসা করতেন। ব্যাবসা সুত্রে পার্শ্ববর্তী সোনাদহ গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান এর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়েওঠে। বিগত চার বছর আগে আফতাব চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। অবসরকালীন ভাতা হিসাবে তিনি একযোগে ৩ লক্ষ টাকা পান। এ বিষয়ে কাঠ ব্যাবসায়ী মান্নান জানতে পেরে তিনি আফতাব কে বুঝিয়ে শুনিয়ে ব্যাবসার লভ্যাংশ দেওয়ার শর্তে ৩ মাস মেয়াদে ৩ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বুঝিয়ে নেন।
কিন্তুু বিধি বাম টাকা লেনদেন হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে আফতাব মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিন মাস হাসপাতালে চিকৎসা গ্রহনের পর তিনি তার নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী জাহানারা বলেন,স্বামীর মৃত্যুর পর আমি পাওনা টাকা কাঠ ব্যবসায়ী মান্নানের কাছে চাইতে গেলে ৬ মাসের সময় নেয়। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তিনি টাকা না দিয়ে নানান তালবাহানায় দিবো দিচ্ছি করে ৪ বছর অতিক্রম করেছে। সর্বশেষ গেল মৌসুমের আম বিক্রি করে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। তাই আমি গত (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় তার বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পুনরায় টাকা চাইতে গেলে মারধর করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও আর কখনও টাকা দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তাই আমি কোন উপায় না পেয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগে উল্লেখিত ১নং,২ নং ও ৩ নং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে কামাল উদ্দিন (পোস্ট মাস্টার), রেকাত প্রাঃ এর ছেলে জালাল উদ্দীন, মিন্টু আলীর স্ত্রী নূরী বেগম বলেন, আফতাব ও মান্নানের মধ্যে টাকা লেন-দেনের সময় আমারা উপস্থিত ছিলাম এবং আমাদের সামনেই আফতাব ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মান্নান কে দিয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, তাদের কোন ছেলে না থাকায় আফতাব মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। তাদের নিজের জমি না থাকায় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় অন্যের জমিতে একটি ছোট ঘর করে স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ছোট্ট দোকানটিকে আকড়ে ধরে তিনি থাকেন সেই কুড়ে ঘরে।
মুঠো ফোনে আঃমান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান,অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাঘায় অসহায় বিধবা স্বামীর পাওনা টাকা ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজশাহী ব‍্যুরো।।

রাজশাহীর বাঘায় উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত পেতে জাহানারা (৬০) নামের এক অসহায় বিধবা থানার স্বরনাপন্ন হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি এ ব্যাপারে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী বিধবা উপজেলার হরিণা গ্রামের মৃত আফতাব আলীর স্ত্রী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আফতাব আলী হরিণা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিছন্নতা কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে তার বসতবাড়ি। বাড়ির সামনে ছিল একটি মুদি দোকান। চাকুরির পাশাপাশি তিনি ব্যাবসা করতেন। ব্যাবসা সুত্রে পার্শ্ববর্তী সোনাদহ গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান এর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়েওঠে। বিগত চার বছর আগে আফতাব চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। অবসরকালীন ভাতা হিসাবে তিনি একযোগে ৩ লক্ষ টাকা পান। এ বিষয়ে কাঠ ব্যাবসায়ী মান্নান জানতে পেরে তিনি আফতাব কে বুঝিয়ে শুনিয়ে ব্যাবসার লভ্যাংশ দেওয়ার শর্তে ৩ মাস মেয়াদে ৩ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বুঝিয়ে নেন।
কিন্তুু বিধি বাম টাকা লেনদেন হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে আফতাব মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিন মাস হাসপাতালে চিকৎসা গ্রহনের পর তিনি তার নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী জাহানারা বলেন,স্বামীর মৃত্যুর পর আমি পাওনা টাকা কাঠ ব্যবসায়ী মান্নানের কাছে চাইতে গেলে ৬ মাসের সময় নেয়। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তিনি টাকা না দিয়ে নানান তালবাহানায় দিবো দিচ্ছি করে ৪ বছর অতিক্রম করেছে। সর্বশেষ গেল মৌসুমের আম বিক্রি করে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। তাই আমি গত (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় তার বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পুনরায় টাকা চাইতে গেলে মারধর করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়াও আর কখনও টাকা দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তাই আমি কোন উপায় না পেয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগে উল্লেখিত ১নং,২ নং ও ৩ নং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে কামাল উদ্দিন (পোস্ট মাস্টার), রেকাত প্রাঃ এর ছেলে জালাল উদ্দীন, মিন্টু আলীর স্ত্রী নূরী বেগম বলেন, আফতাব ও মান্নানের মধ্যে টাকা লেন-দেনের সময় আমারা উপস্থিত ছিলাম এবং আমাদের সামনেই আফতাব ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মান্নান কে দিয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, তাদের কোন ছেলে না থাকায় আফতাব মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। তাদের নিজের জমি না থাকায় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় অন্যের জমিতে একটি ছোট ঘর করে স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ছোট্ট দোকানটিকে আকড়ে ধরে তিনি থাকেন সেই কুড়ে ঘরে।
মুঠো ফোনে আঃমান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান,অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।