ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

দুই বছরেই ড্রাগন-মাল্টায় লাভ দেখছেন শিক্ষক সাদেকুল

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৭০ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ।।

স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিত্যক্ত জমিতে করেছেন ফলের বাগান। বাগানে শোভা পাচ্ছে ড্রাগন মাল্টা। পাশাপাশি ৬০ শতক জমিতে চাষ করেছেন পেঁপে দেশি আদা। তিনি হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারের পাশে স্থানীয় গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল ইসলাম। বাগান করে তিনি যেমন সফল, তেমনি তাকে দেখে এলাকার মানুষদের মধ্যে বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিজের জমিতে লাগানো ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত এই শিক্ষক। যদিও বাগানটি দেখাশোনার জন্য একজনকে রাখা হয়েছে। তারপর তিনি নিজেও বাগানের পরিচর্যা করেন। এলাকাবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেকইে তার বাগান দেখতে আসছেন।

জানা গেছে, তিন বছর আগে অনলাইন থেকে ড্রাগন চাষের বিষয়টি জানতে পারেন শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল। পরবর্তীতে তিনি তার পরিত্যক্ত জমিটি ব্যবহার করার চিন্তা করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে শুরু করেন ফলের বাগান। যদিও ড্রাগন চাষ তার কাছে  একেবারেই নতুন ছিল। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টার চাষও করেন। অল্প দিনেই বেড়ে উঠে তার বাগানটি।

শুরুর দিকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়। যদিও সেই সময় নিজের প্রতি তেমন ভরসা ছিল না। তবে মনে ছিল সফলতার স্বপ্ন। আজ যেন তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বাগান করার দুই বছরের মধ্যেই খরচের টাকা উঠে লাভ আসতে শুরু করেছে।  স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সাদেকুল ফলের বাগান করে আমাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শুনেছি তিনি অনলাইনে দেখে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে। এরপর তিনি একই জমিতে মাল্টাসহ বেশ কিছু ফলের চাষ করেছেন। আজ তার এই সফলতা দেখে আমি আনন্দিত। তিনি তার বাগানের ফলমূল এলাকাবাসীকে খেতে দেন। তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। কিভাবে আমার বাসায় একটি বাগান করলে আমিও একজন সফল চাষি হতে পারব। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম আমাদের এলাকায় ফলের বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।তার কাছ থেকে আমরাও অনেক কিছু শিখছি। ড্রাগন ফল চাষ করে এতটা লাভবান হওয়া যায় তা জানা ছিল না। শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষের বিষয়টি আমি জানতে পারি। এরপর এটা নিয়ে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। তাদের সহযোগিতায় নিজের পরিত্যক্ত জমিটি পরিষ্কার করে সেখানে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করি। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টাও করি। দুই বছরের মাথায় ফল বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে লাভ করতে শুরু করি। এরপর একই বাগানে পেঁপে ও দেশি আদাসহ বিভিন্ন ফল চাষ করি। গত বছর এক লাখের বেশি টাকার ফল বিক্রি করেছি। তিনি আরও বলেন, বাগানের মাধ্যমে সমাজের বেকারত্ব অনেকটাই কমে আসবে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন যে কেউ। যদি কেউ তার বাসার ছাদে কিংবা বাসার পাশে এমন বাগান করে তাহলে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও সফল হবেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। মাল্টা বা লেবু জাতীয় ফলে যেহেতু অল্প খরচে চাষিরা বেশি লাভবান হয়, তাই এ ফল সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের কৃষির উন্নয়ন হবে বলে আমি মনে করি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুই বছরেই ড্রাগন-মাল্টায় লাভ দেখছেন শিক্ষক সাদেকুল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ।।

স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিত্যক্ত জমিতে করেছেন ফলের বাগান। বাগানে শোভা পাচ্ছে ড্রাগন মাল্টা। পাশাপাশি ৬০ শতক জমিতে চাষ করেছেন পেঁপে দেশি আদা। তিনি হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারের পাশে স্থানীয় গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল ইসলাম। বাগান করে তিনি যেমন সফল, তেমনি তাকে দেখে এলাকার মানুষদের মধ্যে বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিজের জমিতে লাগানো ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত এই শিক্ষক। যদিও বাগানটি দেখাশোনার জন্য একজনকে রাখা হয়েছে। তারপর তিনি নিজেও বাগানের পরিচর্যা করেন। এলাকাবাসীসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেকইে তার বাগান দেখতে আসছেন।

জানা গেছে, তিন বছর আগে অনলাইন থেকে ড্রাগন চাষের বিষয়টি জানতে পারেন শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল। পরবর্তীতে তিনি তার পরিত্যক্ত জমিটি ব্যবহার করার চিন্তা করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে শুরু করেন ফলের বাগান। যদিও ড্রাগন চাষ তার কাছে  একেবারেই নতুন ছিল। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টার চাষও করেন। অল্প দিনেই বেড়ে উঠে তার বাগানটি।

শুরুর দিকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ হয়। যদিও সেই সময় নিজের প্রতি তেমন ভরসা ছিল না। তবে মনে ছিল সফলতার স্বপ্ন। আজ যেন তার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বাগান করার দুই বছরের মধ্যেই খরচের টাকা উঠে লাভ আসতে শুরু করেছে।  স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সাদেকুল ফলের বাগান করে আমাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শুনেছি তিনি অনলাইনে দেখে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে। এরপর তিনি একই জমিতে মাল্টাসহ বেশ কিছু ফলের চাষ করেছেন। আজ তার এই সফলতা দেখে আমি আনন্দিত। তিনি তার বাগানের ফলমূল এলাকাবাসীকে খেতে দেন। তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। কিভাবে আমার বাসায় একটি বাগান করলে আমিও একজন সফল চাষি হতে পারব। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম আমাদের এলাকায় ফলের বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।তার কাছ থেকে আমরাও অনেক কিছু শিখছি। ড্রাগন ফল চাষ করে এতটা লাভবান হওয়া যায় তা জানা ছিল না। শিক্ষক আবু জাফর সাদেকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষের বিষয়টি আমি জানতে পারি। এরপর এটা নিয়ে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করি। তাদের সহযোগিতায় নিজের পরিত্যক্ত জমিটি পরিষ্কার করে সেখানে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করি। পাশাপাশি একই জমিতে মাল্টাও করি। দুই বছরের মাথায় ফল বিক্রি করে খরচের টাকা উঠে লাভ করতে শুরু করি। এরপর একই বাগানে পেঁপে ও দেশি আদাসহ বিভিন্ন ফল চাষ করি। গত বছর এক লাখের বেশি টাকার ফল বিক্রি করেছি। তিনি আরও বলেন, বাগানের মাধ্যমে সমাজের বেকারত্ব অনেকটাই কমে আসবে। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন যে কেউ। যদি কেউ তার বাসার ছাদে কিংবা বাসার পাশে এমন বাগান করে তাহলে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও সফল হবেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের আওতায় আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। মাল্টা বা লেবু জাতীয় ফলে যেহেতু অল্প খরচে চাষিরা বেশি লাভবান হয়, তাই এ ফল সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের কৃষির উন্নয়ন হবে বলে আমি মনে করি।