গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নুরবানু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ২জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে পরকীয়ার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। গত ২৫ আগস্ট তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা গ্রাম থেকে নুরবানুর বেগম (৩৩) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ২ আসামির রিমান্ডের শেষ দিন। ১ সম্তানের জননী নুরবানু চরখোর্দ্দা গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রহমতের চর গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ২য় স্ত্রী । গত ২৪ আগস্ট দুপুরে নুরবানু তার স্বামীর ২টি গরু নিয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে গরু ২টি তার এক ঘনিষ্ঠ আত্নীয়ের বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরদিন সকালে তার বাবার বাড়ি থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরে ধান ক্ষেতের পার্শ্বে ইউক্লিপ্টাস গাছের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নুরবানুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
রিমান্ডকৃত আসামিদ্বয় হলেন, উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের অকিম উদ্দিনের ছেলে আবুল বাশার এবং পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলার নজর মামুন গ্রামের সাহা আলীর ছেলে লেবু মিয়া।
থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, আসামিদের জবানবন্দী মতে, পরকীয়ার জের ধরে নুরবানুকে খুন করা হয়েছে। ২৪ আগস্ট রাতে হত্যাকাণ্ডের পর লাশ গাছের সাথে বেঁধে রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা। বাকী আসামিদের ধরার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।