মেয়রকে এডিসের লার্ভা উপহার দিতে গেলেন পুরান ঢাকাবাসী
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৫২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১
- / ২১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
পুরান ঢাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর ছড়াছড়ি। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কর্পোরেশনের কোনও কর্মী কাজ করছে না। তারা দেখেও যেন দেখছে না। এ অবস্থায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে এডিসের লার্ভা উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করেছে ‘বিক্ষুদ্ধ পুরান ঢাকার বাসিন্দারা’। কর্মসূচিটি আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায়, নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে পুরান ঢাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই তাকে এই লার্ভা উপহার দিতে এসেছি। আমার ঢাকাবাসী জলাবদ্ধতা, মশা আর ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত। প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এর থেকে বাঁচার জন্যই এখানে আসা। আমরা ঘুমাতে পারছি না। আমাদের জনজীবন বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
এসময় একাত্মতা পোষণ করে কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ছিলেন রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা সমাজকর্মী মিজানুর রহমান। যিনি ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে এমডিকে খাওয়াতে চেয়ে আলোচিত হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, আমরা এমন এক শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থায় বসবাস করছি। এখানে যে দাঁড়াবো তাতেও সবাই আতঙ্কিত হয়ে আছে। মনে হচ্ছে তারা যেন কোনও এক যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় এসেছেন। আপনারা নগর ভবনের সামনে দেখেন ময়লা পড়ে আছে। উল্টাপাশে পানি জমে আছে। এই হচ্ছে মশকনিধনে দক্ষিণ সিটির অবস্থা। এই প্রশ্নের উত্তর দক্ষিণের মেয়র কীভাবে দিবেন ?
তিনি আরও বলেন, আমি যেই অঞ্চলে কোনও রকম কার্যক্রম নেই। আমার এলাকায় জুরাইনে এখন পর্যন্ত ৯ জন মারা গেছে। মানুষ টাকার কারণে চিকিৎসা করতে পারছে না। খেতে পারছে না। তাদের কোনও রকম ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা জমিদার হয়ে বসে আছেন। যেন আমরা প্রজা আর তারা রাজা। তাদের সামনে এমন প্রোগ্রাম করে কাজ হবে না। চোখে আঙ্গুল দিয়েই কথা বলতে হবে। কারণ আমাদের জীবনের তো মূল্য আছে।
কর্মসূচি শেষে দিকে দক্ষিণের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বাসিন্দাদের হাত থেকে লার্ভার কাঁচের পাত্র নিয়ে যান।
এসময় বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্যরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।