ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা সাত সকালেই কাঁথির দইসাই বাসস্ট্যান্ডের সামনে ,ভয়াবহ দুর্ঘটনা অন্ধত্ব প্রতিরোধে শেখ ফরিদুল ইসলাম এর সহযোগীতায় রামপালে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাস্তব-সত্যঘঠনা, ও,তথ্যভিত্তিক রেফারেন্স উল্লেখিত-দেশাত্মবোধক বিদ্রোহী কবিতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন

গাজীপুরে কালিয়াকৈর উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ বিরুদ্ধে ব্যাপক বনের জমি দখলের অভিযোগ।

মানসুরা আক্তার কাকলী
স্টাফ রিপোর্টার)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি শালবন দখলের হিড়িক পড়েছে। ক্ষমতাসীন কিছু অসাধু ভূমি দস্যু ও দালালদের হাত ধরে দখল হচ্ছে শালবনের মহা মূল্যবান জমি। বিভিন্ন সময় বন দখলবাজদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেও থামানো যাচ্ছেনা বন দখল। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দখলদারদের সাথে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই দখল হচ্ছে মূল্যবান শাল বনের জমি।
তবে জমি উদ্ধারে এবং দখল ঠেকাতে অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাদের উদাসীনতার অভিযোগ ও রয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন মৌচাক বন বিট, চন্দ্রা বিট, বোয়ালী বিটের বিভিন্ন স্থানে সরকারি শালবনের জমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন, ঘরবাড়ী, দোকানপাট। নিয়ম নীতি না মেনে বনের সীমানা ঘেষেও নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। বনের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের পাশে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে বন বিভাগ থেকে অনুমতি ও জমির সীমানা নির্ধারণের নিয়ম থাকলে ও তার কোনটি মানা হচ্ছে না। শুধু স্থানীয় লোকজন নয় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন মিল কারখানা ও ঝুট গুদামের দখলে ও চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বনের জমি। রাতের আধারে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ওই সব মিল কারখানার যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ ও রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার মৌচাক বন বিটের আওতাধীন দক্ষিণ ভান্নারা নামক এলাকায় উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ বিরুদ্ধে ও বনের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ ভান্নারা এলাকায় উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ এর ১৩৮২ দাগে ও ১৩৮৩ দাগে ব্যাক্তিগত সম্পত্তির পাশের ১৩৮১ দাগের বেশ সংখ্যক বনের জমি দখল ও বনের গাছ কেটে ইট দিয়ে ওয়াল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে এবং কারখানার মেইন গেটের সামনে বিশাল আকারে বন বিভাগের অত্র দাগের জমি দখল করে গাড়ি রাখার পার্কিং এর জায়গা নির্মান করা হয়েছে । বনের গাছ কেটে তৈরি করা সীমানা প্রাচীর সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে ও পুনরায় আবার দখলে চলে গেছে জমিগুলো।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি জানান কারখানার ভিতরে ১০ একর জমি যদি থেকে থাকে তার মাঝে ৪ একর বন বিভাগের জমি দখল করে রেখেছেন। এছাড়া ও চন্দ্রা বন বিটের আওতাধীন পল্লীবিদ্যুৎ সাত্তার গেট, সরকারবাড়ী এলাকা, বিশ্বাসপাড়া এলাকায়, মাটিকাটা রেল লাইন এলাকায় এক যোগে বনের জমি জবর দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে আবার সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে বড় বড় স্থাপনা। স্থানীয় কিছু অসাধু বন দালালদের সহযোগিতায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে জমি দখল নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছে স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় সড়কের পাশের কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি ঝুট ব্যবসায়ীদের জবর দখলে রয়েছে। শালবন পুড়িয়ে জমি দখল করে নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন ঝুট ব্যবসায়ীরা। চাঞ্চল্যকর এসব ঘটনার বেশির ভাগই কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের আশেপাশেই। এই বিষয়ে উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ ম্যানেজার মুজাহিদ আহাম্মেদ জানান আমি এখানে নতুন এসেছি, বনের জমি দখল করা হয়েছে, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, বন বিভাগের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। উক্ত বিষয়ে মৌচাক বিট কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান মানিক মুঠো ফোনে জানান, উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ সহ যে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিজ মাঝে সরকারী বন বিভাগের জমি দখল করে রেখেছেন, সে গুলোর উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে, উদ্ধারের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ঐ সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিজ গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব বিষয়ে কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দোলন জানান, সরকারি সংরক্ষিত বন বিভাগের জমি দখলের সাথে যারা যুক্ত আছেন ঐ সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন দখল ঠেকাতে আমরা সর্বক্ষন সচেষ্ট রয়েছি। । এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডি.এফ.ও) মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা

গাজীপুরে কালিয়াকৈর উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ বিরুদ্ধে ব্যাপক বনের জমি দখলের অভিযোগ।

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১

মানসুরা আক্তার কাকলী
স্টাফ রিপোর্টার)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি শালবন দখলের হিড়িক পড়েছে। ক্ষমতাসীন কিছু অসাধু ভূমি দস্যু ও দালালদের হাত ধরে দখল হচ্ছে শালবনের মহা মূল্যবান জমি। বিভিন্ন সময় বন দখলবাজদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেও থামানো যাচ্ছেনা বন দখল। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দখলদারদের সাথে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই দখল হচ্ছে মূল্যবান শাল বনের জমি।
তবে জমি উদ্ধারে এবং দখল ঠেকাতে অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাদের উদাসীনতার অভিযোগ ও রয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন মৌচাক বন বিট, চন্দ্রা বিট, বোয়ালী বিটের বিভিন্ন স্থানে সরকারি শালবনের জমি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন, ঘরবাড়ী, দোকানপাট। নিয়ম নীতি না মেনে বনের সীমানা ঘেষেও নির্মাণ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। বনের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের পাশে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে বন বিভাগ থেকে অনুমতি ও জমির সীমানা নির্ধারণের নিয়ম থাকলে ও তার কোনটি মানা হচ্ছে না। শুধু স্থানীয় লোকজন নয় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন মিল কারখানা ও ঝুট গুদামের দখলে ও চলে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বনের জমি। রাতের আধারে সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ওই সব মিল কারখানার যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ ও রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার মৌচাক বন বিটের আওতাধীন দক্ষিণ ভান্নারা নামক এলাকায় উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ বিরুদ্ধে ও বনের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ ভান্নারা এলাকায় উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ এর ১৩৮২ দাগে ও ১৩৮৩ দাগে ব্যাক্তিগত সম্পত্তির পাশের ১৩৮১ দাগের বেশ সংখ্যক বনের জমি দখল ও বনের গাছ কেটে ইট দিয়ে ওয়াল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে এবং কারখানার মেইন গেটের সামনে বিশাল আকারে বন বিভাগের অত্র দাগের জমি দখল করে গাড়ি রাখার পার্কিং এর জায়গা নির্মান করা হয়েছে । বনের গাছ কেটে তৈরি করা সীমানা প্রাচীর সাময়িকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে ও পুনরায় আবার দখলে চলে গেছে জমিগুলো।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ব্যক্তি জানান কারখানার ভিতরে ১০ একর জমি যদি থেকে থাকে তার মাঝে ৪ একর বন বিভাগের জমি দখল করে রেখেছেন। এছাড়া ও চন্দ্রা বন বিটের আওতাধীন পল্লীবিদ্যুৎ সাত্তার গেট, সরকারবাড়ী এলাকা, বিশ্বাসপাড়া এলাকায়, মাটিকাটা রেল লাইন এলাকায় এক যোগে বনের জমি জবর দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে আবার সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই নির্মাণ হচ্ছে বড় বড় স্থাপনা। স্থানীয় কিছু অসাধু বন দালালদের সহযোগিতায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে জমি দখল নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করছে স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, পল্লিবিদ্যুৎ এলাকায় সড়কের পাশের কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি ঝুট ব্যবসায়ীদের জবর দখলে রয়েছে। শালবন পুড়িয়ে জমি দখল করে নিচ্ছেন ক্ষমতাসীন ঝুট ব্যবসায়ীরা। চাঞ্চল্যকর এসব ঘটনার বেশির ভাগই কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের আশেপাশেই। এই বিষয়ে উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ ম্যানেজার মুজাহিদ আহাম্মেদ জানান আমি এখানে নতুন এসেছি, বনের জমি দখল করা হয়েছে, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, বন বিভাগের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। উক্ত বিষয়ে মৌচাক বিট কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান মানিক মুঠো ফোনে জানান, উর্মি নীট ওয়্যার লিঃ সহ যে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিজ মাঝে সরকারী বন বিভাগের জমি দখল করে রেখেছেন, সে গুলোর উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে, উদ্ধারের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ঐ সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিজ গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এসব বিষয়ে কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দোলন জানান, সরকারি সংরক্ষিত বন বিভাগের জমি দখলের সাথে যারা যুক্ত আছেন ঐ সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন দখল ঠেকাতে আমরা সর্বক্ষন সচেষ্ট রয়েছি। । এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডি.এফ.ও) মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।