ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ইনশাআল্লাহ অবশেষে জানুয়ারি ১ তারিখ হতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলা শুরু করবে মুজিব’স বাংলাদেশ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় হোটেলে ৫০ শতাংশ ছাড় বঙ্গভবনে চার দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সংস্কারের আহ্বান ডয়চে ভেলে গার্মেন্টসের স্থায়িত্বে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন প্রার্থীদের হলফনামায় নজর রাখছে দুদক শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, তাই জামিন পেয়েছেন: ড. রাজ্জাক পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার অভিযোগ সম্পর্কে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র ৩৩৮ ওসি, ১১০ ইউএনও’র বদলির প্রস্তাব ইসিতে ঢাকাস্থ গলাচিপা দশমিনা বাসির সাথে মতবিনিময় সভা করলেন এমপি শাহজাদা

 রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি চরাঞ্চলে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি 

রাজশাহী ব্যুরো হাবিল উদ্দিন।।রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে  চকরাজাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল,গড়গড়ী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক পদ্মার চর এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি। বণ্যাকবলিত চর এলাকায় বসবাসরত পানিবন্দি মানুষ এখন অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক দিন যাবৎ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গড়গড়ী ইউনিয়নের, ব্যাংগাড়ী,চাঁদপুর,ব্রাক্ষণডাঙ্গা,কড়ালী নওশারা,

সুলতানপুর,পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার। এছাড়া প্রায় ১ হাজার একর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। তারা আরো বলেন,এর পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় গরু-ছাগল খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েশত পরিবার। তবে চকরাজাপুর,গড়গড়ি, ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ফসলি জমি ও বিভিন্ন বাগাণসহ পদ্মার চরাঞ্চলে কত হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে তা নিরুপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জনান উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন,জেলায় এখনো পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

এ বিষয়ে,চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, চরাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবার গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ১০ টন চাউল ও নগদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। (২০-আগষ্ট) শুক্রবার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৫শ পরিবারের মাঝে ৫শ ব্যাগ চাউলসহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই ত্রান বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে ।

রাজাশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ এই প্রতিবেদককে বলেন,পদ্মা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বাকি সব নদীর পানি অন্য বছরের তুলনায় এবার এখনো কম আছে। তবে তিস্তার পানি চলে আসলে বিপজ্জনক হতে পারে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইনশাআল্লাহ অবশেষে জানুয়ারি ১ তারিখ হতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলা শুরু করবে

 রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি চরাঞ্চলে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি 

আপডেট টাইম : ০৯:৩৪:০১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১

রাজশাহী ব্যুরো হাবিল উদ্দিন।।রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে  চকরাজাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল,গড়গড়ী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক পদ্মার চর এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি। বণ্যাকবলিত চর এলাকায় বসবাসরত পানিবন্দি মানুষ এখন অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক দিন যাবৎ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গড়গড়ী ইউনিয়নের, ব্যাংগাড়ী,চাঁদপুর,ব্রাক্ষণডাঙ্গা,কড়ালী নওশারা,

সুলতানপুর,পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার। এছাড়া প্রায় ১ হাজার একর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। তারা আরো বলেন,এর পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় গরু-ছাগল খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েশত পরিবার। তবে চকরাজাপুর,গড়গড়ি, ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ফসলি জমি ও বিভিন্ন বাগাণসহ পদ্মার চরাঞ্চলে কত হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে তা নিরুপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জনান উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন,জেলায় এখনো পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

এ বিষয়ে,চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, চরাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবার গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ১০ টন চাউল ও নগদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। (২০-আগষ্ট) শুক্রবার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৫শ পরিবারের মাঝে ৫শ ব্যাগ চাউলসহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই ত্রান বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে ।

রাজাশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ এই প্রতিবেদককে বলেন,পদ্মা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বাকি সব নদীর পানি অন্য বছরের তুলনায় এবার এখনো কম আছে। তবে তিস্তার পানি চলে আসলে বিপজ্জনক হতে পারে।