তালার রায়পুুরে পূজা মন্দিরের টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করলেন মেম্বর বিকাশ মন্ডল
- আপডেট টাইম : ১১:৪৫:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১
- / ৩২৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
শেখ সিরাজুল ইসলাম।। সাতক্ষীরার তালায় ইউপি সদস্য কর্তৃক নিজেকে ভূয়া সভাপতি সাজিয়ে মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, তালা উপজেলার ১২ নং খলিলনগর ইউনিযনের রায়পুর গ্রামের পূর্ব পাড়া বাসন্তী পূজা মন্দিরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনা-বেক্ষণ টিআর প্রকল্পের আওতায় ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু স্থানীয় ৯নং ওযার্ড সদস্য বিকাশ চন্দ্র মন্ডল নিজেকে ঐ মন্দির কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে গোপনে কাউকে কিছু না-বলে চুপিসারে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি কাউকে কিছু না বলে চুপিসারে মন্দিরের কোন প্রকার কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এবিষয়ে রায়পুর পূর্বপাড়া পূজা উদযাপন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দিপংকর গোলদার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সম্পাদক অর্জুন গোলদার জানান, পূজা মন্দিরের নামে কোন প্রকার বরাদ্দ হয়েছে কিনা সেটা তারা জানেননা। তবে কিছু দিন আগে বিষয়টি কমিটির সভাপতি দিপংকর গোলদার তাদেরকে অবহিতপূর্বক টাকাগুলি স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল নিজেকে সভাপতি পরিচয়ে উঠিয়েছেন বলে জানান।
সহ-সসভাপতি ভীম গোলদার, কোষাধ্যক্ষ আশিষ মুনি জানান, সদস্য জ্যোতিশ মন্ডল, বিনোদ বিহারী বাঁছাড়, রবীন্দ্র নাথ মন্ডল, পূজারী খগেন্দ্র নাথ মুনি, পংকজ মন্ডলসহ কমিটির অন্যান্যরা জানান, তাদের পূজা মন্দিরের নামে কোন বরাদ্দ হয়েছে কিনা সেটা তারা বলতে পারেননা। তবে কয়েক দিন আগে সভাপতি দিপংকরের মাধ্যমে বিষয়টি তারা অবগত হয়েছেন যে, তাদের ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল বরাদ্দের ৫২ হাজার টাকার প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা কাউকে না জানিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিপংকর গোলদার জানান, তিনি উক্ত রায়পুর পূর্বপাড়া বাসন্তী পূজা উদযাপন পরিচালনা পরিষদের নির্বাচিত বৈধ সভাপতি। সম্প্রতি তিনি অবগত হন যে, স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য বিকাশ মন্ডল নিজেকে পূজা মন্দিরের সভাপতি পরিচয় দিয়ে সেখানকার বরাদ্দের ৫২ হাজার টাকার মধ্যে প্রথম কিস্তির ২৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সভাপতি নাহয়েও টাকা উঠিয়েছি এটা সত্য, টাকা তোলা আমার ভুল হয়েছে। তিনি টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকাগুলি আমি উঠিয়ে রেখেছি। তবে কোন কাজ করেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, এখনো কাজ করা হয়নি। কমিটির সভাপতি না হয়েও আপনি কিভাবে টাকা উঠালেন এমন প্রশ্নের তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ওবাইদুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলব।