ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হস্তান্তরের আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বৃষ্টির পানি!

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামে হস্তান্তরের আগেই সরকারি ঘরে পানি ডুকে পড়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এর উদ্যোগে সারাদেশের গৃহহীনদের মাঝে ভুমিসহ নতুন ঘর দেওয়া হয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামে চার গৃহহীন পরিবারকে দেওয়ার জন্য চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টির কারণে ঘরগুলোর ভিটিতে পানি জমে আছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকার ভালো উদ্দেশ্যে গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ঠিকাদার ঘরের ভিটি পাশের রাস্তা পর্যন্ত উঁচু না করেই দায়সারাভাবে ঘর নির্মাণ কাজ করছে। ফলে যে কোন সময় হালকা বৃষ্টিতেই ঘরের ভিটিতে পানি উঠতে পারে।
নাম প্রকাশ করা না শর্তে এক নারী বলেন, আশ্রয়হীনদের জন্য ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে অনেক স্থানে ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে দেয়াল ও পিলার ভেঙে গেছে। অনেক ঘরের ভিটিতে পানি উঠেছে। অবিলম্বে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সরকারি ঘরগুলো আরও ভালোভাবে নির্মাণ করা দরকার। তাহলে গৃহহীন মানুষ চিন্তামুক্তভাবে ওই ঘরে বসবাস করতে পারবে।
এদিকে ঘরগুলোর ভিটিতে পানি উঠার বিষয়ে কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল বলেন, চারটি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। ইউএনও কাজ দেখাশোনা করছেন। লকডাউনের পর মিস্ত্রি এসে পুরো কাজ শেষ করবে এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ কাজ এখনও চলমান। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে সব জায়গায় পানি উঠেছে। ঘরগুলো হস্তান্তরের আগে যদি সেখানে পানি থাকে, তাহলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে’।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হস্তান্তরের আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বৃষ্টির পানি!

আপডেট টাইম : ০১:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামে হস্তান্তরের আগেই সরকারি ঘরে পানি ডুকে পড়েছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এর উদ্যোগে সারাদেশের গৃহহীনদের মাঝে ভুমিসহ নতুন ঘর দেওয়া হয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামে চার গৃহহীন পরিবারকে দেওয়ার জন্য চারটি ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টির কারণে ঘরগুলোর ভিটিতে পানি জমে আছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকার ভালো উদ্দেশ্যে গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ঠিকাদার ঘরের ভিটি পাশের রাস্তা পর্যন্ত উঁচু না করেই দায়সারাভাবে ঘর নির্মাণ কাজ করছে। ফলে যে কোন সময় হালকা বৃষ্টিতেই ঘরের ভিটিতে পানি উঠতে পারে।
নাম প্রকাশ করা না শর্তে এক নারী বলেন, আশ্রয়হীনদের জন্য ঘর দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে অনেক স্থানে ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানে দেয়াল ও পিলার ভেঙে গেছে। অনেক ঘরের ভিটিতে পানি উঠেছে। অবিলম্বে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে সরকারি ঘরগুলো আরও ভালোভাবে নির্মাণ করা দরকার। তাহলে গৃহহীন মানুষ চিন্তামুক্তভাবে ওই ঘরে বসবাস করতে পারবে।
এদিকে ঘরগুলোর ভিটিতে পানি উঠার বিষয়ে কনকাপৈত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল বলেন, চারটি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। ইউএনও কাজ দেখাশোনা করছেন। লকডাউনের পর মিস্ত্রি এসে পুরো কাজ শেষ করবে এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ কাজ এখনও চলমান। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে সব জায়গায় পানি উঠেছে। ঘরগুলো হস্তান্তরের আগে যদি সেখানে পানি থাকে, তাহলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে’।