ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

বাগমারায় মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১
  • / ৩১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহী।।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন সহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জমি দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে। হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা।

বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে।

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা।

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৪ আগস্ট ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহী।।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন সহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জমি দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে। হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা।

বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে।

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা।

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।