ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন

বাগমারায় মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩৫৯ ১৫০.০০০ বার পাঠক

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহী।।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন সহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জমি দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে। হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা।

বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে।

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা।

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহী।।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন সহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জমি দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে। হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা।

বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে।

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা।

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।