রাজশাহীতে র্যাবের হাতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিলন আটক
- আপডেট টাইম : ১০:২০:১৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১ আগস্ট ২০২১
- / ৫৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক
রাজশাহী প্রতিনিধি।।
রাজশাহী মহানগরীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী নুরে ইসলাম মিলনকে আটক করেছে
র্যাব-৫ এর একটি চৌকস দল।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব-৫ পরে তাকে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মিলন রাজশাহী নগরীর এক সময়ের বিয়ারিং ব্যবসায়ী নুরে ইসলাম মিলন নামে পরিচিত ছিলেন ২০১৪ সালে রেজাউল নামের এক শিক্ষিত ছেলের হাত ধরে আসেন সাংবাদিকতায়। পরবর্তীতে রেজাউলকে ডিঙ্গিয়ে গড়ে তোলেন এক সিন্ডিকেট ।
অবশ্য মিলনের নামে শাহ মখদুম থানায় চুরি মামলা, চেক প্রতারনাসহ ১ হাজার বোতল ফেন্সিডিল, নারী দিয়ে ব্লাকমেইল সহ
ইয়াবা ব্যবসায়ী সঞ্জুর ও তার স্ত্রী কলির কাছে পুলিশের সাবেক আরএমপি কমিশনারের নামে ৩লাখ, সাবেক ডিসি পশ্চিমের নামে ২লাখ, ওসি ১লাখ ও তদন্ত ওসির নামে ১লাখ মোট ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এই চক্রটির মুল হোতা মিলন যা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি কলির বক্তব্যে পাওয়া যায়।
প্রতারণা করে গড়েছে ৫ লাখ টাকা দামের একটি প্রাভেট কার যা তিনি ব্যবহার করেন । তার বাড়িতে আছে এসি সহ ২ জন স্ত্রী । পারিবারিক ব্যকগ্রাউন্ড শূন্যের কোটায় হলেও ডিগ্রী কিংবা অনার্স পাশ না করে সাংবাদিকতায় এসে বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। এর আগে যা কেউ কখনও করতে পারেনি । ভয়ঙ্কর অপরাধী থেকে তিনিও এখন সাংবাদিক।
এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক ও সচেতন মহল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে এসব নামধারী সাংবাদিকদের রোধ করা প্রয়োজন। নইলে মিথ্যের বেড়াজালে সঠিক তথ্য জানতে আগ্রহ হারাবে রাজশাহীবাসী।
মিলনের অপতৎপরতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন প্রকৃত সংবাদ কর্মীরা। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বোয়ালিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী একজন প্রতিবন্ধী। রেলে চাকুরী দেয়ার নামে একটি চেকে আড়াই লাখ ও অপর চেকে ১৯ লাখ টাকা নেয় মিলন, পরে ২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুগ্ম জজ আদালত-২ এ প্রতিবন্ধী রায়হান আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা নং-৬৬৬/১৭। মামলার বাদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার বাবুপুর গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে। মামলার এক বছর পর ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে আদালতের বিচারক মিলনকে এক বছরের সাজা
প্রদান করেন।
কিন্ত তিনি তখন পলাতক ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে মামলার ওয়ারেন্ট থাকলেও গ্রেফতার হননি। মিলন নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ঘোড়ামারা এলাকার মৃত মোস্তাক হোসেন ওরফে ডাবলুর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাগরপাড়া (বটতলা) মোড়ের
একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার কর্মরত অফিসার বলেন, ওয়ারেন্ট থাকায় র্যাব মিলনকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে।
আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।