ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকা মুখী মানুষের জনস্রোত

সোহেল রানা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের সকল মহাসড়কে ঢাকা মুখী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। গার্মেন্টস খোলার খবরে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ছুটছে মানুষ।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা মোড়, কড্ডার মোড় ও হাটিকমুরুল গোলচত্বর এলাকায় হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের ঢল দেখা যায়। ট্রাক-পিকআপে ঝুলে যাচ্ছে মানুষ। এ যাত্রায় নারী পুরুষের সাথে রয়েছে শিশুরাও।
সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই এসব যাত্রীদের মধ্যে। মহাসড়কে দারিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। কোনোমতে একটি ট্রাক বা পিকআপ পেলেই উঠে পড়ছেন। অনেকে ভাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস না করেই লাফিয়ে ট্রাকে উঠছে। তাদের মুল উদ্দেশ্য ঢাকায় পৌছানো।
সিরাজগঞ্জ রোডে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা গার্মেন্টসকর্মী সোলায়মান হোসেন নয়া শতাব্দীকে বলেন, 6ঘণ্টা ধরে দারিয়ে আছি। ফাকা গাড়ি পেলে উঠে চলে যাবো। কিন্তু খালি কোন গাড়ি পাচ্ছি না। মানুষের ভীড়ে গাড়িতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছি না।
রেবেকা খাতুন নামে এক নারী গার্মেন্টসকর্মী বলেন, অনেকদিন পর গার্মেন্টস খুলছে। আমাদের যেকোন উপায়ে হোক যেতে হবে৷ এই চাকরীর উপরে আমার সংসার চলে। আজকের মধ্যে না পৌছাতে পারলে যদি চাকরী চলে যায় তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই যত কষ্ট সহ্য করে বেশী ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন ট্রাক যাত্রী বলেন, গনপরিবহন বন্ধ সেই সুযোগে ট্রাক মাইক্রোচালকরা দ্বিগুন তিনগুন করে ভাড়া নিচ্ছে। একটা বড় ট্রাকে ৬০-৭০ জন যাত্রী উঠানো হচ্ছে। প্রতিজনের কাছ ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। আর মাইক্রোবাসে ৯০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। ভাড়া যতই হোক যেতে হবেই।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় এভাবে ছুটছে মানুষ। গনপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাকে ঝুলে ঝুলে নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শ্রমিকেরা তাদের কর্মস্থলে ছুটছে। ট্রাকে যেন যাত্রী উঠাতে না পারে এজন্য হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে তৎপরতা চালাচ্ছে কিন্তু মানুষের চাপে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। মানুষের এমন দুর্ভোগ দেখে আমরা বেশী কঠোরও হতে পারছি না।
আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরবে আগানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকা মুখী মানুষের জনস্রোত

আপডেট টাইম : ১২:২৯:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
সোহেল রানা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের সকল মহাসড়কে ঢাকা মুখী মানুষের উপচে পড়া ভীড়। গার্মেন্টস খোলার খবরে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ছুটছে মানুষ।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা মোড়, কড্ডার মোড় ও হাটিকমুরুল গোলচত্বর এলাকায় হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের ঢল দেখা যায়। ট্রাক-পিকআপে ঝুলে যাচ্ছে মানুষ। এ যাত্রায় নারী পুরুষের সাথে রয়েছে শিশুরাও।
সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই এসব যাত্রীদের মধ্যে। মহাসড়কে দারিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। কোনোমতে একটি ট্রাক বা পিকআপ পেলেই উঠে পড়ছেন। অনেকে ভাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস না করেই লাফিয়ে ট্রাকে উঠছে। তাদের মুল উদ্দেশ্য ঢাকায় পৌছানো।
সিরাজগঞ্জ রোডে গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা গার্মেন্টসকর্মী সোলায়মান হোসেন নয়া শতাব্দীকে বলেন, 6ঘণ্টা ধরে দারিয়ে আছি। ফাকা গাড়ি পেলে উঠে চলে যাবো। কিন্তু খালি কোন গাড়ি পাচ্ছি না। মানুষের ভীড়ে গাড়িতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছি না।
রেবেকা খাতুন নামে এক নারী গার্মেন্টসকর্মী বলেন, অনেকদিন পর গার্মেন্টস খুলছে। আমাদের যেকোন উপায়ে হোক যেতে হবে৷ এই চাকরীর উপরে আমার সংসার চলে। আজকের মধ্যে না পৌছাতে পারলে যদি চাকরী চলে যায় তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তাই যত কষ্ট সহ্য করে বেশী ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।
ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন ট্রাক যাত্রী বলেন, গনপরিবহন বন্ধ সেই সুযোগে ট্রাক মাইক্রোচালকরা দ্বিগুন তিনগুন করে ভাড়া নিচ্ছে। একটা বড় ট্রাকে ৬০-৭০ জন যাত্রী উঠানো হচ্ছে। প্রতিজনের কাছ ৫০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। আর মাইক্রোবাসে ৯০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। ভাড়া যতই হোক যেতে হবেই।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় এভাবে ছুটছে মানুষ। গনপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাকে ঝুলে ঝুলে নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শ্রমিকেরা তাদের কর্মস্থলে ছুটছে। ট্রাকে যেন যাত্রী উঠাতে না পারে এজন্য হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে তৎপরতা চালাচ্ছে কিন্তু মানুষের চাপে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। মানুষের এমন দুর্ভোগ দেখে আমরা বেশী কঠোরও হতে পারছি না।