ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

কেউ চাকরি হারাবেন না ॥ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • / ২৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা আগামী রবিবার (১ আগস্ট) থেকে খুলবে। আপাতত কাজে যোগ না দিলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা চাকরি হারাবেন না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গার্মেন্টস খোলার ঘোষণায় আজ শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকেপড়া হাজার হাজার কর্মী প্রবেশপথগুলো দিয়ে ঢাকায় ঢুকছেন। বাস বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তি সয়ে তারা আসছেন কর্মস্থলে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি গতকালই বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিস্কার করা হয়েছে। যারা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যারা ঈদে বাড়ি যায়নি এবং যারা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাদেরকে নিয়েই তারা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তারা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবে না। যারা এই পাঁচদিন কাজ করবে না, যারা বাইরে আছেন- তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনও বলা হয়েছিল- যারা শুধু ঢাকাতে বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তারাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেয়া হয়েছে।’

‘কেউ হয়তো মনে করছেন ৫ দিন মিস করব, চলে যাই। অনেকে হয়তো আতঙ্কিত হয়ে ফিরছেন, চাকরি থাকবে কি-না! আমরা সবাইকে বলছি- কারো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা দেখবেন, সরকারও বিষয়টি দেখবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কেউ চাকরি হারাবেন না। তারা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসবেন। এত কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসার কোনো প্রয়োজন নেই।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি জিনিস বন্ধ হলে খুলতেও তো সময় লাগে। এখন খুলে তারা টুকিটাকি কাজগুলো করবে। আস্তে আস্তে বড় অর্ডারগুলো করবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

বিধিনিষেধে সব ধরণের গণপরিবহন, সরকারী-বেসরকারী অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিল্প-কারখানা।

মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কেউ চাকরি হারাবেন না ॥ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা আগামী রবিবার (১ আগস্ট) থেকে খুলবে। আপাতত কাজে যোগ না দিলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা চাকরি হারাবেন না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গার্মেন্টস খোলার ঘোষণায় আজ শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকেপড়া হাজার হাজার কর্মী প্রবেশপথগুলো দিয়ে ঢাকায় ঢুকছেন। বাস বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তি সয়ে তারা আসছেন কর্মস্থলে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি গতকালই বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিস্কার করা হয়েছে। যারা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যারা ঈদে বাড়ি যায়নি এবং যারা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাদেরকে নিয়েই তারা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তারা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবে না। যারা এই পাঁচদিন কাজ করবে না, যারা বাইরে আছেন- তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনও বলা হয়েছিল- যারা শুধু ঢাকাতে বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তারাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেয়া হয়েছে।’

‘কেউ হয়তো মনে করছেন ৫ দিন মিস করব, চলে যাই। অনেকে হয়তো আতঙ্কিত হয়ে ফিরছেন, চাকরি থাকবে কি-না! আমরা সবাইকে বলছি- কারো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা দেখবেন, সরকারও বিষয়টি দেখবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কেউ চাকরি হারাবেন না। তারা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসবেন। এত কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসার কোনো প্রয়োজন নেই।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘একটি জিনিস বন্ধ হলে খুলতেও তো সময় লাগে। এখন খুলে তারা টুকিটাকি কাজগুলো করবে। আস্তে আস্তে বড় অর্ডারগুলো করবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

বিধিনিষেধে সব ধরণের গণপরিবহন, সরকারী-বেসরকারী অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিল্প-কারখানা।

মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।