বাগেরহাটে পানিবন্দি এলাকায় জেলা প্রশাসক, খাদ্য সহায়তা
- আপডেট টাইম : ১০:১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
- / ২৯৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। শুক্রবার বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সরেজমিনে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেণ। তিনি সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা দুর্গত মানুসদের সাথে কথা বলেন। এসময় শরণখোলা উপজেলায় পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত-সহ জনপ্রতিধিরা উপস্থিত ছিলন। এ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি দুর্ভোগে মধ্যে রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, “ইয়াসের সময়ে যেসব এলাকায় পানি ওঠেনি, এবার সে এলাকাতেও পানি উঠেছে। অসংখ্য পরিবার দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বহু মৎস্য ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। বীজতলা ও সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বাড়ি-ঘরসহ কাঁচা-পাকা সড়কও ডুবে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রশাসনের পক্ষথেকে সম্ভব সবরকম সহায়তা করা হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্যও সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। ..”
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে অতি জোয়ারে এবং তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়োবাতাসে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। রাস্তাঘাট, মাঠ, ফসলের জমি, ঘের-পুকুর সব একাকার হয়ে যায়। পানিবন্দী দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন অর্ধলক্ষ পরিবার। অসংখ্য মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আমনের বীজতলা ও বর্ষাকালীন সবজী ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রান্না-খাওয়াও বন্ধ রয়েছে অনেক পরিবারের। জেলার সব নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।
শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, আম্পান ঘূর্ণিঝড়কে হার মানিয়েছে এই বৃষ্টি ও নিম্নচাপ। এতবেশি পানিবন্দি মানুষ এক সাথে কখনও দেখিনি। এখানে ভোলা নদীর চরের অবস্থিত গুচ্ছগ্রামের মালেক, খলিক, কুদ্দুস, সাইদুল শিকদারসহ কয়েক জন বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি। রান্না বন্ধ। শুকনো খাবারেই চলছে আমাদের, রান্না করতে পারছিনা।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, ’এ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি দুর্ভোগে মধ্যে রয়েছেন।’ প্রায় অনুরূপ অবস্থা রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, ফকিরহাট, চিতলমারী ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার সাইদুল মীর ও রামপাল উপজেলার চাকশ্রী রামনগর গ্রামের ময়না বেগম বলেন, পানিতে ঘের-পুকুর বাগান-বাড়ি-ঘর সব তলিয়ে গেছে। শসা, ঢেরস, পেপে, লাউসহ সব ধরনের গাছের গোড়ায় পানি জমে পঁচে যাচ্ছে। বন্যায়ও এত পানি দেখা যায় না। মাছ চাষের নামে প্রভাবশালীরা প্রবাহমান খাল গুলো আটকে রাখায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।