ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইইউবিতে ‘ল’ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ল্যাব) এর কমিটি গঠন। সভাপতি-শ্রাবণ সম্পাদক-সৌরভ যে সময় দোয়া করলে কবুল হয়। হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী বিশ্ব মা দিবস ইবিতে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঠাকুরগাঁও রুহিয়ার বসত ঘর পুড়ে ছাই জামালপুরে জৈব সার প্রয়োগে উচ্ছের চাষ এখন জনপ্রিয়,কৃষককূল স্বাবলম্বি গাজীপুরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী বৃষ্টি আক্তারের যত অপকর্ম রুহিয়ায় ভোট বর্জনে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ আজমিরীগঞ্জে রুপান্তরের হুইসেল ব্লোয়ার অন্তর্ভুক্তিকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫মাস পর হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

এলাকাভিত্তিক বেকার, গরীব ও অসহায়দের পাশে সকল এলাকার বিত্তবানদের প্রতি সবিনয় আবেদন সুজুনের

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

সমাজের বেকার, অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি সবিনয় আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ

বুধবার (২৮ জুলাই ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি এ আবেদন জানান।

এসময় তিনি বলেন দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। পাশাপশি জনগনকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিনিয়ত জনগনের কাছে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু আমরা বুঝে কিংবা না বুঝে সে সকল নির্দেশনা মানতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। ফলত সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার দিনের পর দিন বেড়ে গিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প কোন পথ ছিলোনা। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে গেছেন যারা দিনে আনে দিনে খায় তারা।

বিশেষ করে পরিবহন চালক, হেলপার, সিএনজি চালক, টেম্পু চালক, দিনমজুর, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। সরকার অবশ্য বিভিন্ন কর্মসূচী এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারপরও এসব শ্রেণীর মানুষরা দুঃখ কষ্টের মধ্যে আছেন। তাই সমাজের বিত্তবানদের এসব শ্রেণীর মানুষদের পাশে থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি। বিশেষ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা বেশকিছু সামর্থ্যবানদের দেখতে পাই। তারা যদি এলাকাভিত্তিক বেকার, গরীব ও অসহায়দের পাশে দাড়ান তাহলে করোনা মহামারীতে তারা অন্ততঃ দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, শিল্প-কারখানার মালিক হয়েছেন, অঢেল ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তাই এ দুর্যোগে আপনারা নীরব থাকবেন না, দয়া করে সকলেই স্বোচ্চার হোন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে করোনা সংক্রমণকে মোকাবেলা করছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন দেশের প্রত্যেক নাগরিককে টিকার আওতায় আনা হবে। আমরা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দৃঢ় আত্নপ্রত্যয়ী ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী প্রাণপন যুদ্ধ করছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। দেশের জনগনকেও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুরক্ষা দিতে নিত্য নতুন কর্মপন্থা ঘোষণা করছেন। তাই আমাদেরকেও যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মানবতাবাদী শিল্পী ভূপেন হাজারিকার গানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বলো কি তোমার ক্ষতি? জীবনের অথৈ নদী-পার হয় তোমাকে ধরে, দুর্বল মানুষ যদি? আজ আপনার সহযোগিতায় একজন মানুষও যদি কিছুটা সাহায্য পায়, বেঁচে থাকার অবলম্বন পায়, সেটাই হবে বড়ো পাওয়া। তাই আপনার আশেপাশের বেকার, গরীব ও অসহায়দের খোঁজ খবর নিন, তাদের পাশে দাঁড়ান।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইইউবিতে ‘ল’ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ল্যাব) এর কমিটি গঠন। সভাপতি-শ্রাবণ সম্পাদক-সৌরভ

এলাকাভিত্তিক বেকার, গরীব ও অসহায়দের পাশে সকল এলাকার বিত্তবানদের প্রতি সবিনয় আবেদন সুজুনের

আপডেট টাইম : ০৫:৩১:২৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

মোঃ শহিদুল ইসলাম (শহিদ)
বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।।

সমাজের বেকার, অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি সবিনয় আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ

বুধবার (২৮ জুলাই ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি এ আবেদন জানান।

এসময় তিনি বলেন দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। পাশাপশি জনগনকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিনিয়ত জনগনের কাছে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু আমরা বুঝে কিংবা না বুঝে সে সকল নির্দেশনা মানতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। ফলত সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার দিনের পর দিন বেড়ে গিয়েছে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে সরকার লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সরকারের হাতে বিকল্প কোন পথ ছিলোনা। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে গেছেন যারা দিনে আনে দিনে খায় তারা।

বিশেষ করে পরিবহন চালক, হেলপার, সিএনজি চালক, টেম্পু চালক, দিনমজুর, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। সরকার অবশ্য বিভিন্ন কর্মসূচী এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারপরও এসব শ্রেণীর মানুষরা দুঃখ কষ্টের মধ্যে আছেন। তাই সমাজের বিত্তবানদের এসব শ্রেণীর মানুষদের পাশে থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি। বিশেষ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা বেশকিছু সামর্থ্যবানদের দেখতে পাই। তারা যদি এলাকাভিত্তিক বেকার, গরীব ও অসহায়দের পাশে দাড়ান তাহলে করোনা মহামারীতে তারা অন্ততঃ দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, শিল্প-কারখানার মালিক হয়েছেন, অঢেল ধন সম্পদের মালিক হয়েছেন।

তাই এ দুর্যোগে আপনারা নীরব থাকবেন না, দয়া করে সকলেই স্বোচ্চার হোন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে করোনা সংক্রমণকে মোকাবেলা করছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন দেশের প্রত্যেক নাগরিককে টিকার আওতায় আনা হবে। আমরা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দৃঢ় আত্নপ্রত্যয়ী ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী প্রাণপন যুদ্ধ করছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। দেশের জনগনকেও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুরক্ষা দিতে নিত্য নতুন কর্মপন্থা ঘোষণা করছেন। তাই আমাদেরকেও যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মানবতাবাদী শিল্পী ভূপেন হাজারিকার গানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বলো কি তোমার ক্ষতি? জীবনের অথৈ নদী-পার হয় তোমাকে ধরে, দুর্বল মানুষ যদি? আজ আপনার সহযোগিতায় একজন মানুষও যদি কিছুটা সাহায্য পায়, বেঁচে থাকার অবলম্বন পায়, সেটাই হবে বড়ো পাওয়া। তাই আপনার আশেপাশের বেকার, গরীব ও অসহায়দের খোঁজ খবর নিন, তাদের পাশে দাঁড়ান।