সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত
- আপডেট টাইম : ০৭:৩২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
- / ৩১১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়েরকন্ঠ রিপোর্টার॥
দেশে করোনাভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন আইনজীবী এবং সালেহ আহমেদসহ স্থানীয় সাতজন ভোটারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আজ সোমবার (২৬ জুলাই) হাইকোর্টে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে এই রিট আবেদন দাখিল করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের ৬ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন এবং মুস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে রিট আবেদনটি করা হয়।
এর আগে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখতে গতকাল রবিবার (২৫ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরই ওই এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ অবস্থায় রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে। ফলে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৮ জুনের মধ্যে ওই আসনের উপনির্বাচনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও সংবিধানের ক্ষমতাবলে করোনা সংক্রমণকে দৈব দূর্বিপাক হিসেবে উল্লেখ করে আরো ৯০ দিন বাড়িয়ে নেয় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ইসি ১৫ জুন পৃথক এক নোটিশে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ২৮ জুলাই।
ওইসব তথ্য তুলে ধরে রিট আবেদনে বলা হয়, দৈব দূর্বিপাকের কারণে সংবিধান অনুযায়ী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলছেন, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সিইসির এই বক্তব্য সঠিক নয়।
আবেদনে বলা হয়, যে কারণে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি, সেই কারণ এখনো দেশে বিদ্যমান। দেশে করোনাভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণ চলছে। তাই এলাকার মানুষের জীবনের প্রশ্নে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা প্রয়োজন।