সংবাদ শিরোনাম ::
প্রসাশনের গাড়ীর দুর্ঘটনায় আর কতো জীবন হারাবে
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৭:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
- / ২৭৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
নুর এ আলম, পাথরঘাটা প্রতিনিধি।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাইনচটকি এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান জিতু (২৭) নামের তরুন সাংবাদিক নিহত হয়েছে। ২০ শে ডিসেম্বর রবিবার সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিতু উপজেলার বাইনচটকি এলাকার এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সোলাইমান কবির শাহিন এর ছেলে ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার পাথরঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বাইনচটকি ফেরিঘাট থেকে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে বিপরিত দিক থেকে আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহীনির একটি প্রিজন ভ্যান এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।(গাড়ী নং- ঢাকা মেট্রো -ঠ ১৩-০৮৮৫) এতে গুরুতর আহত হন জিতু। পরে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়, পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বরগুনা-পাথরঘাটা সড়ক অবরুদ্ধ করে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহীনির প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করে। গাড়ীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহীনির দুই সদস্য ও একজনের স্ত্রী এবং গাড়ী চালক মিজানুর রহমান ছিলো।
পরে স্থানীয়রা একজন সদস্য ও গাড়ী চালককে বাইনচুটকি স্কুলের মধ্যে আটকে রাখে। একজন সদস্য ও তার স্ত্রী জিতুকে বরগুনা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
পরিদর্শন করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান। তিনি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি দূর্ঘটনার কারন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্ত খোজ নিয়ে দেখা যায় জিতুর পরিবারকে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়। পরিবারের সুএে জানা যায় মামলা করে কোনো লাভ নেই শুধু হয়রানি। কয়েক বছর মামলা চলার পর মামলা খারিজ সঠিক বিচার নাই।
এর কয়েকদিন পর ২৬ শে ডিসেম্বর আমতলী সড়কে পাথরঘাটার সন্তান মোটরসাইকেল চালক রিয়াজ (২৬) নামের যুবক মালবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। রিয়াজকে বরগুনা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বাইনচুটকির একই রাস্তায় গত বছর ২৬ শে ডিসেম্বর ২০১৯ একটি দুর্ঘটনা ঘটে। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির ফেরী ধরার জন্য দ্রুত গাড়ী নিয়ে যাওয়ার পথে আলিসার মোড়ে একটি মোটরসাইকেল এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে মোটরসাইকেল ড্রাইভার বশির(৩৩) দূর্ঘটনার স্থানে মুৃত্যু বরন করেন।
স্থানীয়রা অফিসারকে আটকে দিলে বশিরকে ময়নাতদন্ত, দাফনকাজ সম্পন্ন, মিলাদ এর আয়োজনের খরচ দেয় এবং বশিরের স্ত্রীকে কাছেই শিংড়াবুনিয়া উজির আলী দাখিল মাদ্রাসায় একটি আয়ার চাকরী দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও চাকরির কোনো খবর নাই। ইতিমধ্যে ডিসেম্বর ২০২০ এ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলি হয়ে যায়। এখন বশিরের স্ত্রী তার ছোটো ছোটো তিন মেয়েকে নিয়ে না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা। বশিরের স্ত্রী অসুস্থ সপ্তাহে ৫০০ টাকার ঔষধ প্রয়োজন হয়, কোথায় পাবে টাকা কিভাবে চলবে এই অসহায় পরিবার।
প্রসাশনিক গাড়ীর দূর্ঘটনার ক্ষেএে দেখা যায় ফেরী ছাড়ার সময় অতিক্রম হওয়ার পর কল করে ফেরী দাড় করিয়ে রাখে তারপর দ্রুত গাড়ী ড্রাইভ করে চালকরা তখনই এভাবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আর টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়। এভাবে চলতে দিলে কতো মানুষের জীবন যাবে তার কোনো হিসেব নাই। সাধারণ মানুষের দাবী এর একটি ব্যাবস্থা নেয়া হোক।
আরো খবর.......