নীলফামারীর সৈয়দপুরের পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৪:২৪:৫০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
- / ২৯০ ৫০০০.০ বার পাঠক
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ
সারফারাজ হোসেন
অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী আতিফ আলতাফ (২৮) এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে।
ব্যবসায়ী আতিফ আলাতাফ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ছেলে। মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তার নাম আতাউর রহমান। তিনি সৈয়দপুর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আতিফ আলতাফ। সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করে এভাবে গাড়ী চালানোয় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করেন। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ঘটনাস্থলেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রমিজ আলম তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে চলে যান ব্যবসায়ী আতিফ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে আরেকটি গাড়ি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্পনগরীর কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ। পিটিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান মারধরের শিকারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ সময় তাঁর পোশাক ছেঁড়া দেখতে পাওয়া যায়।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অমান্য, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ও লকডাউন ভাঙার মতো একাধিক অপরাধ সংঘটিত করেছেন আতিফ। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সারোয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য যে, পুলিশের হাতে আটক ব্যবসায়ী আতিফ আলতাফ বর্তমানে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।