ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি কালিয়াকৈরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি কম-যাত্রী বেশি

  • নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা

মাদারীপুর রিপোর্টার ॥

১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ৩য় দিন বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা সীমিত হলেও গত দু‘দিনের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি দেখা গেছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে উভয় মুখী যাত্রীরা। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে জরুরী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ৮টি ফেরি। ফেরিগুলোতে উভয়মুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। ঘাটে মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মটরসাইকেল, ঈজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌছাচ্ছেন। নানা অজুহাতে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আসছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা নানা উপায়ে ঘাটে আসছেন। রবিবার সকাল থেকে জরুরি সেবায় ৮টি ফেরি চলাচল করছে। আর এই ফেরিগুলোতে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধের ঘোষণা থাকলেও সাধারণ মানুষ নানা অজুহাত দেখিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। কেউ বলছে অসুস্থ, কেউ বলছে রোগী দেখতে যাবে, কেউবা বলছেন চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতে হবে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মানছে না তারা। অবস্থার দৃষ্টে মনে হয় মানুষ ভুলে গেছে যে, দেশে করোনা মহামারী চলছে। দিন দিন তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

রবিবার ও শনিবার বাংলাবাজার ফেরি ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না। ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ছোট-ছোট যানবাহনে যাত্রী এনে ঘাটের দুই কিমি ধুরে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরাও দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ফেরি ঘাটে প্রবেশ করছেন। এরপর যাত্রীরা ফেরিঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার ও ঘাট কর্তৃপক্ষকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘাটে ফেরি আসা মাত্র ফেরিতে উঠে পড়ছেন। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার বালাই নেই।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। আজ ফেরি চলছে ৮টি। যাত্রী চাপ রয়েছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।’

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি কম-যাত্রী বেশি

আপডেট টাইম : ১১:২৬:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা

মাদারীপুর রিপোর্টার ॥

১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ৩য় দিন বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা সীমিত হলেও গত দু‘দিনের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি দেখা গেছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে পদ্মা পারাপার হচ্ছে উভয় মুখী যাত্রীরা। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনের ৩য় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে জরুরী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে ৮টি ফেরি। ফেরিগুলোতে উভয়মুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। গাদাগাদি করে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। ঘাটে মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মটরসাইকেল, ঈজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌছাচ্ছেন। নানা অজুহাতে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে আসছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা নানা উপায়ে ঘাটে আসছেন। রবিবার সকাল থেকে জরুরি সেবায় ৮টি ফেরি চলাচল করছে। আর এই ফেরিগুলোতে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধের ঘোষণা থাকলেও সাধারণ মানুষ নানা অজুহাত দেখিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। কেউ বলছে অসুস্থ, কেউ বলছে রোগী দেখতে যাবে, কেউবা বলছেন চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতে হবে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা মানছে না তারা। অবস্থার দৃষ্টে মনে হয় মানুষ ভুলে গেছে যে, দেশে করোনা মহামারী চলছে। দিন দিন তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

রবিবার ও শনিবার বাংলাবাজার ফেরি ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না। ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ছোট-ছোট যানবাহনে যাত্রী এনে ঘাটের দুই কিমি ধুরে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরাও দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ফেরি ঘাটে প্রবেশ করছেন। এরপর যাত্রীরা ফেরিঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার ও ঘাট কর্তৃপক্ষকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘাটে ফেরি আসা মাত্র ফেরিতে উঠে পড়ছেন। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার বালাই নেই।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। আজ ফেরি চলছে ৮টি। যাত্রী চাপ রয়েছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।’