গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জেএমবি সদস্য পনির এর ফাঁসি কার্যকর।

- আপডেট টাইম : ০৮:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
- / ২৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মানসুরা আক্তার কাকলী স্টাফ রিপোর্টার।।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জেএমবি সদস্য পনির এর ফাঁসি কার্যকর। জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্য মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি আসামি আসাদুজ্জামান চৌধুরী পনির (২৯) এর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার সময় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আসাদুজ্জামান পনির ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার রাধাকানাই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন গাজীপুর, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ গিয়াস উদ্দিন নিশ্চিত করে জানান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হাইসিকিউরিটি পার্ট- চার হতে আটকৃত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জেএমবি সদস্য কয়েদি নং ৫৪১-এ আসাদুজ্জামান পনিরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাহজাহান ও মৃত্যু নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডাক্তার আশিফ রহমান ইভান। আসামিকে তওবা ও গোসল করান হাফেজ মাওলানা নোমান হোসেন। ফাঁসি শেষে আসামির নিকটতম আত্নীয় স্বজনের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আসামির বিরোদ্ধে নেত্রকোনা থানার মামলা নং- ০৮ (১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/ ৩০২/৩৪/১০৯, (১৭/২/০৮ তারিখে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হন। নেত্রকোনা থানার মামলা নং- ০৭(১২)২০০৫ ধারা-বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৬, (২০ বছরের সাজা প্রাপ্ত), কোতয়ালী থানার মামলা নং- ৬৮ (১২)২০০৫ ধারা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ (১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত), কোতয়ালী থানার মামলা নং ৩৯ (১২)২০০৫ ধারা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ (২০ বছরের সাজা প্রাপ্ত), (৫) কোতয়ালী থানার মামলা নং ৪৯ (০৮)২০০৫, বিচারাধীন রুজু ছিল। জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৬ ডিসেম্বর নেত্রকোনার উদীচী ও শতদল শিল্পী গোষ্ঠীর কার্যালয়ে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় আট জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নেত্রকোনা থানায় দুটি মামলা করে। এর মধ্যে হত্যা মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামি আসাদুজ্জামান পনির, সালাউদ্দিন ওরফে সোহেল ও ইউনুছ আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২। মামলার অপর আসামি সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলা ভাইয়ের স্ত্রী ফারজানাকে খালাস দেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি পনির হাইকোর্টে আপিল করে। পাশাপাশি আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বহাল রাখেন। তবে হাইকোর্টের সে রায়ের বিরুদ্ধে জেএমবি সদস্য পনির আপিল বিভাগে আবেদন (আপিল) করে। পনির কাশিপুর কারাগারেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় তার ফাঁসি কার্যকর হয়।