ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক শব্দদূষণ দিবস উদযাপিত উজিরপুরে সাব রেজিষ্টার মোঃ ইমরান খান এর বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রায়পুরে আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জামালপুরে বিনা খেসারি-১ এর চাষের উজ্জল সম্ভাবনা ব্যাংককের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন এড.মো. মাসউদ তারাকান্দা উপজেলায় ছেঁড়া ১০টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ছেলে নিহত-বাবা সংকটাপন্ন

পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার ঘটনায় ঘাতক শাহীনের দায় স্বীকার

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।

বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক শাহিন মুন্সীকে গ্রেপ্তার করেছে সি আই ডি। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের বন্দর থানা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর সাহিন কে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে জবানবন্দি দেয় শাহিন। এতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সাহিন

এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই আরো দুজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। তারা হলেন ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেন। ৪ জুলাই আটক দুজনকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করে পৃথক-পৃথক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন শুনানির জন্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহিন মুন্সী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। সুমাইয়া একই গ্রামের রিপন বাদশা’র মেয়ে।

পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ জুলাই রাত দশটার দিকে সুমাইয়া টয়লেটে গেলে পিছু নেয় শাহিন। সেখানে থাকা লায়নলের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে সুমাইয়াকে। এর পর বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে মাটি চাপা দেয় শাহিন একাই। এর পরে ঘরে গিয়ে নয় মাসের শিশু জুঁইকে কান্না করতে দেখে তাকে নিয়ে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ঘাতক সাহিন। এরপর মায়ের সাথেই বাড়ির পাশে পুঁতে রাখে জুঁইকে।

এ ঘটনার দু’দিন পর ৩জুলাই নিজ বাড়ির সংলগ্ন খালের পাড়ে গর্ত থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা পুলিশ। পরের দিন ময়না তদন্ত শেষে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়।

মরাদেহ উদ্ধারের পর গত ৩জুলাই বিকেলে সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে জামাই শাহিন মুন্সী, তার মা শাহিনুর বেগম, মামাতো ভাই ইমাম ও ইমামের শ্যালক রিমন সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামি করে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বুধবার সাহিনের জবানবন্দি আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করে বুধবার বিকেলে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার

পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার ঘটনায় ঘাতক শাহীনের দায় স্বীকার

আপডেট টাইম : ১১:২৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।

বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায়ে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ঘাতক শাহিন মুন্সীকে গ্রেপ্তার করেছে সি আই ডি। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের বন্দর থানা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর সাহিন কে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে জবানবন্দি দেয় শাহিন। এতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সাহিন

এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই আরো দুজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। তারা হলেন ঘাতক শাহিনের মা শাহিনুর বেগম ও মামাতো ভাই ইমাম হোসেন। ৪ জুলাই আটক দুজনকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করে পৃথক-পৃথক ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন শুনানির জন্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শাহিন মুন্সী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে। সুমাইয়া একই গ্রামের রিপন বাদশা’র মেয়ে।

পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ১ জুলাই রাত দশটার দিকে সুমাইয়া টয়লেটে গেলে পিছু নেয় শাহিন। সেখানে থাকা লায়নলের সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে সুমাইয়াকে। এর পর বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে মাটি চাপা দেয় শাহিন একাই। এর পরে ঘরে গিয়ে নয় মাসের শিশু জুঁইকে কান্না করতে দেখে তাকে নিয়ে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ঘাতক সাহিন। এরপর মায়ের সাথেই বাড়ির পাশে পুঁতে রাখে জুঁইকে।

এ ঘটনার দু’দিন পর ৩জুলাই নিজ বাড়ির সংলগ্ন খালের পাড়ে গর্ত থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পাথরঘাটা পুলিশ। পরের দিন ময়না তদন্ত শেষে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়।

মরাদেহ উদ্ধারের পর গত ৩জুলাই বিকেলে সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে জামাই শাহিন মুন্সী, তার মা শাহিনুর বেগম, মামাতো ভাই ইমাম ও ইমামের শ্যালক রিমন সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামি করে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বুধবার সাহিনের জবানবন্দি আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করে বুধবার বিকেলে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিক।